আবদুল গফুর মজিদ নূরানী

আবদুল গফুর মজিদ নুরানী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩০-০৯-১৬)১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩০
বোম্বাই, বোম্বে প্রেসিডেন্সি,
(বর্তমানে মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত)
মৃত্যু২৯ আগস্ট ২০২৪(2024-08-29) (বয়স ৯৩)
মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত
প্রাক্তন শিক্ষার্থীগভর্নমেন্ট ল' কলেজ, মুম্বই
জীবিকাআইনজীবি, রাজনৈতিক ভাষ্যকার []

আবদুল গফুর মজিদ নূরানী, (যিনি এ জি নূরানি নামে পরিচিত), (১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ – ২৯ আগস্ট ২০২৪) ছিলেন একজন ভারতীয় আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও লেখক।[] তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং মুম্বই উচ্চ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। []

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

নুরানি ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির মুম্বইয়ে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে জেসুইট স্কুল ও পরে সেন্ট মেরিজ স্কুলে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে মুম্বইয়ের সরকারি আইন কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। []

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বোম্বাই হাইকোর্টে আইনজীবি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বহু উল্লেখযোগ্য মামলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের হয়ে লড়েছেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের দীর্ঘ কাশ্মীর ষড়যন্ত্র মামলায় নুরানি শেখ আবদুল্লার আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাশ্মীরের মানুষেরা তাকে খুব কাছের মানুষ হিসাবে গ্রহণ করে। পরবর্তী কালে তিনি জয়ললিতা এবং করুণানিধির বিরোধের সময় বম্বে হাই কোর্টে করুণানিধির হয়েও লড়েছেন।[]

এ জি নূরানী সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা এবং খ্যাতি পেয়েছিলেন তাঁর লেখালেখির জন্য। দ্য হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ডন, দ্য স্টেটসম্যান, ফ্রন্টলাইন, ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি [] এবং দৈনিক ভাস্কর সহ একাধিক প্রথম সারির সংবাদপত্র এবং সাময়িক পত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন তিনি। এ জি নুরানি ভারতে সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসাবে ছিলেন অগ্রগণ্য। ১৯৮০ এর দশকে শুরু হওয়া ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনের সঙ্গে তার যোগসূত্র ছিল। সেখানে 'সাংবিধানিক প্রশ্ন' -এর উপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে তার লেখাগুলি জটিল আইনি সমস্যাসমূহের সূক্ষ্ম গবেষণা এবং সুষম বিশ্লেষণের জন্য পরিচিত ছিল।[] ভারতীয় সংবিধান এবং কাশ্মীর নিয়ে গবেষণা এবং সম্পাদনা ছিল তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লিখেছেন অনেকগুলি বই। তার লেখা বইয়ের মধ্যে ‘দ্য কাশ্মীর কোয়েশ্চেন’, ‘দ্য ট্রায়াল অব ভগৎ সিংহ’, ‘কনস্টিটিউশনাল কোয়েশ্চেনস অ্যান্ড সিটিজ়েন্স রাইটস’, ‘দ্য আরএসএস অ্যান্ড দ্য বিজেপি: আ ডিভিশন অব লেবার’ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। বদরুদ্দিন তৈয়বজী এবং জাকির হুসেনের জীবনীকারও তিনি।  

নুরানি কাশ্মীরের শেখ আবদুল্লাহকে তার দীর্ঘ বন্দিত্বের সময় রক্ষা করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জে. জয়ললিতার বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন । []

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

এ জি নুরানি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট ৯৩ বছর বয়সে মুম্বইতে মারা যান। []

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

[সম্পাদনা]
  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; OUP, India নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. "এ জি নুরানী প্রয়াত"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০ 
  3. Author Profile। Oxford University Press। ২০১৪-০৪-০৩। আইএসবিএন 9780199400188। ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৭ 
  4. "Interview"। Retro Cities। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ 
  5. Noorani, A. G.। "Author Profile"Economic and Political Weekly। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ 
  6. "A.G. Noorani (1930-2024): Eminent constitutional expert and prolific writer is no more"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০ 
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Retro Cities নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. "The Destruction of Hyderabad"। ২০১৪-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৭ 
  9. "The Kashmir Dispute 1947–2012, Vol. 1"। ২০১৪-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৭ 
  10. "Islam and Jihad"। ২০১৪-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৭ 
  11. "Savarkar and Hindutva"। ২০১৪-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৭