আয়সেল তেমুরজাদেহ | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উপনাম | আয়সেল |
জন্ম | ২৫ এপ্রিল ১৯৮৯ |
উদ্ভব | বাকু, আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন |
ধরন | পপ, আরএন্ডবি |
পেশা | গায়িকা, অভিনেত্রী, চিত্র মডেল |
কার্যকাল | ২০০৫–২০১২ |
লেবেল | ওয়ার্নার মিউজিক, সনি বিএমজি |
আয়সেল তেমুরজাদেহ (আজারবাইজানি: Aysel Məhəmməd qızı Teymurzadə, Ајсел Мәһәммәд гызы Тејмурзадә, آیسل تیمورزاده; জন্ম: ২৫ এপ্রিল ১৯৮৯, বাকু) হচ্ছেন আজারবাইজানের একজন পপ সঙ্গীত ও আরএন্ডবি সঙ্গীত শিল্পী, অভিনেত্রী এবং চিত্র মডেল।
তিনি আরাশের সাথে অলওয়েজ গানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে সকলের মাঝে অধিক পরিচিতি লাভ করেন।
আয়সেল তেমুরজাদেহ ১৯৮৯ সালের ২৫ এপ্রিলে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক। তিনি তার বাবা-মায়ের সবচেয়ে ছোট সন্তান। তিনি আজারবাইজানের খুবই পরিচিত একজন লেখক এবং সাংবাদিক হাসান বে জারদাবির ১৯তম বংশধর। তার নানী ছিলেন একজন অর্ধ-রুশ এবং অর্ধ ইউক্রেনীয়।[১] আয়সেল তেমুরজাদেহ মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই গান গাওয়া শুরু করেন এবং খুব ছোটবেলা থেকেই পিয়ানো শিক্ষাকে তার একটি আবেগিক বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
আয়সেল তেমুরজাদেহ ২০০৫–২০০৬ সালে টেক্সাস হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং ইন্টেলেক্ট লাইসেউম থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগমনের দিনের পরে, তিনি সেখানকার এক স্থানীয় গায়কদলের সাথে স্বাক্ষরিত হন। একই সাথে সেখানে যুব কণ্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেন।[২] যখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, আয়সেল তেমুরজাদেহ সাউদার্ন আর্কান্স ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন দ্বারা আয়োজিত বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয়লাভ করেন।[২] ২০০৫ সালে, তিনি জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা ইয়েনি উলদুজ ("নতুন তারা")-এর চতুর্থ আসরে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত, আয়সেল তেমুরজাদেহ আজারবাইজান ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাংগুয়েজে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন।[৩]
২৮ শে মে, আয়সেল তেমুরজাদেহ আরাশের সাথে একটি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সফরে যান, যার মধ্যে সুইডেন, গ্রীস এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো উল্লেখযোগ্য।[৪]
২০১২ সালে, আয়সেল তেমুরজাদেহ ৩৯ বছর বয়স্ক মুরাদ আদিগোজালভের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মুরাদ আদিগোজালভ আজারবাইজান রাজ্য দর্শনশাস্ত্র সোসাইটির একজন পরিচালক এবং তালাকপ্রাপ্ত ২ সন্তানের জনক।[৫] আজারবাইজানের চলচ্চিত্র শিল্পের কিছু বিশ্বস্ত সূত্রের মত অনুসারে, আয়সেল তেমুরজাদেহের পরিকল্পনা ছিল যে বিবাহের পর তিনি বড় পর্দা ছেড়ে দেবেন এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল কিছু অনুষ্ঠানে কাজ করবেন।[৬] তেমুরজাদেহ এবং মুরাদ জুটির ৩টি সন্তান রয়েছে: ২টি ছেলে (যাদের একজন ২০১২ সালে এবং অপরজন ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছে) এবং ১ কন্যা (যে ২০১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছে)।[৭][৮][৯]
সাল | একক | চার্টসমূহ | অ্যালবাম | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
যুক্তরাজ্য | ইউরোপ | তুরস্ক | গ্রিস | সুইডেন | নরওয়ে | জার্মানি | সুইজারল্যান্ড | চেক প্রজাতন্ত্র | স্লোভাকিয়া | রাশিয়া | ইউক্রেন | |||
২০০৯ | "অলওয়েজ" | ১৩৭ | ৯২ | ১১ | ২ | ৩ | ১৮ | ৯৬ | ৯৮ | ৪০ | ৪৭ | ৭৫ | ৪ | — |
পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী এলনুর এবং সামির ডে আফটার ডে এর সাথে |
আজারবাইজানে ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা (আরাশ এর সাথে) ২০০৯ |
উত্তরসূরী সাফুরা ড্রিপ ড্রপ এর সাথে |