আনিকা রহমান

আনিকা রহমান
জন্ম
বাংলাদেশ
নাগরিকত্বমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাপ্রন্সটন,কলম্বিয়া ল’ স্কুল
পরিচিতির কারণলেখক, আইনজীবী, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার কর্মী

আনিকা রহমান একজন বাংলাদেশী-মার্কিন আইনজীবী এবং মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নেতা । তিনি বিশ্বব্যাপী প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির জন্য কাজ করায় খ্যাতিমান উকিল হিসেবে পরিচিতি পান । তিনি দক্ষতার সাথে মানবাধিকার, নারী, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর জোরালোভাবে কাজ করেন।

জীবনী

[সম্পাদনা]

রহমান বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার বাবা দ্রুত তার মাকে তালাক দিয়ে তাদের পরিবার ছেড়ে চলে যায়।[] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যান।[] ১৯৯৭ সালে সেখানকার নাগরিক হন।[] তিনি আইন প্রতিষ্ঠান ক্লিয়ারি গটলিব ষ্টিন হ্যামিলটন এ যোগদানের পূর্বে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এং কলম্বিয়া ল’ স্কুল থেকে জেডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এমএস ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এর প্রধান এবং সিইও হসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[] তার সময়কালে নারী অধিকার সংগঠনটি তিনটি প্রধান জাতীয় সমস্যা উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং এর উপর নতুনকরে পুনরায়-ব্র্যান্ডিং প্রচারাভিযান শুরু করে। [] এর আগে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এর কাজে সমর্থনকারী এনজিও ফ্রেন্ডস ফর ইউএনএফপিএ এর সভাপতি ছিলেন।[] এই সময়কালে তিনি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের জন্য মার্কিন সরকার এর তহবিল বৃদ্ধির জন্য প্রচার শুরু করেন। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের জন্য মার্কিন সরকার এর সমর্থন পুনরায় চালু করেন ।[] ১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আনিকা রহমান আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক কার্যক্রম “প্রজননগত অধিকার কেন্দ্র” এর প্রতিষ্ঠাতা পরচালক হিসেবে কাজ করেন। ২০০২ সালে তিনি একটি স্পর্ষকাতর গ্লোবাল ঠাট্টা নিয়ম মামলার বাদী হন,যা মেক্সিকো সিটি নীতি নামে পরিচিত ছিল।[] তিনি সহরচয়িতা নাহিদ তৌবিয়ার সঙ্গে ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন : বিশ্বব্যাপী আইন ও নীতি একটি প্রাকটিক্যাল গাইড(২০০০)এর লেখক, যা জেড বুকস দ্বারা প্রকাশিত হয়।[] তিনি ২০০৯ সালে "২১ শতকের ২১ নেতৃবৃন্দ " পুরস্কার এবং২০০২ সালে কলাম্বিয়া ল স্কুল দ্বারা সামাজিক দায়বদ্ধতা জন্য লরেন্স এ ভিয়েনা পুরস্কার পান ।তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিষদের একজন সদস্য

পুস্তক-বিবরণী

[সম্পাদনা]

রহমান, এ., এডি. শিরোনামের সিরিজ "বিশ্বের জন্য নারী:তাদের প্রজনন জীবনে আইন ও নীতির প্রভাব" এর আচ্ছাদনে, ইংরেজিভাষী আফ্রিকা, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ, ফ্রান্সোফোন আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, প্রজননগত অধিকার জন্য কেন্দ্র (১৯৯৭ -২০০২)।

রহমান, এ. এবং পাইন, আর, "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার:এর সংজ্ঞা ও জবাবদিহিতা, " স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার নিয়ে ১ টি জার্নাল, ৪০১ (১৯৯৫)

রহমান, এ., "মহিলাদের প্রজননগত অধিকারে সরকারের দায়বদ্ধতা" ৬৯টি সেন্ট জনস আইন পর্যালোচনা ২০৩ (১৯৯৫). রহমান, এ, "ভারতে ধর্মীয় অধিকার বনাম নারী অধিকার: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এর একটি পরীক্ষামূলক ঘটনা," ২৮ কলাম্বিয়া জার্নাল এর বহুজাতিক আইন ৪৭২ (১৯৯০) ।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Goudreau, Jenna (৩০ জুন ২০১১)। "Ms. Foundation CEO Warns of Looming 'Womancession'"Forbes (ইংরেজি ভাষায়): 37। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৫(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য))  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. Sussman, Anna Louie. "Anika Rahman" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুন ২০১৬ তারিখে, Columbia Law School magazine, Winter 2012.
  3. Rahman, Anika. "Fear in the Open City", The New York Times, 19 September 2001.
  4. http://www.crainsnewyork.com/article/20130407/NONPROFITS/304079967/reviving-a-trailblazer
  5. Khalamayzer, Anya (৭ মার্চ ২০১১)। "New Leadership Arrives at Ms. Foundation for Women"Crain's New York Business (ইংরেজি ভাষায়)। 27 (10)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৫(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  6. Malveaux, Suzanne (২৪ জানুয়ারি ২০০৯)। "Obama Reverses Abortion-Funding Policy"CNN U.S. Edition (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৫ 
  7. "304 F. 3d 183 - Center for Reproductive Law and Policy v. Bush"Open Jurist (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৫ 
  8. "Anika Rahman", The Huffington Post, accessed 7 September 2013.