আব্দুররাহমান চিয়ানি | |
---|---|
عبد الرحمن تشياني | |
বাসভূমি প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় পরিষদের সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬ জুলাই ২০২৩ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ বাজুম (রাষ্ট্রপতি) |
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের কমান্ডার | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০১১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৬০/১৯৬১ (৬৩–৬৪ বছর)[১] তিল্লাবেরি অঞ্চল, নাইজার |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | নাইজার বাসভূমি প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় পরিষদ |
শাখা | নাইজার সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৮৪– বর্তমান |
পদ | ব্রিগেড জেনারেল |
যুদ্ধ | বোকো হারাম বিদ্রোহ ২০২১ নাইজারীয় সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ২০২৩ নাইজারীয় সেনা অভ্যুত্থান |
আব্দুররাহমান চিয়ানি (আরবি: عبد الرحمن تشياني, ওমর চিয়ানি নামেও পরিচিত)[১] একজন নাইজারীয় সেনা কর্মকর্তা যিনি নাইজারের সামরিক জান্তা বাসভূমি প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় পরিষদের সভাপতি। তিনি ২০১১ সাল থেকে নাইজারীয় প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান।[২][৩] তিনি ২০২৩ সালের নাইজারীয় সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজুমকে গ্রেপ্তার করে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।[৪] পরবর্তীকালে তিনি ২৮ জুলাই ২০২৩-এ নিজেকে "বাসভূমি প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় পরিষদের সভাপতি" হিসাবে ঘোষণা করেন।
আব্দুররাহমান চিয়ানি তিল্লাবেরি অঞ্চল থেকে আগত, যেটি দেশটির পশ্চিমে নাইজারীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রধান নিয়োগ অঞ্চল।[৫] তিনি ১৯৮৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেনেগালের থিয়েসে সক্রিয় কর্মকর্তাদের জাতীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।[৬]
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের কমান্ডার হওয়ার পূর্বে তিনি জিন্দের, আগাদেজ ও দিফফা অঞ্চলে মাদক পাচার বিরোধী অভিযানে সেনাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।[৬] তিনিই প্রথম কর্মকর্তা যিনি ১৯৮৯ সালে তেনেরে মরুভূমিতে ইউটিএ ফ্লাইট ৭৭২ বিধ্বস্তের স্থানে পৌঁছতে পেরেছিলেন, যার জন্য তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছিল।[৭] তিনি আইভরি কোস্ট, সুদান ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করেছেন।[৮]
২০১১ সালে তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের কমান্ড গ্রহণ করেছিলেন এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাহামাদু ইসোফুয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, যিনি তাঁকে ২০১৮ সালে জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন। ২০২৫ সালে চিয়ানির বিরুদ্ধে ইসোফুয়ের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল, কিন্তু আদালত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।[১]
২০২১ সালে তিনি একটি ইউনিটের নেতৃত্ব সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ দেন; ইসোফুর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উত্তরসূরি মোহাম্মদ বাজুমের শপথ গ্রহণের দুই দিন আগে একটি সামরিক ইউনিট রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ দখল করার চেষ্টা করেছিল, ফলে বাজুম চিয়ানিকে তাঁর পদে বহাল রাখেন।[৫]
২০২৩-এর নাইজারীয় সেনা অভ্যুত্থানের অংশ হিসেবে চিয়ানি ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে রাজধানী নিয়ামেয়ের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে বাজুমকে আটকে রাখতে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের নেতৃত্ব দেন। অভ্যুত্থানটি চিয়ানি কর্তৃক পরিচালিত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, বিশ্লেষকদের মতে তিনি বাজুমকে তাঁর অবস্থান থেকে হটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।[৯] বাজুমের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায় যে তিনি ২৪ জুলাই মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে চিয়ানিকে বরখাস্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।[১০]
২৮ জুলাই চিয়ানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া একটি ভাষণে নিজেকে বাসভূমি প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় পরিষদের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন যে দেশের "ধীর ও অবধারিত পতন" এড়াতে অভ্যুত্থান করা হয়েছিল এবং দাবি করেন যে বাজুম দেশের "কঠোর বাস্তবতা"কে আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন, যাকে তিনি "মৃত, বাস্তুচ্যুত, অপমান ও হতাশার স্তুপ" বলে অভিহিত করেন। তিনি সরকারের নিরাপত্তা কৌশলের কথিত অকার্যকরতার সমালোচনা করেন, কিন্তু পুনরায় বেসামরিক শাসনে ফিরে আসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেননি।[১][১১][১২]