আবদুল গনি হাজারী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯৭৬ | (বয়স ৫৪–৫৫)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কবি, সাংবাদিক |
কর্মজীবন | ১৯৪৭-১৯৭৬ |
পুরস্কার | একুশে পদক |
আবদুল গনি হাজারী (১২ জানুয়ারি, ১৯২১ - ১৯৭৬) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সাংবাদিক। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৪ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার ও ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।[১]
হাজারী ১৯২১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নয়াগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি একই বিষয়ে এমএ শ্রেণিতে পড়াশুনা করলেও ডিগ্রি অর্জন করেন নি।[১]
হাজারীর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আলোড়ন পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং জুবলি প্রেসের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি চন্দ্রবিন্দু, মুক্তি নামে বাংলা এবং দ্য রিপাবলিক নামে ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিভিন্ন পদে দ্য পাকিস্তান অবজার্ভার, দৈনিক সংবাদ, পূর্বদেশ, চিত্রালী এবং ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সালে পরিক্রমা পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালে অবজার্ভার গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সের প্রশাসক এবং ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সালে সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি লেখক সংঘ, ঢাকা আর্ট স্কুল (১৯৪৮), ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশি কিছু সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।[১]