আয়ান হিরসি আলী | |
---|---|
জন্ম | |
নাগরিকত্ব | |
শিক্ষা | লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা |
|
প্রতিষ্ঠান | এএইচএ ফাউন্ডেশন |
পরিচিতির কারণ | |
দাম্পত্য সঙ্গী | নিয়াল ফার্গুসন (বি. ২০১১) |
সন্তান | ২ |
ওয়েবসাইট | www |
আয়ান হিরসি আলী (ইংরেজি: Ayaan Hirsi Ali; /aɪˈjɑːn
প্রথম দিকে হিরসি আলী একজন মুসলিম ছিলেন পরে তিনি ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করে নাস্তিক হয়েছিলেন[৮] এবং ইসলামের একজন সোচ্চার সমালোচকে পরিনত হয়। ২০০৪ সালে তিনি থিও ভ্যান গগেকে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে সহযোগিতা করেছিলেন। যার বিষয়বস্তু ছিল মৌলবাদী ইসলামী আইনের অধীনে মহিলাদের উপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছিল এবং ইসলামী ধর্মের সমালোচনা করেছিল। ছবিটি বেশ বিতর্ক ছিল মরক্কোর-ওলন্দাজ মোহাম্মদ বৌয়েরি চলচ্চিত্র মুক্তির কয়েক দিন পর ভ্যান গঘকে হত্যা করে। হিরসি আলি বলেছিলেন, ইসলাম একটি অংশ ধর্ম এর একটি অংশ রাজনৈতিক-সামরিক মতবাদ, এর যে অংশটি রাজনৈতিক মতবাদ তার মধ্যে রয়েছে একটি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি, একটি আইন ব্যবস্থা এবং একটি নৈতিক কোড যা আমাদের সংবিধান, জীবনধারা, এবং আইনের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান।[৯] হিরসি আলীর রচিত বই হেরেটিক (২০১৫) তে তিনি ইসলামপন্থীদের পরাজিত করে এবং সংস্কারবাদী মুসলমানদের সমর্থন করে ইসলামের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।[১০][১১]
২০০৫ সালে টাইম ম্যাগাজিন হিরসি আলিকে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে মনোনীত করেছিল। তিনি ডেনমার্কের সংবাদপত্র জিল্যান্ডস-পোস্টেন থেকে একটি মুক্ত বক্তৃতা পুরস্কার,[১২] সুইডিশ লিবারেল পার্টির গণতন্ত্র পুরস্কার[১৩] এবং সংঘাত সমাধান, নীতিশাস্ত্র এবং বিশ্ব নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতির জন্য নৈতিক সাহস পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।[১৪] সমালোচকরা আলীর বিরুদ্ধে তার রাজনৈতিক কর্মজীবন ইসলামফোবিয়ার জন্য অভিযোগ তুলেছেন এবং "ইসলাম ও আরব বিশ্ব সম্পর্কে কর্তৃত্বপূর্ণভাবে কথা বলার জন্য" তার পণ্ডিত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।[১৫] ২০১৩ সালে হিরসি আলী যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন মার্কিন নাগরিক হন।