আম্মার আল-বেলুচি | |
---|---|
জন্ম | ১৯৭৭ (বয়স ৪৬–৪৭) |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তানi |
পেশা | কম্পিউটার কারিগর |
দাম্পত্য সঙ্গী | আফিয়া সিদ্দিকা (বি. ২০০৩) |
আম্মার আল-বেলুচি (আরবি: عمار البلوشي, ʿআম্মার আল-বেলুচি; এছাড়া আম্মার আল-বেলুচি হিসেবেও প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়,[১] জন্ম: আলী আব্দুল আজিজ আলী[২][৩]) মার্কিন গুয়ান্তানামো বে ক্যাম্পের কারাগারের আটক থাকা একজন পাকিস্তানি নাগরিক। তার বিরুদ্ধে কিছুু অভিযোগের মধ্যে রয়েছে "৯/১১ হামলাকারীদের সহায়তা করা, বিন লাদেনের সহায্যকারী হিসেবে কাজ করা এবং করাচিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বিস্ফোরকের মাধ্যমে একটি বিমান বিধ্বস্ত করার পরিকল্পনা করা।[৪] যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাদের ধারণা মতে খালিদ শেখ মুহাম্মাদ (কেএসএম) রামজি ইউসেফের মতো আল-বেলুচি গোষ্ঠীর সদস্য এবং তিনি তার চাচা কেএসএমের "প্রধান লেফটেন্যান্ট" ছিলেন যিনি ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার জন্য কেএসএমকে সাহায্য করেছিলে। তিনি তদন্তকারীকে বলেন যে, তিনি শত্রুদের বিরুদ্ধে জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য আল-কায়দার সহায়তা নিয়েছিলেন। তিনি আফিয়া সিদ্দিকিকে বিবাহ করেন অতঃপর তাকে আবার তালাক দেন। মার্কিন সৈন্যদের গুলি করে হত্যা এবং আটক রাখার কারণে পাকিস্তানি এই জঙ্গিকে স্বেচ্ছাসেবীদের বিচারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আম্মার আল-বেলুচি কুয়েত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খালিদ শেখ মোহাম্মদের ভাতিজা ছিলেন, যিনি (৯/১১ হামলার সংগঠক) এবং রামজি ইউসেফের চাচাত ভাই ছিলেন। ১৯৯৩ বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বোমা হামলার অন্যতম একজন সংগঠক হিসেবে পরিচিত। বেলুচির বর্ধিত পরিবারগুলি জাতিগতভাবে বেলুচি এবং মূলত তারা বেলুচিস্তান থেকেই এসেছে। পারিবারিক প্রতিষ্ঠাতা এবং তার ভাই দেওবন্দি প্রচারক ছিলেন। ১৯৬০ এর দশকের দিকে তারা পরিবারসহ কুয়েতে দেশান্তরিত হয়েছিলেন।[৫]
বেলুচি কুয়েতে বেড়ে ওঠেন কিন্তু শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বালুচিস্তানেই। তবে তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের নাগরিক। তিনি ছিলেন প্রশিক্ষিত কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদ ও কম্পিউটার বিভিন্ন শাখায় অত্যন্ত পারদর্শী। তিনি পাশ্চাত্য পোশাক পরিধান করার পাশাপাশি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিতেন। সাংবাদিক ডেবরা স্ক্রগগিনসের মতে, তিনি তার চাচাতো ভাই এবং চাচাদের সাথে বাল্যকাল থেকে গোপন যুদ্ধে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নেন। মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী তার "প্রধান পরামর্শদাতা" ছিলেন তার চাচাত ভাই রামজি ইউসেফ, যিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা চালিয়েছিলেন।
তিনি ইংরেজিতে খুব দক্ষ ছিলেন এবং করাচির মোহাম্মদির মধু-প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানীতে কাজ করতেন। ১৯৯৮ সালে দুবাইয়ে একটি কক্ষ ভাড়া করেছিলেন সেখানে একটি ইলেকট্রনিক্স করপোরেশনের কম্পিউটার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত সাক্ষ্য অনুযায়ী, তিনি খুব বড় মনের অধিকারী ছিলেন এবং সেইসাথে পশ্চিমা সাংস্কৃতিমনাও ছিলেন তিনি। তার প্রাক্তন স্ত্রী তদন্তকারীকে বলেছিলেন যে, বাস্তব জীবনে তিনি "খুব সহৃদয়বান মুসলিম" ছিলেন।