আফগানিস্তানের সব খনিজ সম্পদ পেট্রোলিয়াম ও খনি মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৫ ই আগস্ট তালেবান কর্তৃক আফগান দখলের পর তারা এসব নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সেসব উত্তোলনে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মন্ত্রকটির সদর দপ্তর কাবুলে হলেও দেশের অন্যান্য অংশে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে এবং আফগানিস্তানে ১,৪০০ টিরও বেশি খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে। [১] [২] [৩] ব্যারাইট, ক্রোমাইট, কয়লা, তামা, সোনা, লৌহ, সীসা, আকরিক, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, মূল্যবান ও আধা-মূল্যবান পাথর, লবণ, সালফার, লিথিয়ামসহ অন্যান্য অনেক দামী খনিজ সম্পদ দেশটিতে ছড়িয়ে আছে। [১] [৪] [৫] রত্নপাথরের মধ্যে রয়েছে উচ্চমানের পান্না, ল্যাপিস লাজুলি, লাল গার্নেট ও রুবি । পেন্টাগন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের যৌথ সমীক্ষা অনুসারে আফগানিস্তানে আনুমানিক প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের [৬] অপ্রয়োগকৃত খনিজ রয়েছে।
আফগানিস্তানে মোট ছয়টি ল্যাপিস খনি রয়েছে, এর সবচেয়ে বড়টি বাদাখশান প্রদেশে অবস্থিত। লোগার প্রদেশে অবস্থিত আয়নাক তামার আমানতসহ দেশে প্রায় ১২টি তামার খনি রয়েছে। [৭] শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে আফগানিস্তানের তাৎপর্য মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও আরব সাগরে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুৎ রপ্তানির ট্রানজিট রুট হিসেবে ভৌগোলিক অবস্থান থেকে উদ্ভূত। এ সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে ট্রান্স -আফগানিস্তান গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ, যা সম্ভাব্য পর্যায়ে রয়েছে। আফগানিস্তানে তেল উৎপাদন শুরু হয় ২০১২ সালের শেষ দিকে।