আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিপহোল Koninklijke Luchthaven Schiphol | |||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||||||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||||||||||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস | ||||||||||||||||||||||||||||||
অবস্থান | হারলেমার্মির, উত্তর হল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||||||||||||||||||||||
মনোনিবেশ শহর | |||||||||||||||||||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | −১১ ফুট / −৩ মি | ||||||||||||||||||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ৫২°১৮′২৯″ উত্তর ০০৪°৪৫′৫১″ পূর্ব / ৫২.৩০৮০৬° উত্তর ৪.৭৬৪১৭° পূর্ব | ||||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | schiphol.nl | ||||||||||||||||||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||||||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৯) | |||||||||||||||||||||||||||||||
রয়্যাল স্কিপহোল গোষ্ঠী | |||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||
আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিপহোল,[৫] নেদারল্যান্ডসের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি উত্তর হল্যান্ড প্রদেশের হারলেমার্মির পৌরসভায় আমস্টারডামের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯ কিলোমিটার (৫.৬ মাইল)[৪] দূরে অবস্থিত। ২০১২ সালে প্রায় ৭২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বিমানবন্দরটি যাত্রীর পরিমাণের দিক দিয়ে এটি ইউরোপের তৃতীয়-ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বার্ষিক ১.৭৪ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করে এটি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ইউরোপের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিণত হয়। বিমানবন্দরটি একক-টার্মিনাল ধারণা থেকে নির্মিত: একটি বৃহত টার্মিনাল তিনটি বৃহত প্রস্থান হলে বিভক্ত।
স্কিপহোল হল নেদারল্যান্ডসে কেএলএম ও এর আঞ্চলিক অনুমোদিত কেএলএম সিটিহপার পাশাপাশি কোরেনডান ডাচ এয়ারলাইন্স, মার্টিনএয়ার, ট্রান্সভিয়া ও টিইউআই ফ্লাই নেদারল্যান্ডসের কেন্দ্র। বিমানবন্দরটি ইজিজেটের ঘাঁটি হিসাবেও কাজ করে।
স্কিপহোল ১৯১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি সামরিক বিমানবন্দর হিসাবে চালু হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে স্কিপহোল বিমানবন্দরটির বেসামরিক ব্যবহারের সূচনা ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের সামরিক ভূমিকা পুরোপুরি ভাবে বিলুপ্ত হয়। ১৯৪০ সালের মধ্যে, স্কিপহোল বিমানবন্দরে ৪৫ ডিগ্রি কোণে চারটি অ্যাসফল্ট রানওয়ে ছিল। একই বছর বিমানবন্দরটি জার্মান সেনাবাহিনীর দ্বারা দখল করা হয় এবং তার নামকরণ করা হয়েছিল ফিয়েগারহর্স্ট স্কিপহোল। বোমা ফেলার মাধ্যমে বিমানবন্দরটি ধ্বংস করা হয়, তবে যুদ্ধ শেষে শীঘ্রই এয়ারফিল্ডটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৯ সালে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে স্কিপহোল নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক বিমানবন্দর হয়ে উঠবে। স্কিপহোল বিমানবন্দরকে ২০২০ সালে পশ্চিম ইউরোপের সেরা বিমানবন্দর হিসাবে ভোট দেওয়া হয়।[৬]
বিমানবন্দরের মিডিয়া বিভাগের মতে,[৭] পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্কিপহোল নামটির উদ্ভব হয়। তৎকালীন ভাষায়, এটি নিচু জলাভূমি ("হল" বা "হল") এমন একটি অঞ্চলকে নির্দেশ করে, যেখানে কাঠ (স্কিপ) উত্তোলন করা যেতে পারে।
স্কিপহোল বিমানবন্দরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় বিমানবন্দর, যা ২০১৭ সালের (২০১৬ সালে দ্বাদশ, ২০১৫, ২০১৪ এবং ২০১৩ সালে ১৪তম এবং ২০১২ সালে ১৬তম) মোট যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী ইউরোপের তৃতীয় ব্যস্ততম এবং বিশ্বের একাদশ ব্যস্ততম। এটি আন্তর্জাতিক যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ত এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ষোড়শ ব্যস্ততম হিসাবেও স্থান পেয়েছে। ২০১৬ সালে ৬,৩৬,২৫,৬৬৪ জন যাত্রী বিমানবন্দর দিয়ে চলাচল করেছে।[৮]