আরপদ এলো | |
---|---|
জন্ম | এলো আরপদ ইম্রে (Élő Árpád Imre) ২৫ আগস্ট ১৯০৩ |
মৃত্যু | নভেম্বর ৫, ১৯৯২ | (বয়স ৮৯)
জাতীয়তা | হাঙ্গেরীয় আমেরিকান |
মাতৃশিক্ষায়তন | শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | এলো রেটিং পদ্ধতি; দাবাড়ু |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | মারকুইত বিশ্ববিদ্যালয় |
আরপদ এমরিক এলো (হাঙ্গেরীয়: Arpad Emrick Elo; জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯০৩ - মৃত্যু: ৫ নভেম্বর, ১৯৯২) অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের এজিহাজাস্কেসজো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পদার্থবিদ্যার বিশিষ্ট অধ্যাপক ও দাবাড়ু। জন্মকালীন সময়ে তার নাম ছিল এলো আরপদ ইম্রে।[১][২] দাবা খেলায় অণুসৃত এলো রেটিং পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত হয়ে আছেন তিনি।
১৯১৩ সালে পিতা-মাতার সাথে তিনিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। মিলওয়াওকি’র মারকুইত বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন এলো। ১৯৭৮ সালে দ্য রেটিং অব চেজপ্লেয়ার্স, পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট শিরোনামে দাবা খেলাবিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন। উইসকনসিনের ব্রুকফিল্ডে তার দেহাবসান ঘটে।
১৯৩০-এর দশকে মিলওয়াওকিতে শক্তিশালী দাবাড়ু হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। মিলওয়াওকি পরবর্তীকালে দেশের শীর্ষস্থানীয় দাবা শহরের নেতৃত্ব লাভ করে। তিনি তিনি আটবার উইসকনসিন স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করেন।[৩]
এলো দাবা খেলোয়াড়দের উপযোগী রেটিং পদ্ধতি উদ্ভাবনের বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবা ফেডারেশনের ব্যবসায় ব্যবস্থাপক কেনেথ হার্কনেস দাবা রেটিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ১৯৬০ সালের মধ্যে হার্কনেসের পদ্ধতি উন্নয়নে এলো নিজস্ব সূত্র প্রয়োগ ঘটান। অতঃপর ১৯৬০ সালে সেন্ট লুসিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবা ফেডারেশনের সভায় নতুন পদ্ধতি হিসেবে এলো রেটিং পদ্ধতি গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালে বিশ্ব দাবা ফেডারেশন ফিদে এলো রেটিং পদ্ধতি ব্যবহারে সম্মতি প্রকাশ করে। ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এলো নিজেই রেটিংয়ের হিসাব-নিকাশ কষতেন।