আবিদীন মসজিদ | |
---|---|
Masjid Abidin | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
অবস্থান | |
অবস্থান | কুয়ালা তেরেঙ্গানু, তেরেঙ্গানু, মালয়েশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৫°২০′০৫″ উত্তর ১০৩°০৮′১৬″ পূর্ব / ৫.৩৩৪৬° উত্তর ১০৩.১৩৭৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
ভূমি খনন | ১৭৯৩ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮০৮ |
মিনার | ১ |
আবিদীন মসজিদ (মালয়: Masjid Abidin) হলো তেরেঙ্গানুর একটি পুরনো রাষ্ট্রীয় এবং রাজকীয় মসজিদ। এটি মালয়েশিয়ার সুলতান জয়নাল আবিদীন দ্বিতীয় ১৭৯৩ থেকে ১৮০৮ সালের মধ্যে নির্মাণ করেন। এটি মসজিদ বেসার (গ্র্যান্ড মসজিদ) এবং পুতিহ (সাদা মসজিদ) নামেও বহুল পরিচিত। এটি মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানুর কুয়ালা তেরেঙ্গানুর কেন্দ্রে অবস্থিত। তেরেঙ্গানু হলো ব্যবসা, বাণিজ্যিক এবং লেনদেন সত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য জায়গা। পুরাতন রাজকীয় সমাধি মসজিদটির খুব নিকটে অবস্থিত।
এই মসজিদটি মালয়েশিয়ার সুলতান জয়নাল আবিদীন ইবনে আলমরহুম সুলতান মনসুর রিয়াত শাহ (সুলতান জয়নাল আবিদীন দ্বিতীয়) ১৭৯৩ থেকে ১৮০৮ সালের মধ্যে নির্মাণ করেন। যা "মরহুম মসজিদ" নামেও পরিচিত। মসজিদটি ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো এবং একটি একক প্রার্থনা সেশনে একসাথে প্রায় ২,৫০০ জন লোকের উপসনার জন্য এটিকে সংস্কার করা হয়। ১৭৯৪ থেকে ১৮০৮ সাল পর্যন্ত সুলতান জয়নাল আবিদীন দ্বিতীয়ের শাসনামলে এটি মসজিদ কায়ু (কাঠের মসজিদ) নামে পরিচিত ছিল এবং তারপরে সুলতান জয়নাল আবিদীন তৃতীয়ের শাসনামলে এটি মসজিদ বেসার (বড় মসজিদ) নামে পরিচিত হয়।[১] মসজিদটির মূল নির্মাণ সামগ্রী ছিল কাঠ। কিন্তু সুলতান উমরের শাসনামলে ১৮৫২ সালের দিকে মসজিদটি ইট দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়। "সুলতান ইবনে ইয়াং দিপারতুয়া মুদা তেংকু মাহমুদ" ১৮৮১ সালে দ্বিতীয় সুলতান জয়নাল আবিদীনের দ্বারা নির্মিত পুরানো গম্বুজটির পরিবর্তে একটি নতুন গম্বুজ নির্মাণ করেন। এই মসজিদে ১২৯৮ হিজরি (১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ) এর ১ জামাদিউছ ছানি, শনিবার সকাল ৭টায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুলতান জয়নাল আবিদীন তৃতীয়ের শাসনামলে মসজিদটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। এসময় প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান লোকদের স্থান সংকুলান হওয়ায় মসজিদটি আরো বড় করা হয়। এছাড়াও নতুন করে বৃত্তাকার পাথরের স্তম্ভ স্থাপন করা হয় এবং তিনটি মিনার নির্মাণ করা হয়।[২]
আল-সুলতান ইসমাইল নাসিরুদ্দিন শাহ এর শাসনামলে ১৯৭২ সালে মসজিদটি আবার সংস্কার করা হয়। এসময় মসজিদটির আকার মূল ভবনের দ্বিগুণ করা হয়। একটি উঁচু মিনার ও নতুন গম্বুজ স্থাপন করা হয়। এছাড়াও মসজিদের প্রবেশদ্বারের দরজা এবং গ্রিলগুলোতে কুরআনের আয়াত, প্রার্থনা এবং আরবি শৈলীতে বেশ কয়েকটি ক্যালিগ্রাফি খোদাই করা হয়। অনন্যসুলভ খোদাই করা মিম্বারটি মিস্টার আব্দুল কাদির তৈরি করেন।[৩]
২০০৬ সালে, সুলতান মিজানের শাসনামলে পুনরায় আরেকটি সংস্কার করা হয়। যার মধ্যে গম্বুজ এবং মিনারের নকশা পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি, মূল মসজিদের পূর্ব দিকে একটি নতুন ওযু এলাকা এবং একটি প্রশাসনিক কার্যালয় সংযোজন করা হয়।
রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে যাদেরকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে তাদের তালিকা: