গুরু গ্রন্থ সাহিব (ਗੁਰੂ ਗ੍ਰੰਥ ਸਾਹਿਬ) |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
জনপ্রিয় রচনা |
Other compositions |
Various aspects |
Poetical metres, modes, measures, and rhythms |
আনন্দ সাহিব (গুরুমুখী: ਅਨੰਦ ਸਾਹਿਬ; আনাদা সাহিবা) হলো শিখধর্মের স্তোত্রের একটি সংগ্রহ যেটি শিখদের তৃতীয় শিখ গুরু গুরু অমর দাশ কর্তৃক রামকালী রাগে রচিত। এটি গুরু গ্রন্থ সাহিবের ৯১৭ হতে ৯২২ পৃষ্ঠা অবধি বিস্তৃত। আনন্দ শব্দটি দ্বারা পরিপূর্ণ সুখকে নির্দেশ করা হয়।[১][২]
আনন্দ সাহিব গুরু অমর দাশ কর্তৃক রচিত, শিখ কিংবদন্তি অনুসারে, গুরু তার প্রপৌত্র বাবা আনন্দের, যিনি যোগী হিসাবে পূর্বজন্মে গুরু অমর দাশের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়, তার জন্ম সংবাদ লাভ করা-কালীন এই রচনাটি সৃষ্টি করেন।[৩][৪] রচনাটি সমাপ্তির পর গুরু কর্তৃক বাবা আনন্দ নামটি দেয়া হয়।[৪]
আনন্দ সাহিব নিতনেমের (দৈনন্দিন প্রার্থনা) একটি অংশ যা অমৃতধারী শিখ কর্তৃক সন্ধ্যার পূর্বে পাঠ করা হয়। আনন্দ সাহিব সাধারণ ভাবে ধরণ নির্বিশেষে সকল শিখ আনন্দ উৎসবে আবৃত্তি করা হয়।[১]
আনন্দ সাহিবের দুটি সংস্করণ রয়েছে : একটিতে ৪০টি স্তবক রয়েছে এবং অপরটি ছোটো আকৃতির যেটি প্রায়শঃই ছোটা আনন্দ সাহিব নামে উল্লেখ করা হয়[৫][৬] যেটিতে প্রথম পাঁচটি স্তবকের পর সর্বশেষ স্তবকটি রয়েছে। এই ছোটো আনন্দ সাহিবের সংস্করণটি সচরাচর আরদশ অনুষ্ঠানের সমাপ্তির পূর্ব কালীন সময় পাঠ করা হয়।[৭][৮] ছোটো আনন্দ সাহিব রেহরাস সাহিবের সমাপ্তিতে যুক্ত রয়েছে।
আনন্দ সাহিব, পাঞ্জ গ্রন্থির (পাঁচটি বাছাই করা গ্রন্থ) দক্ষিণী ওঙ্কার এবং সিদ্ধ গোষ্ট রাগ রামকালীতে রচিত হয়েছে - যে রাগটি সূর্যোদয়ের আগে রাতের অংশের সাথে[৯] বা সম্ভবত সূর্যোদয়ের পর দিনের প্রথম অংশের সাথে[১০] মিলে।