আমির হুসাইন কুর্দি (আরবি: أمیر حسین الکردي) ১৬ শতকের গোড়ার দিকে মামলুক সালতানাতের অংশ লোহিত সাগরের জেদ্দা শহরের একজন কুর্দি গভর্নর ছিলেন।[১] পর্তুগিজদের দ্বারা তিনি মিহির হুসেন বা মির-হোসেম বা মিরোকেম[২] নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারত মহাসাগরে পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের বাহিনীর দ্বারা লড়াই করা মামলুক নৌবহরের আমিরুল বাহর হিসাবে দায়িত্বপালন করেন।[৩] ভারতীয় সমুদ্রে পর্তুগিজদের আগমনের অল্প সময়ের মধ্যে মিরোসেমকে শেষ মামলুক সুলতান আশরাফ কানসুহ ঘুরি মক্কায় মুসলিম হজযাত্রীদের বহরের প্রতিরক্ষাসহ সমুদ্রে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রেরণ করেছিলেন।
১৫০৮ সালে তিনি চাউলের যুদ্ধে মামলুক নৌবহরের নেতা হিসাবে গুজরাটের অ্যাডমিরাল মালিক আইয়াজের সাথে যোগ দেন। তারা ভারতের পর্তুগিজ ভাইসরয় ডি. ফ্রান্সিসকো ডি আলমেদার পুত্র লরেনো ডি আলমেদার নৌবহরের মুখোমুখি হন এবং পরাজিত করেন। এই যুদ্ধের পরে ভাইসরয় নিজেই প্রচণ্ডভাবে লড়াই করেন। তিনি ১৫০৯ সালে এবং ১৫০৮ সালে চাউলের যুদ্ধে তার ছেলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ও পর্তুগিজ বন্দীদের মুক্ত করতে এবং মিরোসেমের খোঁজে দিউ যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং জয়লাভ করেন।
সেলমান রেইসের উসমানীয় নৌবহরের সাথে হোসেন ১৫১৭ সালে লোপো সোয়ারেস ডি আলবার্গিয়ার পর্তুগিজ নৌবহর থেকে সফলভাবে জেদ্দাকে রক্ষা করেছিলেন। এর সামান্য কিছুদিন পরই মামলুক সালতানাতের উসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছে পরাজিত হয়ে পতন ঘটে।[৪]