মুহাম্মদ আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি | |
---|---|
দারুল উলুম দেওবন্দের ৪র্থ অধ্যক্ষ | |
অফিসে ১৯১৫ – ১৯২৭ | |
পূর্বসূরী | মাহমুদ হাসান দেওবন্দি |
উত্তরসূরী | হুসাইন আহমদ মাদানি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ মে ১৯৩৩ দেওবন্দ, যুক্ত প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | (বয়স ৫৭)
ধর্ম | ইসলাম |
সন্তান | আজহার শাহ কায়সার আনজার শাহ কাশ্মীরি |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
কাজ | শিক্ষক, মুহাদ্দিস |
মুসলিম নেতা | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
সৈয়দ মুহাম্মদ আনোয়ার শাহ ইবনে মুয়াজ্জাম শাহ কাশ্মীরি (উর্দু: سيد محمد انور شاه بن معظم شاه کشمیری; আরবি: سيد محمد أنور شاه بن معظم شاه الكشميري الهندي, Sayyid Muḥammad Anwar Shāh ibn Mu‘aẓẓam Shāh al-Kashmīrī al-Hindī; ১৬ নভেম্বর ১৮৭৫ – ২৮ মে ১৯৩৩) ছিলেন ভারতের একজন মুসলিম পণ্ডিত। তার কর্মজীবনে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দসহ বেশ কিছু খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দে তার সম্মানে একটি ফটকের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ইসলাম সম্পর্কে আরবি ও ফারসিতে বেশ কিছু বই লিখেছেন। তিনি ছিলেন মাদ্রাসা আমিনিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়ার প্রথম অধ্যক্ষ। দারুল উলুম দেওবন্দে তিনি প্রায় ১২ বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] তার গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ফয়জুল বারী।
তিনি তার স্মৃতিশক্তির জন্য পরিচিত। তার পুত্রের ভাষ্যমতে তিনি কিছু সংক্ষিপ্তভাবে পড়লে তার স্মৃতিতে ৩০ বছরের জন্য জমা হয়ে যেত, আর যদি তিনি বিস্তারিত পড়তেন তবে তা সারাজীবন মনে থাকত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][২]
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি কাশ্মীরে ২৭ শাওয়াল ১২৯২ হিজরিতে (১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) একটি সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চার বছর বয়সে তিনি তার পিতা মোয়াজ্জেম আলী শাহের নির্দেশে কুরআন অধ্যয়ন শুরু করেন।[১] ১৮৮৯ সালে তিনি দেওবন্দে ভর্তি হন এবং তিন বছর দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়ন করেন। এখানে তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ও অন্যান্যদের অধীনে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৮৯৬ সালে (১৩১৪ হিজরি) তিনি রশিদ আহমদ গাঙ্গোহীর নিকট অধ্যয়ন করেন এবং হাদিসে (যা তিনি দুই বছর যাবত পড়াশোনা করেছিলেন) এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে একটি শিক্ষা সনদ অর্জন করেছিলেন।[১]
আনোয়ার শাহ ১৯০৮ সালে গঙ্গোহের এক নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই মেয়ে ও তিন ছেলের জনক ছিলেন।
আনোয়ার শাহের ছাত্রদের মধ্যে মানাজির আহসান গিলানি, মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি, হিফজুর রহমান সিওহারভি, সাইদ আহমদ আকবরাবাদী, জয়নুল আবেদীন সাজ্জাদ মিরাঠী, মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি, মানজুর নোমানী, মুহাম্মদ শফি উসমানি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।[৩][৪]