আদিত্য পঞ্চোলি | |
---|---|
জন্ম | নির্মল পঞ্চোলি ৪ জানুয়ারি ১৯৬৫ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | সেন্ট জোসেফ্স হাই স্কুল |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৮৫-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জরিনা ওয়াহাব (বি. ১৯৮৬) |
সন্তান | সুরজ পঞ্চোলি সানা পঞ্চোলি |
আদিত্য পঞ্চোলি (জন্ম: নির্মল পঞ্চোলি, ৪ জানুয়ারি ১৯৬৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী। তিনি মূলত বলিউডের চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন। তিনি প্রধান অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন, তবে তিনি পার্শ্ব ও খল চরিত্রে অভিনয় করে অধিক সফলতা অর্জন করেন। ইয়েস বস (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
পঞ্চোলির কর্মজীবন শুরু হয় নারি হিরা প্রযোজিত টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এবং পরে তিনি সস্তি দুলহান মেঘনা দুলহা (১৯৮৬) দিয়ে মূলধারার বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি মহা-সংগ্রাম (১৯৯০) চলচ্চিত্র দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগে ও ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি কর্মজীবনের শিখরে অবস্থান করেন। তিনি মূলত দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন, কিন্তু তার একক প্রধান চরিত্রে কাজগুলো বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
আদিত্য পঞ্চোলি ১৯৬৫ সালের ৪ঠা জানুয়ারি এক আহির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাজন পঞ্চোলি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মাতা অরুণা পঞ্চোলি। তার এক বোন ও দুই ভাই রয়েছে। তিনি জুহুর সেন্ট জোসেফ্স হাই স্কুলে পড়াশোন করেন।
১৯৮৬ সালে পঞ্চোলি অভিনেত্রী জরিনা ওয়াহাবকে বিয়ে করেন।[১] তাদের দুই সন্তান রয়েছে, তারা হলেন সুরজ পঞ্চোলি (জ. ৯ নভেম্বর ১৯৯০) এবং সানা পঞ্চোলি। সুরজ ২০১৫ সালে হিরো চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[২]
১৯৯৪ সালে পঞ্চোলির মুক্তিপ্রাপ্ত একমাত্র চলচ্চিত্র ছিল সঞ্জয় গুপ্তের একাধিক তারকাসম্বলিত মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র অতিশ: ফিল দ্য ফায়ার। এতে অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, রবীনা ট্যান্ডন, কারিশমা কাপুর ও অতুল অগ্নিহোত্রী। ছবিটি সে বছরের বক্স অফিসে অন্যতম সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।[৩]
পঞ্চোলি আজিজ মির্জার প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ইয়েস বস (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা সাথে খলচরিত্রে অভিনয় করেন। এটি সে বছরের শীর্ষ আয়কারী চলচ্চিত্রের একটি।[৪] এই চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এরপর তিনি সাইফ আলি খান ও কাজলের সাথে হামেশা চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।
২০১৯ সালে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত পুলিশে অভিযোগ করে বলেন পঞ্চোলি ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘসময় বারংবার তাকে তাকে নেশাদ্রব্য প্রদান করে, ধর্ষণ করে, লাঞ্চিত করে এবং ভয় দেখিয়ে যৌনক্রিয়া করে।[৫] রানাওয়াত ইন্ডিয়া টিভির "আপ কি আদালত"-এর একটি সাক্ষাৎকারে বারংবার এইসব অভিযোগ আনেন এবং জনসম্মুখে ঘটা একটি ঘটনারও উল্লেখ করেন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন পঞ্চোলি রানাওয়াতে রিকশা থামিয়ে তার সাথে তার গাড়িতে যাওয়ার জন্য বাধ্য করে এবং তাকে থাপ্পড় মারেন।[৬] পঞ্চোলি নিজের পক্ষে বলেন এই অভিযোগ মিথ্যা এবং তার সাথে রানাওয়াতে সম্পর্কের মতই তুচ্ছ। তিনি বলেন রানাওয়াত তাকে আর্থিক ও মানসিকভাবে শোষণ করেছেন এবং অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে তার প্রভাব ব্যবহার করেছেন। এর আগেও পঞ্চোলি তার প্রাক্তন বান্ধবী পূজা বেদীর সাথে সম্পর্কের সময়ে পূজার বাড়ির ১৫ বছর বয়সী গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন।[৭]