আনু মালিক | |
---|---|
জন্ম | আনোয়ার সরদার মালিক ২ নভেম্বর ১৯৬০ |
সন্তান | আনমোল মালিক[১] |
পিতা-মাতা | সরদার মালিক |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | চলচ্চিত্রের সঙ্গীত |
পেশা | সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, সঙ্গীতশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৮০-বর্তমান |
আনোয়ার সরদার মালিক (২ নভেম্বর ১৯৬০), যিনি আনু মালিক হিসেবে অধিক পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করে থাকেন। তিনি কাপুরতলা ঘরানার সরদার মালিকের পুত্র। সুরকার হিসেবে মালিকের অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে হান্টারওয়ালি ৭৭ চলচ্চিত্র দিয়ে। তিনি একবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও তিনবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার বিজয়ী বলিউডের একমাত্র সঙ্গীত পরিচালক।
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তিনি বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের গানের সুর করেছেন, এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত শিল্পে অসংখ্য জনপ্রিয় ও সফল গানের সুর করেছেন। মালিক তার গানে তবলা ব্যবহারের জন্য প্রসিদ্ধ। এমন কয়েকটি গান হল বাজীগর চলচ্চিত্রের "বাজীগর ও বাজীগর", রিফিউজি চলচ্চিত্রের "তাল পে জব" ও "মেরে হামসফর", ম্যাঁয় হুঁ না চলচ্চিত্রের "তুমসে মিলকে দিলকা হ্যায় জো হাল", ও ইয়াদেঁ চলচ্চিত্রের "এলি রে এলি"।
মালিক ২০০৪ সালে শুরু হওয়া সঙ্গীত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ইন্ডিয়ান আইডলের প্রথম মৌসুম থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে যৌন কেলেঙ্কারি জন্য তিনি এই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। ২০১৯ সালে তিনি পুনরায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, কিন্তু গণমাধ্যমের সমালোচনা কারণে তিন সপ্তাহ পর তাকে পুনরায় এই অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে হয়।
১৯৯৩ সালে মালিক মহেশ ভাটের স্যার ও ফির তেরি কাহানি ইয়াদ আয়ে চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি বাজীগর চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। পরের দুই বছর তিনি ম্যাঁয় খিলাড়ি তু আনাড়ি (১৯৯৪) ও আকেলে হাম আকেলে তুম (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য পুনরায় শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে বিরাসত, ও ইশ্ক চলচ্চিত্রের গানসমূহ ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। এরপর তিনি বর্ডার (১৯৯৭) ও সোলজার (১৯৯৮) চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে জানম সমঝা করো, হাম আপকে দিল মেঁ রেহতে হ্যায় ও বাদশা চলচ্চিত্রের গানসমূহ জনপ্রিয়তা লাভ করে। একই বছর তিনি হাসিনা মান যায়েগি ও বিবি নাম্বার ওয়ান চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
মালিক ২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন,[২] এবং ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি জোশ, ও ফিজা চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া হর দিল জো প্যায়ার করেগা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেন। ২০০১ সালে তিনি মুঝে কুছ কেহনা হ্যায় চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি এই বছর অক্ষ, অজনবি, ইয়াদেঁ ও অশোক চলচ্চিত্রের গানের সুর করেন। ২০০৪ সালে তিনি ম্যাঁয় হুঁ না, ফিদা ও মার্ডার চলচ্চিত্রের গানের সুর করেন।
২০১০-এর দশকে তিনি কমবখত ইশ্ক, শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা, যমলা পাগলা দিওয়ানা ও দম লগা কে হইশা চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেন।[৩]
আনু মালিক আঞ্জুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪] এই দম্পতির আনমন মালিক এবং আদা মালিক নামে ২টি সন্তান রয়েছে।