ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আফাক হোসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লখনউ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - ভারত) | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০২ করাচি, পাকিস্তান | (বয়স ৬২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৮) | ২১ অক্টোবর ১৯৬১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৪ ডিসেম্বর ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ জুলাই ২০২০ |
আফাক হোসেন (উর্দু: آفاق حسین; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ - মৃত্যু: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০২) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লখনউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাকিস্তান ইউনিভার্সিটিজ ও পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলত অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। তিনি ডানহাতে ব্যাটিং ও ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত আফাক হোসেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ ভালোমানের রেকর্ড ছিল তার। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে দুইয়ের অধিক খেলায় অংশ নিতে পারেননি। অংশগ্রহণকৃত ৬৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় পাঁচবার দশ উইকেট পেয়েছেন। তবে, ঐ সময়ে পাকিস্তানের দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারদের সাফল্যের কারণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছিল।
দ্রুতলয়ে অফ স্পিন বোলিং করতেন আফাক হোসেন।[২] এছাড়াও, নিচেরসারির কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সুনাম ছিল। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরূপে রেলওয়েজ ও কোয়েটার সম্মিলিত দলের বিপক্ষে ৮/১০৮ লাভ করেন।[৩]
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে কায়েদ-ই-আজম ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় করাচি বি-এর বিপক্ষে করাচি এ-এর সদস্যরূপে এগারো নম্বরে নেমে ৮৭ রান তুলেছিলেন। এ পর্যায়ে পাকিস্তানের মাটিতে শেষ উইকেট জুটিতে ওয়ালিস ম্যাথিয়াসের সাথে প্রথমবারের মতো শতরানের জুটি করেছিলেন। ১৯৬৩ সালে পিআইএ’র সৌজন্যে পাকিস্তান ঈগলেটসের সদস্যরূপে আবারও ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। পরবর্তীতে, খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময় পিআইএ’র পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯.৪২ গড়ে সর্বমোট ২১৪টি উইকেট করায়ত্ত্ব করেন।
২৪.৫৪ গড়ে ১,৪৪৮ রান তুলেছেন। একমাত্র শতরানের ইনিংসটি করেন ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে। লাহোরের বাগ-ই-জিন্নায় লাহোর ব্লুজের বিপক্ষে পিআইএ’র সদস্যরূপে অপরাজিত ১২২ রান করেন।[৪] এছাড়াও, ৫২টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আফাক হোসেন। ২১ অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে লাহোরে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
এমসিসি’র বিপক্ষে লিয়লপুরে ঘাসে পূর্ণ পিচে গভর্নর একাদশের সদস্যরূপে ৬/৮৯ লাভের প্রেক্ষিতে টেস্ট দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল পাকিস্তান গমনে আসে। লাহোর টেস্টে ইংরেজ দলনেতার হিট উইকেটই তার একমাত্র সাফল্য ছিল। এ টেস্টেই তিনি তার সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩ রান তুলেন।
১৯৬২ সালে দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে রাখা হয়। কিন্তু কোন টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। এ সফরের ২৯টি খেলার মধ্যে তিনি কেবলমাত্র ৬টি অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন। ৪৩.৬১ গড়ে মাত্র ১৩ উইকেট পান। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান ঈগলেটসের সদস্যরূপে আবারও যান।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন। এ পর্যায়ে ১৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলার মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে অংশ নেন। মেলবোর্ন টেস্টে তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু কোন উইকেট লাভে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
আফাক হোসেন অনবদ্য টেস্ট রেকর্ডের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। আউট বাদেই সর্বাধিকসংখ্যক ৬৬ রান করেন তিনি। অক্টোবর, ১৯৬১ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০ ও অপরাজিত ৩৫ রান করেন। এরপর, ডিসেম্বর, ১৯৬৪ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ৮ ও অপরাজিত ১৩ রান তুলেন।[১]
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ তারিখে ৬২ বছর বয়সে সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় আফাক হোসেনের দেহাবসান ঘটে।