উনগুজা ওয়া আমান (সোয়াহিলি) | |
অবস্থান | উনগুজা, জানজিবার সিটি |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৬°০৯′৫৮″ দক্ষিণ ৩৯°১৩′২৬″ পূর্ব / ৬.১৬৬০০৩° দক্ষিণ ৩৯.২২৩৮৬২° পূর্ব |
পরিচালক | জানজিবার ফুটবল এসোসিয়েশন |
ধারণক্ষমতা | ১৫,০০০ |
উপরিভাগ | কৃত্রিম ঘাস |
নির্মাণ | |
নির্মিত | ১৯৭০ |
পুনঃসংস্কার | ২০১০ |
আমান স্টেডিয়াম (আমানি স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত) ১৯৭০ সালে নির্মিত তানজানিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জানজিবারের প্রধান ক্রীড়া আয়োজনস্থল। ১৫,০০০ দর্শক ধারণে সক্ষম স্টেডিয়ামটি জানজিবারের রাজধানী জানজিবার সিটিতে অবস্থিত।[১] স্টেডিয়ামটি মূলত ফুটবল, মল্লক্রীড়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত। এছাড়াও জানজিবারের বিভিন্ন জাতীয় দিবস যেমন- জানজিবার বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়। স্টেডিয়ামটি আফ্রিকা মহাদেশে চীনের 'স্টেডিয়াম' কূটনীতির প্রথম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।[২]
স্টেডিয়ামটি ক্রীড়া ছাড়াও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে উল্লেখযোগ্য। এটি চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণের পর ১৯৭০ সালে উদ্বোধন করা হয়।[৩] স্থাপনাটি ১৯৭০-এর পর কয়েক দশক আফ্রিকা মহাদেশ, ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপের কতিপয় দেশে চীন সরকারের 'স্টেডিয়াম কূটনীতি' প্রসারের প্রথম সফল কর্ম।[২]
জানিজিবারের দুই জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আফ্রো-সিরাজি পার্টি ও ট্যাঙ্গানিকা আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন একত্রে জোট গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি এই স্টেডিয়ামে ঘটেছিল। ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এই স্টেডিয়ামে একটি সম্মেলনের মাধ্যম দল দুইটি একত্রিত হয়ে চামা চা মাপিন্দুজি নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, নবগঠিত দলটি পরবর্তীতে জানজিবারের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাসকদলে পরিণত হয়।[৪] জানজিবারের রাষ্ট্রপতিরা এখানে শপথ গ্রহণ করেন, তারমধ্যে ২০০০ সালের ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আমানি আবেইদ কারুমে'র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।[৫] এছাড়াও প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি জানজিবার বিপ্লব স্মরণে এই স্টেডিয়ামে জাতীয় কুুুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়।
স্টেডিয়ামটি চীনের সহায়তায় বেশ কিছু সংস্কারের পর ২০১০ সালে আবার চালু করা হয়।[৬]
১৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামের মধ্যমাঠটি ফুটবল খেলার জন্য ব্যবহার করা হয়, ফুটবল মাঠের চারপাশে মল্লক্রীড়ার দৌড়ের ট্র্যাক বসানো। স্টেডিয়ামের পশ্চিমাংশে ছাউনী ও প্যাভিলিয়ন সহ দর্শক আসন বসানো হয়েছে। দিবা-রাত্রীর খেলা আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামটির পূর্ব ও পশ্চিম দর্শকাসনের পেছনে বৈদ্যুতিক বাতি সুবিধা উপলব্ধ আছে।