ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম | [১] | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯০||
জন্ম স্থান | সাফি, মরক্কো | ||
উচ্চতা | ১.৮২ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | আল ইত্তিহাদ | ||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১০–২০১৩ | সাফি | ৫৫ | (৩০) |
২০১৩–২০১৪ | আলেসুন্দস | ২৭ | (১৫) |
২০১৪–২০১৫ | কুয়াংচৌ সিটি | ৩২ | (২৫) |
২০১৫–২০১৭ | আল জাইশ | ২৩ | (২১) |
২০১৭–২০১৮ | আল রাইয়ান | ২০ | (১৮) |
২০১৮–২০২১ | আল নাসর | ৭৪ | (৭৭) |
২০২১– | আল ইত্তিহাদ | ৩০ | (২৭) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৯–২০১১ | মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ | ১৬ | (৮) |
২০১২– | মরক্কো | ২২ | (৬) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৬:২৮, ২৬ মার্চ ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৬:২৮, ২৬ মার্চ ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
আব্দুর রাজ্জাক হামদাল্লাহ (আরবি: عبد الرزاق حمد الله, ইংরেজি: Abderrazak Hamdallah; জন্ম: ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯০) হলেন একজন মরক্কী পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর সৌদি পেশাদার লিগের ক্লাব আল ইত্তিহাদ এবং মরক্কো জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।[২][৩] তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তার গোল করার ক্ষমতার জন্য তাকে "দ্য এক্সিকিউটার" নামে ডাকা হয়।[৪][৫]
২০০৯ সালে, হামদাল্লাহ মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে মরক্কোর বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় দুই বছর যাবত মরক্কোর বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১২ সালে মরক্কোর হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; মরক্কোর জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ২২ ম্যাচে ৬টি গোল করেছেন।
আব্দুর রাজ্জাক হামদাল্লাহ ১৯৯০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর তারিখে মরক্কোর সাফিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। হামদাল্লাহ তার পরিবারের সাত সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি তার শৈশব সম্পর্কে বলেছেন:
আমি যে শহরে [সাফিতে] জন্মেছি সেই শহরের অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে রাস্তায় ফুটবল খেলতে শুরু করি। কিশোর বয়সে আমি শহরের একটি ক্লাবে ভর্তি হই। আমি স্কুলের পরে এবং পুরো সপ্তাহান্তে প্রায় প্রতিদিনই খেলতাম। আমার বড় ভাই সবসময় আমাকে সমর্থন করত। তিনি আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেছেন।[৬]
হামদাল্লাহ তার প্রাথমিক ফুটবল শিক্ষা পেয়েছিলেন তার প্রথম দল সাফিতে যোগদান করার পূর্বে নাজম শাবাব সাফি ক্লাব হতে। সাফির হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার পেশাদার ফুটবল শুরু করেছিলেন। ২০১০–১১ বুতুলাহ মৌসুমে তিনি মরক্কো চ্যাম্পিয়নশিপে তার প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। তিনি দিফা হাসানি আল জাদিদির বিপক্ষে দলের হয়ে তার প্রথম গোলটি করতে সক্ষম হন। রাজার বিপক্ষে মরক্কী সিংহাসন কাপে তার প্রথম ম্যাচে হামদাল্লাহ সাফির হয়ে দুটি গোল করেছিলেন, ম্যাচটি তারা ৩–২ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। ২০১১–১২ বুতুলাহ মৌসুমে গোল করার ক্ষেত্রে হামদাল্লাহর আসল শুরু চিহ্নিত করেছিল, কারণ তিনি ১৫টি গোল করে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থেকে উক্ত মৌসুম শেষ করেছিলেন, চাদীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় কার্ল ম্যাক্স বার্থেলেমি তার চেয়ে দুই গোলে এগিয়ে ছিলেন।[৭] ২০১২–১৩ বুতুলাহ মৌসুমে, হামদাল্লাহ প্রতিযোগিতার প্রথম দুই-তৃতীয়াংশে ১৫টি গোল করেছিলেন এবং ২০১৩ সালের মার্চ মাসে নরওয়েজীয় ক্লাব আলেসুন্দসের সাথে পেশাদারভাবে যোগ দিয়েছিলেন।[৮] তিনি উইদাদ ফাইসের বিপক্ষে দলের হয়ে তার প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আলেসুন্দস ক্লাবে হামদাল্লাহর স্থানান্তর মূল্য ছিল এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৯]
হামদাল্লাহ মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে মরক্কোর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মরক্কোর বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ২ বছরে ১৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ৮টি গোল করেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
মরক্কো | ২০১২ | ২ | ০ |
২০১৩ | ৫ | ১ | |
২০১৪ | ৫ | ৫ | |
২০১৫ | ৪ | ০ | |
২০১৯ | ১ | ০ | |
২০২২ | ৫ | ০ | |
সর্বমোট | ২২ | ৬ |