আমজাদ আলি খান | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | মাসুম আলি খান |
জন্ম | গোয়ালিয়র, মধ্য প্রদেশ ও বেরার, ব্রিটিশ ভারত | ৯ অক্টোবর ১৯৪৫
ধরন | হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত |
বাদ্যযন্ত্র | সরোদ |
ওয়েবসাইট | sarod |
আমজাদ আলি খান (উর্দু: امجد علی خان) (জন্ম: ৯ অক্টোবর, ১৯৪৫ - ) একজন স্বনামধন্য ভারতীয় সরোদবাদক তথা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ। আমজাদ আলি খানের জন্মও এক স্বনামধন্য সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে। ১৯৬০-এর দশক থেকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ২০০১ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয়।
১৯৪৫ সালের ৯ অক্টোবর গোয়ালিয়রে আমজাদ আলি খানের জন্ম হয়। তার জন্মগত নাম ছিল মাসুম আলি খান। তিনি ছিলেন গোয়ালিয়র রাজসভার সভাগায়ক হাফিজ আলি খান ও রাহাৎ জাহানের ছয় সন্তানের কনিষ্ঠতম।[১][২] তার পরিবার বঙ্গাশ ঘরানার উত্তরপুরুষ যাঁরা নিজেদের সরোদের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করেন।[২][৩][৪] এক সাধু তার নাম পরিবর্তন করে আমজাদ রাখেন।[১] পিতার নিকট আমজাদ সঙ্গীতে তালিম নেন।[১] তিনি অত্যন্ত অল্পবয়স থেকেই নানা স্থানে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শুরু করেন।[১]
১৯৬৩ সালে আমজাদ আলি খান প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরোদ বাজান। ২০০০-এর দশক পর্যন্ত এদেশে একাধিক অনুষ্ঠানে তাকে সপুত্র সরোদ বাজাতে দেখা গেছে।[১][৫] সারা জীবন ধরে তিনি তার বাদ্যযন্ত্রের উন্নতিতে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন।[৩] আমজাদ আলি খান হংকং ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রায় সরোদ বাজিয়েছেন এবং নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]
১৯৮৯ সালে আমজাদ আলি খান সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ভারত সরকার তাকে ১৯৭৫ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ ও ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।[৬][৭] ২০০৪ সালে তিনি লাভ করেন ফুকুওকা এশীয় সংস্কৃতি পুরস্কার।[৮] ১৯৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেট্স ২০ এপ্রিল তারিখটিকে আমজাদ আলি খান দিবস ঘোষণা করেছিল।[৯] ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হস্টন, টেক্সাস, ন্যাশভিলে, টেনেসি তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে। ২০০৭ সালে টুলসা, ওকলাহামাও তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়।[৯]
আমজাদ আলি খান ১৯৭২ সালে ডায়াবেটিস আক্রান্ত পিতার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার সেবা করেছেন।[১] এই সময় তার পরিবার তার বিবাহ দিলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে ১৯৭৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আমজাদ দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন ভরতনট্যম শিল্পী শুভলক্ষ্মী বড়ুয়াকে।[১] শুভলক্ষ্মী ছিলেন অসমের বাসিন্দা। বিবাহের পর তিনি নাচ ছেড়ে দেন।[১০] তাদের দুই পুত্রের জন্ম হয় – জ্যেষ্ঠ পুত আমান ও কনিষ্ঠ পুত্র আয়ান। দুজনেই পিতার নিকট সঙ্গীতে তালিম নেন।[১] আমজাদ আলি খান মুসলমান হলেও তার স্ত্রী হিন্দু।[২] গোয়ালিয়ারে তার পৈতৃক ভবনটি এখন একটিসঙ্গীত চর্চা কেন্দ্র। বর্তমানে তিনি সপরিবারে নতুন দিল্লিতে বাস করেন।[১১][১২]