![]() আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামাবাদের লোগো | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮০ |
আচার্য | পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি |
সভাপতি | প্রফেসর ডঃ আবব্দুলাহ[১] |
উপ-সভাপতি | ডঃ সাহজাদ চৌধুরী |
উপাচার্য | ডঃ মাহাদ খান |
প্রাধ্যক্ষ | ডঃ ফাহাদ চৌধুরী |
রেক্টর | ডঃ খুজাইমা[২] |
শিক্ষার্থী | ৩০০০০ |
স্নাতক | ১৮৫০০ |
স্নাতকোত্তর | ১০৫০০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
সংক্ষিপ্ত নাম | আ.ই.বি.ই |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | iiu |
![]() |
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ:
সালাফিবাদ |
---|
![]() |
![]() ![]() |
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামাবাদ (আরবি: الإسلامية العالمية إسلام آباد, উর্দু: بين الاقوامی اسلامی يونيورسٹی), পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।[৩] এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইসলামধর্ম, ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।[৪] বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৫ সালে এটি পুনর্গঠন করা হয়।[৫] ২০১২ সালে পাকিস্তান উচ্চ শিক্ষা কমিশন দ্বারা প্রকাশিত পাকিস্তানি জাতীয় শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামাবাদ চতুর্থ স্থান অর্জন করে।[৬][৭] ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজকে রাজনৈতিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।[৮] বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, মানবিক, ললিতকলা, ধর্ম বিষয়ক অধ্যয়ন, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অনুষদ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামাবাদে দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে।
ফয়সাল মসজিদে পুরাতন ক্যাম্পাস অবস্থিত, এই মসজিদটি তুর্কী একটি প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা করেছিল।[৯] সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এই মসজিদটি নির্মাণ করতে অর্থ দান করেছিল। এই মসজিদটি বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদগুলোর একটি। এই মসজিদে প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রার্থনা করতে পারে এবং নারীদের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে।[১০][১১]
ইসলামাবাদের এইচ-১০ খতিয়ানে নতুন ক্যাম্পাস অবস্থিত।[১২] ২০১৩ সালে, নতুন ক্যম্পাসের প্রথম ধাপ নির্মাণ করা হয়। তারপর ২০১৬ সালে মহিলাদের জন্য একটি আলাদা ক্যম্পাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই নতুন ক্যম্পাসেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোতে রয়েছে সাতটি ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বসবাসের জন্য রয়েছে সাতটি ছাত্রাবাস।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ নিচে দেখানো হলো:
ইকরা কলেজ অব টেকনোলজি (আইসিটি) একটি সংবিধান কলেজ, যেটি বি.টেক (অনার্স) এবং ডিপ্লোমার সহযোগী ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম।
ভাষা ও সাহিত্য অনুষদে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, ফার্সি ও উর্দু ভাষার উপর এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি।
ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান অনুষদ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৬ সালে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ ব্যবসা প্রশাসন মাস্টার প্রোগ্রাম ও ১৯৯৮ সালে প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
শরিয়া এবং আইন অনুষদ ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আকাইদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। নথিভুক্তির ছাত্রছাত্রীদের ডক্টরেট প্রোগ্রাম এক বছরের বাধ্যতামূলক করা হয়।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভেতর রয়েছে রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মনোবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং পাকিস্তান অধ্যয়ন, ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্য, গণ যোগাযোগ ও সমাজবিজ্ঞান।
১৯৮১ সালে ইসলামি অধ্যয়ন অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অনুষদে অনর্ভুক্ত রয়েছে তাফসীর এবং কুরআন, বিজ্ঞান, হাদিস, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি সংস্কৃতি, ইবরাহিম ও দর্শন এবং সিরাত লেখক, ইসলামি ইতিহাস এবং দাওয়াত।
১৯৮৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট অব ইসলামি অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থসংস্থানের অর্থায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, প্রচার এবং প্রস্তাব, কর্মীদের জন্য সরকারী এবং বেসরকারী আর্থিক অনুদান প্রতিষ্ঠা করে।
বাংলা ভাষা কেন্দ্র, কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র, ইংরেজি ভাষা প্রস্তুতিমূলক কোর্সে ছাত্রদের সচেষ্ট করার জন্য তালিকাভুক্ত দেশী এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় (উদাহরণস্বরূপ, একটি এইস.ই.সি বৃত্তি) বা কর্মসংস্থান সচেষ্ট করা হয়ে থাকে। এবং একটি ইংরেজি দক্ষতা প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়।
নতুন ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অবস্থিত, এতে মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ এবং আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট এবং ইসলামি অর্থনীতির তিনটি লাইব্রেরি রয়েছে। এই গ্রন্থাগারে রয়েছে বিরল বই, ইসলামি আইন সম্পর্কিত বই, অর্থনীতি ও ইসলামি শাসনের বিবিধ বই-এর সমাহার।
ইসলামি গবেষণা ইনস্টিটিউট গ্রন্থাগার একটি ইসলামি উৎস সম্পর্কিত গন্থাগার।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গ্রন্থাগারে রয়েছে ২৫,০০০ এরও অধিক বই। ১৫টি সাময়িকী এবং ১০টি সংবাদপত্র ক্রয় করা হয়। প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী গ্রন্থাগারে অবস্থান করতে পারে। এছাড়াও সেখানে ৫৫০টি গবেষণা প্রতিবেদন ও নিবন্ধ রয়েছে।
শরিয়া একাডেমি গ্রন্থাগারে রয়েছে ৮,৯৭৫টিরও বেশি বই এবং কোরআন শরীফের গবেষণার জন্য কেন্দ্রে শরিয়া ইসলামি আইন রয়েছে। এছাড়াও আছে বিভাগীয় গ্রন্থাগার, গবেষণা গ্রন্থাগার, ইসলামি অধ্যয়নাগার, অর্ন্তদৃষ্টি গ্রন্থাগার এবং মায়ার গ্রন্থাগার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করেছে জার্নাল অব বিজনেস এবং ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান।
নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে একাডেমিক বন্ধন রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের:
মার্চ ২০১৫ সালে একটি রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, নিরাপত্তাজনিত কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।[১৩]