আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন | |
---|---|
ন্যাটোর মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ১ আগস্ট ২০০৯ – ১ অক্টোবর ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | জাপ ডি হুপ শেফার |
উত্তরসূরী | ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ |
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ নভেম্বর ২০০১ – ৫ এপ্রিল ২০০৯ | |
সার্বভৌম শাসক | ২য় মার্গারেট |
ডেপুটি | বেন্ডট বেন্ডটসেন লিন ইস্পারসেন |
পূর্বসূরী | পল নিরাপ রাসমুসেন |
উত্তরসূরী | লার্স লোক রাসমুসেন |
ভেনস্ত্রে নেতা | |
কাজের মেয়াদ ১৮ মার্চ ১৯৯৮ – ১৭ মে ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | উফে এলিমান-জেনসেন |
উত্তরসূরী | লার্স লোক রাসমুসেন |
কর মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ – ১৯ নভেম্বর ১৯৯২ | |
প্রধানমন্ত্রী | পল স্লটার |
পূর্বসূরী | ইসি ফোঘেল |
উত্তরসূরী | পিটার ব্রিক্সতোফতে |
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ১৯৭৮ – ৫ এপ্রিল ২০০৯ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জিনারাপ, ডেনমার্ক | ২৬ জানুয়ারি ১৯৫৩
রাজনৈতিক দল | ভেনস্ত্রে |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যানি-মেতে রাসমুসেন (১৯৭৮-বর্তমান) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | আরহাস ইউনিভার্সিটি |
আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন (ডেনীয় উচ্চারণ: [ˈɑnɐs ˈfɔʊ̯ˀ ˈʁɑsmusn̩] (; জন্ম: )২৬ জানুয়ারি, ১৯৫৩) ডেনমার্কের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ। তিনি ন্যাটোর দ্বাদশ মহাসচিব ছিলেন।[১] তিনি ২০০১ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন ১৯৫২ সালে জুটল্যান্ডের জিনারাপ এলাকায় কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সোরেন রাসমুসেন এবং মা ম্যারি রাসমুসেন (বিবাহ-পূর্ব ফগ)। তার মায়ের মধ্যনাম থেকে ফগ শব্দটি নামের সাথে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি সঠিকভাবে নাম প্রদর্শনের জন্যে রাসমুসেন ব্যবহার করেন। কিন্তু ড্যানিশ গণমাধ্যম এবং সমাজে তার জনপ্রিয়তাকে তুলে ধরতে ফগ রাসমুসেন অথবা আন্ডার্স ফগ নামে ডেকে থাকে। মূলতঃ দেশের অন্যান্য প্রথীতযশা রাজনীতিবিদদের নামকে এড়িয়ে চলতেই এই বিভাজ্যতা।
ভিবর্গ ক্যাথেড্রাল স্কুল থেকে ১৯৬৯-১৯৭২ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করে ভাষা এবং সামাজিক বিজ্ঞানে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। ১৯৭৮ সালে আরহাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। জীবনের অধিকাংশ সময়ই রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি এবং তার স্ত্রী এ্যানি-মেতে ১৯৭৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। হেনরিক, মারিয়া এবং ক্রিশ্টিনা নামীয় তিন সন্তান রয়েছে। পেশাদারী রেসে অংশগ্রহণের পর শৌখিন সাইক্লিস্ট হিসেবে রাসমুসেন ২০০৮ ট্যুর ডি ফ্রান্সে অংশগ্রহণ করেন।[২] বার্ন রিসের আমন্ত্রণে লে ট্যুরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি দৌঁড়বিদ হিসেবেও পরিচিত।
রাসমুসেন লিবারেল পার্টি বা ভেনস্ত্রের নেতা ছিলেন। মধ্য ডানপন্থী জোটের প্রধান হিসেবে কনজারভেটিভ পিপল'স পার্টির সহায়তায় নভেম্বর, ২০০১ সালে সরকার প্রধান হন। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ এবং নভেম্বর, ২০০৭ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন ছিলেন। রাসমুসেনের সরকার ডেনিস পিপল'স পার্টির পূর্ণ সহায়তায় দেশ পরিচালনা করেন ও ডেনিস সনাতনী ধারায় সংখ্যালঘু সরকার ব্যবস্থা রক্ষা করেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথমার্ধে কল্যাণমূখী রাষ্ট্রব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি।[৩] এ বিষয়ে তিনি ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত 'ফ্রম সোশ্যাল স্টেট টু মিনিমাল স্টেট' শিরোনামীয় গ্রন্থে তার চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন। কিন্তু পরবর্তীকালে নব্বুইয়ের দশকে তার দৃষ্টিভঙ্গী রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে ও পাল্টে যায়।[৪] তার সরকার ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের জন্যে কঠোর নিয়ম-কানুন ও করের হার বৃদ্ধি না রাখার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। কিছু কর নিম্নমূখী করা হয়। কিন্তু রক্ষণশীল জোটের সদস্যরা আরো কর কাটছাট এবং সমান হারে কর যা ৫০% বেশি হবে না, তার দাবী জানায়।
প্রশাসনিক দিক দিয়ে মিউনিসিপ্যালিটি বা কোমুনারের সংখ্যা কমানো হয়। তার পরিবর্তে ১৩টি কাউন্টি বা এমটার গঠন করা হয় ও ৫টি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। এটিকে তিনি 'গত ত্রিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পুণর্গঠন' হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তার অনেকগুলো বইয়ে কর ও সরকার কাঠামোর চিত্র তুলে ধরেছেন।