আফগানিস্তান জাতীয় জাদুঘর

আফগানিস্তান জাতীয় যাদুঘর
২০১০ সালে আফগানিস্তান জাতীয় যাদুঘরের বাইরের দিক
মানচিত্র
স্থাপিত১৯২২
অবস্থানকাবুল, আফগানিস্তান
সংগ্রহের আকার১৯৭৮-এর আগে প্রায় ১,০০,০০০; এখন ৩০,০০০

আফগানিস্তান জাতীয় যাদুঘর (ফার্সি: موزیم ملی افغانستان, Muzem-e milli-ye Afghanistan; পশতু: د افغانستان ملی موزیم, De Afghanistan Milli Meauziam), এছাড়াও আফগান জাতীয় যাদুঘর নামে পরিচিত অথবা মাঝেমধ্যে কাবুল জাদুঘর নামেও ডাকা হয়, আফগানিস্তানের কাবুল শহরের কেন্দ্রের ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বিপক্ষীয় ভবন। ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, যাদুঘরটি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিস্তৃতি লাভ করে, যার পাশাপাশি দর্শকরা খুব সহজে আরাম আয়েশ করতে পারে এবং সুবিশাল উদ্যানটি ঘুরে বেড়াতে পারে।[][]

মধ্য এশিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী জাদুঘরগুলির মধ্যে অন্যতম একটি যাদুঘর ছিল এটি,[] এখানে ১০০,০০০ এর অধিক স্বতন্ত্র বস্তু সৃশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত রয়েছে। ১৯৯২ সালের গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে জাদুঘরটির বহুবার লুটপাট করা হয়েছিল, যার ফলে প্রদর্শনীর ১০০,০০০ বস্তুর উপর প্রায় ৭০% ক্ষতি সাধন হয়েছিল।[] ২০০৭ সাল থেকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ৮,০০০ টির উপরে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে সাহায্য করে। সবচেয়ে সাম্প্রতিকতম বস্তু হিসেবে চুনাপাথর এর ভাস্কর্য জার্মানি থেকে নিয়ে আসা হয়।[] বিখ্যাত ১ম শতকের সময়ে বাগরাম ইভরিরিসহ ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৮৪৩ টি জিনিসপত্র ফেরত আনা হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আফগান জাতীয় যাদুঘরটি ১৯১৯ সালে রাজা আমানউল্লাহ খানের শাসনামলে নির্মাণ করা হয়েছিল।[] জাদুঘরের অভ্যন্তরের সংগ্রহশালাটি শহরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং ১৯২২ সালে 'কূটনৈতিক মন্ত্রিসভা' হিসেবে বরাদ্দ করা হয়।[] ১৯৭৩ সালে একটি ড্যানিশ স্থপতি চিত্রশিল্পের জন্য একটি নতুন ভবন নকশার জন্য ভাড়া করা হয়, কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।[]

আফগানিস্তান জাতীয় যাদুঘরের ভিতর

জাদুঘরটির সংগ্রহশালা মধ্য এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল যা কয়েক হাজার সহস্রাব্দ ধরে মিলিত ১০০,০০০ টি বস্তুর সমন্বয় গঠন করা হয়েছিল।[] প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহ সরকারের পতনের পর ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরবর্তী সময়ে জাদুঘরের অনুলিপিতে বহুবার লুটপাট হয় যার ফলে প্রদর্শনীর ১০০,০০০ বস্তুর উপরে ৭০% ক্ষতি সাধন হয় হয়।[][]

২০১২ সালে স্পেন থেকে আগত একটি আর্কিটেকচার ফার্ম আফগান জাতীয় জাদুঘরের নতুন নকশার জন্য আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতা জয় লাভ করে।[] আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যাদুঘরটি প্রসারিত করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নতুন করে কাজ শুরু হয়। যার সুবাদে দর্শকরা খুব সহজে আরাম করতে পারে এবং চারপাশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য একটি বৃহৎ উদ্যান রয়েছে।[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bustler। "Winners of the National Museum of Afghanistan Competition" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. "U.S. and Afghan Officials Inaugurate New Facilities for the National Museum" (ইংরেজি ভাষায়)। kabul.usembassy.gov। ডিসেম্বর ৫, ২০১৩। ২০১৪-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪ 
  3. Girardet, Edward; Jonathan Walter, সম্পাদকগণ (১৯৯৮)। Afghanistan (ইংরেজি ভাষায়)। Geneva: CROSSLINES Communications, Ltd.। পৃষ্ঠা 291। 
  4. Lawson, Alastair (১ মার্চ ২০১১)। "Afghan gold: How the country's heritage was saved"BBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১১ 
  5. (31 January 2012) Germany returns Afghan sculpture bbc.co.uk/news/
  6. (19 July 2012) Looted art returned to Afghanistan, bbc.co.uk
  7. Afghanistan: Hidden Treasures from the National Museum, Kabul (2008), p. 35. Eds., Friedrik Hiebert and Pierre Cambon. National Geographic, Washington, D.C. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪২৬২-০৩৭৪-৯.
  8. Meharry, Joanie Eva The National Museum of Afghanistan: In Times of War, The Levantine Review, http://www.levantinecenter.org/arts/cultures/central-asia/afghan/national-museum-afghanistan-times-war ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে
  9. Grissmann, Carla (ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০০৪)। "KABUL MUSEUM"Ehsan YarshaterEncyclopædia Iranica (ইংরেজি ভাষায়) (Online সংস্করণ)। United States: Columbia University 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]