আরব বিদ্রোহের পতাকা প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত আরব বিদ্রোহে আরব জাতীয়তাবাদীরা উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।
ব্রিটিশ কূটনৈতিক স্যার মার্ক সাইকস এটির নকশা প্রণয়ন করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বিদ্রোহে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য “আরবত্ব” এর অণুভূতি তৈরী করা।[১] আরব বিদ্রোহ ক্ষেত্রের দিক থেকে সীমাবদ্ধ এবং ব্রিটিশদের কর্তৃক অণুপ্রাণিত হলেও এর পতাকা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী গঠিত আরব রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় পতাকাকে অণুপ্রাণিত করেছেন। আরব বিদ্রোহের পতাকা থেকে অণুপ্রেরণা লাভ করা পতাকার দেশগুলো হল মিশর, জর্ডান, ইরাক, কুয়েত, সুদান, সিরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল মুভমেন্ট (পিএলও এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহৃত), সোমালিল্যান্ড, সাহরাউয়ি আরব ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক এবং লিবিয়া।
আনুভূমিক রঙ্গুলো আব্বাসীয় (কালো), উমাইয়া (সাদা) এবং ফাতেমীয় (সবুজ) খিলাফতকে নির্দেশ করলে। লাল ত্রিভুজ হাশেমি রাজবংশ নির্দেশ করে।[২][৩]
হাশেমিরা উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের মিত্র ছিল। যুদ্ধ শেষ হলে হাশেমিদেরকে হেজাজ, জর্ডান, সংক্ষিপ্তকালের বৃহত্তর সিরিয়া ও ইরাকের শাসনভার লাভ করে।
বৃহত্তর সিরিয়া ১৯২০ সালে মাত্র কয়েকমাস টিকে ছিল। ১৯২৫ সালে সৌদ পরিবার হেজাজের হাশেমিদেরকে উৎখাত করে। ১৯৫৮ সালে অভ্যুত্থানের ফলে ইরাক থেকে তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। শুধু জর্ডানে তারা টিকে থাকে।
জর্ডানের আকাবায় ১৯৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯৮.৫ প্রস্থ মাপের আরব বিদ্রোহের একটি পতাকা আকাবা পতাকাদন্ডে লাগানো রয়েছে। এটি বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষতম পতাকাদন্ড।