আব্দুর রউফ চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | আব্দুর রউফ চৌধুরী ১ মার্চ, ১৯২৯ মুকিমপুর, নবীগঞ্জ থানা, হবিগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ |
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ মুকিমপুর, হবিগঞ্জ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | সরকারি কর্মকর্তা |
পরিচিতির কারণ | ঔপন্যাসিক |
সন্তান | ৪ |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমী আজীবন সদস্য (১৯৯৩) |
আব্দুর রউফ চৌধুরী (মার্চ ১, ১৯২৯ - ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৯৬) একজন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। পাঁচটি উপন্যাস, চারটি গল্পগ্রন্থ, চারটি প্রবন্ধ সংকলন, ১০টি গবেষণা ও ইতিহাস গ্রন্থ, ছয়টি ইসলাম বিষয়ে মৌল ও অনুবাদ রচনা, অন্যান পাঁচটি গ্রন্থ, দুটো কবিতাগ্রন্থ এই নিয়ে তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক।
আব্দুর রউফ চৌধুরী ১৯২৯ সালের ১লা মার্চ বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মুকিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম রূপ। তার বাবার নাম আজহর চৌধুরী এবং মায়ের নাম নাজমুন নেসা চৌধুরী। আব্দুর রউফ চৌধুরী মৌলভীবাজার কাশীনাথ স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা এবং হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ-এ থেকে অনার্স পড়েন (১৯৪৭)।
আব্দুর রউফ চৌধুরীর কর্মজীবন শুরু হয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে। তারপর প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিটিশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৬২ সালে। কর্মজীবনে ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৫১ সালে তিনি বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম শিরীন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭১ সাল, গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
আব্দুর রউফ চৌধুরী প্রগতিশীল হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের এর সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলা একাডেমী আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন (১৯৯৩)। তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে হবিগঞ্জ গ্রন্থমেলা পুরস্কারে ভূষিত হন (১৯৯৫)।
সারা জীবন লড়াই করেছেন ডায়াবেটিস, নানাবিধ রোগে। ১৯৯৬ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি আব্দুর রউফ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।
ছোট গল্প সংকলন
প্রবন্ধ সংকলন
গবেষণা ও ইতিহাস