![]() আন্দ্রেনিক তেয়মৌরিয়ান ২০১৬ সালে অনুশীলনে | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আন্দ্রেনিক তেয়মৌটিয়ান সামারানি | ||
জন্ম | ৬ মার্চ ১৯৮৩ | ||
জন্ম স্থান | তেহরান, ইরান | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | মেশিন সাযি | ||
জার্সি নম্বর | ১৪ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৮-২০০০ | এফসি আরাফাত তেহরান | ||
২০০০-২০০২ | এস্টেঘাল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০২-২০০৪ | অঘাব এফসি | ||
২০০৪-২০০৬ | এফসি আবোমস্লে | ৪৪ | (৩) |
২০০৬-২০০৮ | বোল্টন | ২০ | (২) |
২০০৮-২০১০ | ফুলহাম | ১ | (০) |
২০০৯ | → বার্নসলি (লোন) | ১১ | (০) |
২০১০-২০১১ | ট্রাক্টর | ২১ | (১) |
২০১১-২০১২ | এস্টেঘাল | ২৫ | (১) |
২০১২-২০১৩ | আল খারাইতিয়াত | ২০ | (০) |
২০১৩-২০১৫ | এস্টেঘাল | ৩৬ | (১) |
২০১৫ | ট্রাক্টর | ১৩ | (৩) |
২০১৫-২০১৬ | উম সালাল | ১৪ | (০) |
২০১৬ | সেইপা | ৪ | (০) |
২০১৬– | মেশিন সাযি | ৬ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৫ | ইরান বি | ৬ | (০) |
২০০৫- | ইরান | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
আন্দ্রেনিক তেয়মৌরিয়ান (আর্মেনীয়: Անդրանիկ Թէյմուրեան, ফার্সি: آندرانيک تیموریان; জন্ম ৬ মার্চ ১৯৮৩) একজন ইরানী ফুটবলার, যিনি বর্তমানে পার্সিয়ান প্রো লিগে 'মেশিন সাজি 'এবং ইরান জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলে। তিনি সাধারনত ডিফেন্সিভ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে, কিন্তু প্রায় ওয়াইড মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন। তিনি ইরান জাতীয় দলের ১ম খ্রিস্টান ধর্মালম্বী অধিনায়ক। তিনি ইরানের তেহরান শহরে সংখ্যালঘু আর্মেনিয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আন্দ্রেনিক ইরানের আঘাব এফসি ক্লাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৫-০৬ মৌসুমে এফসি আবোমস্লে ক্লাবে পেশাদার ফুটবল শুরু করে।
২০০৬ সালের আগস্টের শেষে ২ বছরের চুক্তিতে ইংলিশ ক্লাব বোল্টনে যোগ দেয়। ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি ডঙ্কাস্টার লোভার ক্লাবের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে, ঐ ম্যাচে আন্দ্রেনিক ২ টি গোল করে। ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়। তার ১ম ২টি লিগ গোল দেন উইগানের বিপক্ষে ৭ এপ্রিল ২০০৭ সালে।
২০০৮ সালের ১২ জুন আন্দ্রেনিক ২ বছরের চুক্তিতে এবং ফ্রি ট্রান্সফারে ফুলহামে যোগ দেয়। ফুলহামের হয়ে তার অভিষেক হয় আর্সেনালের বিপক্ষে। ঐ ম্যাচে ফুলহাম ১-০ গোলে জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বার্নসলিতে ১ বছরের জন্য লোনে যোগ দেয়। ১ জুলাই ২০১০ সালে আন্দ্রেনিকের সাথে ফুলহামের চুক্তি শেষ হয়।
২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ইরানে ফিরে আসে এবং ট্র্যাক্টর সাযি'তে যোগ দেয়। এই ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ার শেষ করেন।
২০১১ সালের জুলাইয়ে আন্দ্রেনিক তেহরানের দল এস্টেঘলালে যোগ দেন। ৯ নভেম্বর সেপাহানের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বরে এশিয়ার সেরা ১০ ফুটবলারদের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। ১ম মৌসুমেই হাযফি কাপ জয় করেন।
আন্দ্রেনিক ১ বছরের চুক্তিতে কাতারের ক্লাব আল খারাইতিয়াতে যোগ দেন। তাকে আল খারাইতিয়াত ১.৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করেন। ২০১৩ সালের ১ জুলাইয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি ক্লাব ছাড়েন।
২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আন্দ্রেনিক ৩ বছরের চুক্তিতে আবার এস্টেঘালে যোগ দেয়। তার ১ম ম্যাচে সেপাহানের কাছে ১-২ গোলে পরাজিত হয়। ২ আগস্ট আন্দ্রেনিক ২০১৩-১৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ।
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর আন্দ্রেনিক ১৮ মাসের চুক্তিতে প্রাক্তন ক্লাব ট্র্যাক্টর গাযিতে যোগ দেয়। ১ম ম্যাচেই সাবা কমের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে গোল দেন।
২০১৫ সালের ১৩ জুলাই, আন্দ্রেনিক কাতারের ক্লাব উম সালালে যোগ দেয়। কোচের সাথে ঝামেলায় আন্দ্রেনিক ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ক্লাব ছাড়েন।
২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারিতে আন্দ্রেনিক ৬ মাসের চুক্তিতে সেইপা ক্লাবে যোগ দেন। ইনজুরির কারণে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে জুলাইয়ে ক্লাব ছাড়েন।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে আন্দ্রেনিক ১ বছরের চুক্তিতে পার্সিয়ান গালফ প্রো লিগে সদ্য উন্নীত হওয়া মেশিন সাযি'তে যোগ দেয়।
আন্দ্রেনিক ইরানের জাতীয় দলে খেলার আগে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলেন। ২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি ইরানের হয়ে খেলেছেন। ২০০৭ এবং ২০১১ এশিয়ান কাপে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২০১৪ সালের ১৮ মে, আন্দ্রেনিক প্রথম খ্রিস্টান হিসেবে ইরানকে নেতৃত্ব দেন। বেলারুশের বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। ২০১৪ সালের ১ জুলাই তিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ডাক পান। আন্দ্রেনিক ২০১৪ বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচের পুরো সময় খেলেছেন, এবং বিশ্বকাপে ইরানের হয়ে সবচেয়ে ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ড করেন। ২০১৫ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে দলে ডাক পান। সে ঐ টূর্নামেন্টে ১ টি এসিস্ট করেন। জাভেদ নেকুয়ামের অবসরের পর আন্দ্রেনিক অধিনায়ক নির্বাচিত হয়।
আন্দ্রেনিক তেয়মৌরিয়ান অধিনায়ক হিসেবে শততম ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ১-০ গোলে হারায়।