আবুল বারাকাত আন-নাসাফি أبو البركات النسفي | |
---|---|
উপাধি | হাফিজ উদ্দিন |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৭১০ হিজরি = ১৩১০ খ্রিস্টাব্দ |
ধর্ম | ইসলাম |
যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ |
অঞ্চল | মা ওয়ারা আল-নাহার (মধ্য এশিয়া) |
আখ্যা | সুন্নী |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
প্রধান আগ্রহ | তাফসির, ফিকহ (ইসলামি আইন শাস্ত্র), উসুলে ফিকহ, উসুলুদ দীন, আকিদা, কালাম (ইসলাম ধর্মতত্ত্ব), তাওহিদ, ইলমে হাদিস |
উল্লেখযোগ্য কাজ | মাদারিকুত তানজিল ওয়া হাকায়িকিত তা'বিল |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
আবুল বারাকাত আন-নাসাফি (আরবি: أبو البركات النسفي ; ইংরেজি : Abul Barakat An-nasafi) ছিলেন সুন্নী ইসলামের একজন বিশিষ্ট হানাফি পণ্ডিত । তিনি মুফাসসির তথা আল কুরআনের বিখ্যাত ভাষ্যকার ছিলেন। "মাদারিকুত তানজিল ওয়া হাকায়িকিত তা'বিল" (مدارك التنزيل وحقائق التأويل) তার রচিত একখানি সুপ্রসিদ্ধ তাফসির গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি তাকে সুপরিচিত করে রেখেছে ।
তিনি হানাফী আইনশাস্ত্রের (ফিকহে হানাফির) অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং সুন্নী ঐতিহ্যের মাতুরিদি সম্প্রদায়ের তিনি একজন অন্যতম প্রধান পণ্ডিত ছিলেন, যা হানাফিয়ার সাথে সমান্তরালভাবে বিকশিত হয়েছিল, যিনি মধ্য এশিয়ায় ইসলামিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন, বিশেষত ইসলামী বিশ্বে হানাফি বিন্যাস-রীতি এবং মাতুরিদি মতবাদের শিক্ষার প্রচার এবং প্রচুর পরিমাণে বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য রেখে গেছেন।[১]
তিনি ইসলামি শিক্ষার বিভিন্ন শাখায় যেমন তাফসির, ফিকহ ও ইলমে কালামে (ধর্মতত্ত্ব) প্রভৃতিতে সফলভাবে কাজ করেছিলেন। ইসলামি বিজ্ঞানের অবদানের জন্য তাকে 'হাফিজ আল-দ্বীন (ধর্মের রক্ষক) এর সম্মানজনক উপাধি দেওয়া হয়েছিল।[২]
আবদুল হাই লাখনভি তাঁর ভুয়সী প্রশংসা করেন । ইবনে হাজার আসকালানী তাকে বিশ্বের 'আল্লামা' হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং ইবনে তাগরিবারি তাঁকে "শায়খুল ইসলাম" উপাধি প্রদান করেন।[৩]
কিছু বিদ্বান তাকে হানাফী ফিকহে মুজতাহিদ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।[৪][৫]