আবউইন | |
---|---|
Place | |
Arabic প্রতিলিপি | |
• Arabic | عبوين |
দেশ | ফিলিস্তিন |
সরকার | রামাল্লাহ ও আলবির |
সরকার | |
• পৌরসভা প্রধান | ফাতেমা শিওয়াইল |
আয়তন | |
• মোট | ১৬২০৫ দুনামs (১৬.২০৫ বর্গকিমি or ৬.২৫৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০৭[১]) | |
• মোট | ৩,১১৯ |
• জনঘনত্ব | ১৯০/বর্গকিমি (৫০০/বর্গমাইল) |
Name meaning | from a personal name[২] |
ওয়েবসাইট | www.abwain.org |
আবউইন ( আরবি: عبوين ) রামাল্লা ও আল-বিরহ গভর্নরেটের একটি ফিলিস্তিনি গ্রাম, উত্তর পশ্চিম তীরে রামাল্লা থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০০৭ সালে আবউইনের জনসংখ্যা ছিল ৩১১৯ জন। আবউইন এর প্রধান কৃষি পণ্য হল জলপাই, ডুমুর, আঙ্গুর, আপেল, পীচ, নাশপাতি এবং শাকসবজি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই শহরে তিনটি স্কুল রয়েছে যেখানে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এবং প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফিলিস্তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে। আবওয়াইনের তিনটি মসজিদ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির নামহলো ফারুক মসজিদ।[৩]
আবউইন রামাল্লা থেকে ১৪.৩ কিমি উত্তরে অবস্থিত। এর সীমান্তে রয়েছে- পূর্বে জিলিলিয়া ও সিনজিল, উত্তরে রয়েছে আমুরিয়া ও আল-লুবান ছাই-শারকিয়া, এর পশ্চিমে রয়েছে বানি জাইদ ছাই শারকিয়া এবং দক্ষিণে রয়েছে আতারা।
এখানে দ্বিতীয় লৌহ যুগ, পারস্য, হেলেনিস্টিক, বাইজেন্টাইন এবং ক্রুসেডার / আইয়ুবিদের যুগের মৃৎপাত্রের শের্ড পাওয়া গেছে।[৪] রেইনহোল্ড রোহরিক আবউইনকে ক্যাসেল বুবিল বা ক্যাসেল বুবিন এর ক্রুসেডার গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।[৫] গ্রামে আশ-শেখ ইয়াকুব নামে একটি পুরানো মাকাম (পবিত্র ব্যক্তির সমাধি) রয়েছে। মোশে শ্যারনের মতে, সমাধিটি অবহেলিত হয়েছে। সমাধির পাথরটি একটি ছাদে সেকেন্ডারি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিতে মামলুক নাসখী লিপিতে ১৩৩৯ সালের সেপ্টেম্বর তারিখের একটি শিলালিপি ছিল, যেখানে লেখা ছিল যে, তিনি সেই বছর মারা গিয়েছিলেন। এটি শেখ দাউদ ইবনে আহমদের পুত্র হাজ্বী ইয়াকুবকে উত্সর্গ করেছিলেন। এটি সেই সময়ের মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদকেও নির্দেশ করে ।[৬] মামলুক যুগের মাটির পাত্রের দ্রব্য [৪] এবং ৪০৬টি রৌপ্য মুদ্রা, সুলতানের সময়কালের থেকে বহু ধন-সম্পদ ও বেইবারাস পাওয়া গেছে।[৭]
এ যুগে গ্রামটিকে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল। অটোমান সাম্রাজ্যের প্যালেস্টাইন অংশে ১৫১৭ ও ১৫৯৬ টি এলাকা রেজিস্টার করা হয়েছিল, যেখানে নাহিয়াকে কুদস এর সাব জেলা হিসাবে লিওয়ার অংশ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর জনসংখ্যা ছিল ৫৩টি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তারা সকলেই মুসলমান ছিল। গ্রামবাসীরা গম, বার্লি, জলপাই গাছ, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, ফলের গাছ, ছাগল এবং/অথবা মৌমাছির উপর ৩৩.৩% একটি নির্দিষ্ট কর প্রদান করেছিল; মোট ৮৭৫০ একসা . সমস্ত রাজস্ব ওয়াকফের জন্য চলে যেত।[৮] ১৮৩৮ সালে এটি বনি জেইদ প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি মুসলিম গ্রাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[৯] ১৮৭০ সালে ভিক্টর গুয়েরিন গ্রামটি পরিদর্শন করেন, যাকে তিনি "আ'ইউইন" নামে অভিহিত করেছিলেন এবং অনুমান করেছিলেন যে এটিতে প্রায় ৩০০ জন বাসিন্দা ছিল। তিনি এটিকে প্রচুর জলের উৎস, সুন্দর আখরোট গাছ, ডুমুর, জলপাই এবং ডালিম সহ বাগান হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[১০] ১৮৭০ সালের প্রায় একই বছরের একটি অটোমান গ্রামের তালিকায় দেখা গেছে যে আবউইনের ১৫৮টি বাড়ি এবং জনসংখ্যা ৪২৯ জন, যদিও জনসংখ্যার সংখ্যা শুধুমাত্র পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১১][১২] ১৮৮২ সালে,পিইএফ এর পশ্চিম ফিলিস্তিন সার্ভে, একটি পাহাড়ের ঢালের উপর অবস্থিত এ গ্রামকে আবউইন নামে বর্ণনা করেছে এবং এ গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণে ভালো জলপাই গাছ আছে।[১৩] ১৮৯৬ সালে আবউইনের জনসংখ্যা প্রায় ৯৩৩ জন বলে অনুমান করা হয়েছিল।[১৪]
ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত ফিলিস্তিনের ১৯২২ সালের আদম শুমারিতে, আবউইনের জনসংখ্যা ছিল ৫৪৩ জন মুসলমান, [১৫] ১৯৩১ সালের আদম শুমারিতে ১৭১টি বাড়িতে ৬৯৫ জন মুসলিম ছিল।[১৬] ১৯৪৫ সালের পরিসংখ্যানে জনসংখ্যা ছিল ৮৮০ জন মুসলমান।[১৭]একটি সরকারী ভূমি ও জনসংখ্যা জরিপ অনুসারে যেখানে মোট ভূমির পরিমাণ ছিল ১৬২০৫ ডুনাম। [১৮] এর মধ্যে ১৮৬৩টি আবাদ এবং সেচযোগ্য জমির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, ৮২৯৬টি শস্যের জন্য[১৯] এবং যেখানে ৩৬টি ডুনামকে বিল্ট আপ এলাকা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।[২০]
১৯৪৮সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিগ্রহ চুক্তির পর, আবউইয়েন জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে। ১৯৬১ সালের জর্ডানের আদম শুমারিতে ১১৭৪ জন বাসিন্দা পাওয়া গেছে।[২১]
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে , আবউ্নি ইসরায়েলি দখলের অধীনে ছিল। ১৯৯৫ সালের চুক্তির পর, গ্রামের জমির ৭৯.৮% এলাকা এ হিসাবে, ৯,২% এলাকা বি হিসাবে এবং বাকি ১১% এলাকা সি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আবউইনের মধ্যে শাকউইল কাসল ১৯৯৬ সালে সংস্কার করা হয় [২২] ২০০৫ সালে, এটি ১৩ সদস্যের পৌরসভা ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা শহরের বেসামরিক বিষয়গুলি পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ফিলিস্তিনের পৌরসভা নির্বাচনে, ২৮ জন প্রার্থী মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ধর্মীয় দলগুলির তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও, ফাতাহ-এর সদস্য স্থানীয় গার্লস হাই স্কুলের অধ্যক্ষ ফাতিমা সাহওয়েল জয়লাভ করেছিলেন। আবউইন মিউনিসিপ্যালিটির ১৩টি আসনের মধ্যে ফাতাহ মোট ১২টিতে জয়ী হয়। আবউইনের বর্তমান বাসিন্দাদের অধিকাংশই সাহওয়েল এবং মাজাহিম পরিবারের অন্তর্গত। 'আবওয়েন মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের মতে, শহরের বাসিন্দারা আবু আইয়ুব আল-আনসারী গোত্রের বংশধর।