আব্দুর রহমান গালিব | |
---|---|
জন্ম | ১৯৮০ বাজাউর, এফএটিএ, পাকিস্তান |
মৃত্যু | ১১ জুলাই ২০১৭ ওয়াতাপুর, কুনার, আফগানিস্তান | (বয়স ৩৬–৩৭)
আনুগত্য | তেহরিকে নাফাজে শরিয়তে মোহাম্মদি (১৯৯২-২০০৭) তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (২০০৭-২০১৪) ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট (২০১৪-২০১৭) |
আবু সায়েদ নামে পরিচিত আব্দুর রহমান গালিব ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি জঙ্গি। তিনি খোরাসান ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট -এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি ১৯৮০-এর দশকে পাকিস্তানের ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটেড ট্রাইবাল এরিয়াসের অংশ বাজাউর এজেন্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি তেহরিক-ই-নাফাজ-ই-শরিয়ত-ই-মোহাম্মদি-তে যোগ দেন এবং পরে আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে লড়াই করেন। ২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর তিনি ইসলামি শিক্ষালাভের জন্য বাজাউরে ফিরে আসেন এবং টিএসএনএমে কাজি নিযুক্ত হন। তিনি টিএনএসএম নেতা মৌলভী ফকির মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০০৭ সালে তার সাথে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানে যোগ দেন।
২০১১ সালে আব্দুর রহমান বাজাউরে টিটিপি নেতার সহকারী ছিলেন। ২০১২ সালের বিমান হামলায় টিটিপি প্রধান জামাল সৈয়দকে ("দাদুল্লাহ") হত্যা করার পরে তাকে মিথ্যা দোষী সাব্যস্ত করা হয়।[১]
দাদুল্লাহর মৃত্যুর পর আবু বকরকে টিটিপির নির্বাচিত করা হয় এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবু বকর খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট - এ যোগদান করলে আব্দুর রহমান তাকে অনুসরণ করেন। ২০১৬ সালের আগস্টের শেষের দিকে আব্দুর রহমান নঙ্গরহার প্রদেশের আমির ছিলেন এবং আব্দুল হাসিব লোগারির একজন সহকারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
আব্দুর রহমান কুনার প্রদেশে আইএসের অভিযান সম্প্রসারণের পিছনে চালিকা শক্তি ছিলেন।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে আইএসকেপির খিলাফত ঘাগ রেডিও তার সাক্ষাৎকার নেয় এবং সে বলে যে, জিহাদ "যুক্তরাষ্ট্র জয় করা এবং তার নাগরিকদের উপর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত" অব্যাহত থাকবে।[২]
২০১৭ সালের ১১ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কুনার প্রদেশের ওয়াতাপুর জেলায় ড্রোন হামলায় তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।[৩]