আবু উবায়েদ আল-সাকাফি

আবু উবায়েদ আল সাকাফি
স্থানীয় নাম
أبو عبيد الثقفي
অন্য নামআবু উবায়েদ ইবনে মাস'উদ ইবনে আমর ইবনে উমাইদ ইবনে আওফ আল সাকাফি (পুরো নাম)
জন্মতায়েফ, আরব উপদ্বীপ
মৃত্যুঅক্টোবর ৬৩৪
ইউফ্রেটিস নদীর তীরে, ব্যাবিলনের নিকট, সাশানিয় সাম্রাজ্য
আনুগত্যখুলাফায়ে রাশেদিন
সেবা/শাখারাশিদিন সৈন্য
পদমর্যাদাফিল্ড কমান্ডার
যুদ্ধ/সংগ্রামমুসলিমদের পারস্য অভিজান
সম্পর্কআল হাকাম (ভাই)
মুখতার আল-সাকাফি (পুত্র)
জাবের (সন্তান)
সাফিয়া (কন্যা)
জারিয়াহ (কন্যা)

আবু উবায়েদ ইবনে মাস'উদ ইবনে আমর ইবনে উমাইদ ইবনে আওফ আল সাকাফি (আরও আল সাকাফি) (আরবি: أبو عبيد بن مسعود بن عمرو بن عمير بن عوف الثقفی), অথবা শুধুমাত্র আবু উবায়েদ (أبو عبيد), ছিলেন রাশিদুন সেনার একজন কমান্ডার ছিলেন। তিনি পশ্চিম আরবের তায়েফ থেকে এসেছেন,[] এবং বনু সাকিফ গোত্রের লোক ছিলেন।

আল হিয়ায় মুসলিম আরবদের কমান্ডার আল মুথাহান্না মেসোপোটেমিয়ায় শাসানিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় প্রথমে আবু বকর এবং পরে উমরকে সেনা সাহায্য পাঠাতে বলেন। উমর আবু উবায়েদকে নির্বাচন করেন, যিনি আগেও যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, যদিও তিনি মুহাজির অথবা আনসার ছিলেন না।[] উমর তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেন। আবু উবায়েদ তার সাকিফ গোত্র থেকে ১,০০০ জন সৈন্য সংগ্রহ করেন এবং উত্তরের দিকে তার যাত্রায় এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে।[] তিনি মুতাহান্না থেকে দ্বিতীয়বারের মত সৈন্যদের দায়িত্ব নেন এবং আল হিরা অঞ্চলে বাহীনির কমান্ডার হন।[] সম্মিলিত আরব বাহীনি তিসফুন ও আল হিরার মাঝামাঝি অঞ্চলে হামলা চালায়। শাসানিয় বাহিনীর কমান্ডার রুস্তম ফররোখজাদ তাদেরকে আক্রমণ করার জন্য বাহমান জাদুহইয়ার অধীনে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন।[] ব্যাবিলনের নিকট ফোরাত নদীর তীরে যুদ্ধটিতে (সেতুযুদ্ধ নামে পরিচিত) একটি সাদা যুদ্ধহস্তী এর শূঁড় দিয়ে আবু উবায়েদকে তার ঘোড়া থেকে মাটিতে ফেলে দেয় এবং পদদলিত করে। আরব বাহিনী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধে পরাজিত হয়। তার ভাই আল হাকাম এবং সন্তান জাবেরকেও তার পরে হত্যা করা হয়।[][][]

আবু উবায়েদ এছাড়াও শিয়া নেতা মুখতার আল-সাকাফির পিতা, যিনি উমাইয়াদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য দ্বিতীয় ফিতনার সময় একটি বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। আবদুল্লা ইবনে উমরের স্ত্রী সাফিয়া আবু উবায়েদের কন্যা ছিলেন।[]:৩০৫ তার আরেক কন্যা জারিয়াহর বিয়ে হয় উমর ইবনে সা'আদের সাথে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মাজহার উল হক, A Short History of Islam: From the Rise of Islam to the Fall of Baghdad, 571 A.D. to 1258 A.D., দ্বিতীয় সংস্করণ, বুকল্যান্ড, ১৯৭৭, পৃ. ২২৯।
  2. মুজাহিদ, আবদুল মালিক। "Golden Stories of Umar Ibn Al-Khattab (R.A)" (ইংরেজি ভাষায়)। দারুসালাম পাবলিশার্স – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। 
  3. ক্রফোর্ড, পিটার (১৬ জুলাই ২০১৩)। "The War of the Three Gods: Romans, Persians and the Rise of Islam" (ইংরেজি ভাষায়)। পেন্ এন্ড সৌর্দ – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। 
  4. Ibrahim, Mahmood (১ নভেম্বর ২০১১)। "Merchant Capital and Islam" (ইংরেজি ভাষায়)। University of Texas Press – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। 
  5. Biladuri, Ahmad Bin Yahya Bin Jabir Al (১ মার্চ ২০১১)। "The Origins of the Islamic State: Being a Translation from the Arabic Accompanied With Annotations, Geographic and Historic Notes of the Kitab Futuh Al-buldan" (ইংরেজি ভাষায়)। Cosimo, Inc. – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। 
  6. Richard Nelson Frye, The Cambridge History of Iran: The period from the Arab invasion to the Saljuqs, (Cambridge University Press, 1975), 8-9.
  7. Nafziger, George F.; Walton, Mark W. (৩০ আগস্ট ২০১৭)। "Islam at War: A History" (ইংরেজি ভাষায়)। Greenwood Publishing Group – গুগল বুকস-এর মাধ্যমে। 
  8. Muhammad ibn Saad. Kitab al-Tabaqat al-Kabir vol. 8. Translated by Bewley, A. (1995). The Women of Madina. London: Ta-Ha Publishers.