আর পি গোয়েঙ্কা | |
---|---|
![]() আরপিজি এন্টারপ্রাইজের আর পি গোয়েঙ্কা এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে নতুন দিল্লিতে ১ কোটি টাকার চেক উপস্থাপন করছেন, ২০০৫ সাল। | |
জন্ম | কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত | ১ মার্চ ১৯৩০
মৃত্যু | ১৪ এপ্রিল ২০১৩ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | (বয়স ৮৩)
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পেশা | শিল্পপতি, প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ইমেরিটাস আরপিজি গ্রুপ |
সন্তান |
রমা প্রসাদ গোয়েঙ্কা (১লা মার্চ ১৯৩০ - ১৪ই এপ্রিল ২০১৩) ছিলেন আরপিজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান এমেরিটাস, এই গ্রুপটি হলো একটি বহু-বিভাগীয় ভারতীয় শিল্প সংগঠন। তিনি ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন কেশব প্রসাদ গোয়েঙ্কার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইম্পেরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (বর্তমানে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ) নিযুক্ত চেয়ারম্যান স্যার বদ্রী প্রসাদ গোয়েঙ্কার নাতি। তাঁর দুই ছোট ভাই ছিলেন জগদীশ প্রসাদ ও গৌরী প্রসাদ। কেশব প্রসাদ গোয়েঙ্কার মৃত্যুতে তাঁর ব্যবসা তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। রমা প্রসাদ গোয়েঙ্কা (আরপি গোয়েঙ্কা নামে বেশি পরিচিত), ১৯৭৯ সালে আরপিজি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠা করেন।[১][২]
তিনি নিজ শহর কলকাতায় অবস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভা বা উচ্চকক্ষের একজন সাংসদ ছিলেন। তিনিইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ছিলেন[৩] এবং জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল ফান্ড, ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ছিলেন। তিনি এফআইসিসিআই- বা ফিকির সভাপতি এবং খড়্গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বোর্ড অফ গভর্নরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একবার তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করেছিলেন।[২] গোয়েঙ্কাকে দুইবার জাপানের সম্রাট অর্ডার অফ দ্য সেক্রেড ট্রেজারে ভূষিত করেছিলেন।[৪][৫]
১৯৮০ সালে ডানলপ ইন্ডিয়া এবং সিইএসসি, ১৯৮২ সালে সিয়াট টায়ার, ১৯৮৫ সালে আরপিজি লাইফ সায়েন্সেস (তৎকালীন সিয়ারলে ইন্ডিয়া) এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল, ১৯৮৬ সালে গ্রামোফোন কোং অফ ইন্ডিয়া (বর্তমানে সারেগামা) ১৯৮৮ সালে স্পেন্সার্স এবং হ্যারিসন মালয়ালম, বায়ার ইন্ডিয়া, ২০১২ সালে ফার্স্টসোর্স সলিউশন লিমিটেড এবং আরও অনেক কিছু সহ একাধিক একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণের মাধ্যমে আর পি গোয়েঙ্কা তাঁর পূর্ণবিকাশের সময় 'টেকওভার কিং' (অধিগ্রহণ নৃপতি) হিসাবে পরিচিত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালের ১৪ই এপ্রিল কলকাতায় গোয়েঙ্কা মারা যান।[৬] তাঁর দুই ছেলে, বড় হর্ষ বর্ধন এবং ছোট সঞ্জীব ।
গোয়েঙ্কা পরিবার ঋণদাতা এবং ব্যবসায়ীদের মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। তাঁরা মূলত পশ্চিম ভারতের রাজস্থানের বাসিন্দা। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে, পরিবারের একজন উদ্যোগী সদস্য, রামদত্ত গোয়েঙ্কা, তৎকালীন ভারতের রাজধানী এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কলকাতায় ব্যবসায়ের পত্তন করেছিলেন। পরিবারটি পেশাগত ঋণদান এবং ব্যবসায় সমৃদ্ধিলাভ করেছিল। ১৯৭০ এর দশকে রমা প্রসাদ গোয়েঙ্কা (জন্ম ১৯৩০) বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও কর্পোরেশন অধিগ্রহণ করার জন্য পরিবারের সম্পদের ব্যবহার করেছিলেন এবং এইভাবে একটি সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক সমষ্টি তৈরি করেছিলেন। এই কর্পোরেশনগুলির মধ্যে অনেকগুলি সমাজতান্ত্রিক নীতির কারণে এবং ভারতে তখন প্রচলিত "লাইসেন্স রাজ" এর কারণে চাপে পড়েছিল, এবং অন্যগুলি তাদের মালিকদের পরিবারের মধ্যে মতবিরোধের কারণে চিহ্নিত হয়েছিল। পরপর আরপিজি এই ধরনের কোম্পানিগুলিকে তুলনামূলকভাবে সস্তায় অধিগ্রহণ করে এবং তার আর্থিক সংস্থান এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা ব্যবহার করে সেগুলিকে কার্যকর করে তোলে। এইভাবে, ২০ শতকের শেষের দিকে, আরপিজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে একত্রিত করেছিল। গোয়েঙ্কা ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য দুটি জিনিসের জন্য উল্লেখযোগ্য: প্রথমত, তাদের কোনো বড় উদ্যোগ তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু সবই ছিল অন্যান্য পরিবার বা কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বিদ্যমান কোম্পানির দখল; এবং দ্বিতীয়ত, এই কোম্পানিগুলির বৈচিত্র্য এবং অসঙ্গতি।[২]