আমীরা হক | |
---|---|
![]() | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | ওয়েস্টার্ন কলেজ ফর ওমেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় |
আমীরা হক একজন বাংলাদেশী টেকনোক্র্যাট। তিনি জাতিসংঘে সাধারণ সম্পাদকের অধীনে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী ব্যক্তি। তিনি ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত উক্ত পদে কাজ করেছিলেন।[১] জাতিসঙ্ঘের জেনারেল বান কি মুন বিশ্ব শান্তি কার্যক্রমে নিজে তাকে নিয়োগ দেন তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে। [২] আমীরা হক বান কি মুনের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তিমুর-লেস্তে কাজ করেছিলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘে কাজ শুরু করেন। কর্মজীবনে তিনি UNMIT এর প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৫ সালে তাকে Centre for Humanitarian Dialogue এর বোর্ড সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। [৩] এটি একটি বেসরকারী কুটনৈতিক সঙ্গঠন যা বিশ্বব্যাপী কাজ করে। এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য হলো সামরিক সহিংসতা রোধে আলাপ-আলোচনা এবং মেডিটেশনের মাধ্যমে সহায়তা করা।
১) পূর্ব তিমুরে সাধারণ সম্পাদকের বিশেষ প্রতিনিধি এবং তিমুরে UNMIT এর প্রধান হিসেবে
২) সাধারণ সম্পাদকের এবং UNRCHC এর ডেপুটি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে
৩) সাধারণ সম্পাদকের এবং UNRCHA এর ডেপুটি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে
৪) নিউ ইয়র্কে UNDP এর প্রধান কার্যালয়ে Bureau of Crisis Prevention & Recovery এর ডেপুটি সহকারী প্রশাসক এবং ডেপুটি পরিচালক হিসেবে
আমীরা হক জাতিসংঘে ৩৭ বছর ধরে কাজ করেছেন। ১৯ বছর মাঠে এবং ১৮ বছর প্রধান কার্যালয়ে।
আমীরা হক ওয়েস্টার্ন কলেজ অফ অক্সফোর্ড থেকে বিএ পাশ করেন। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবনে আমীরা হকের দুই মেয়ে আছে। তার এক মেয়ে্র নাম নাদিনা। সে ২০০৬ সালের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুসের সাথে সামাজিক ব্যবসা সম্রসারণ কার্যক্রমে কাজ করেন।