আরশাদ মাদানি | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪১ ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | দারুল উলুম দেওবন্দ |
মাতৃশিক্ষায়তন | দারুল উলুম দেওবন্দ |
পেশা | ইসলামি মনীষী |
কর্মজীবন | ১৯৬৪ - বর্তমান |
ওয়েবসাইট | http://www.jamiatulamaihind.com/home.html |
সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি (জন্ম ১৯৪১) জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট। তার পিতার নাম হুসাইন আহমদ মাদানি। ২০০৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বড় ভাই আসআদ মাদানির পর তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২] ২০২১ সালে তিনি ৫ম আমিরুল হিন্দ নির্বাচিত হন।[৩] এছাড়াও তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ প্রতিষ্ঠিত ‘মাজমা‘উ খাদিমিল হারামাইন আশ শরিফাইন লিল হাদিস আন নাবাবী’ এর নির্বাহী পরিষদের (মজলিসে আমেলা) সদস্য।[৪]
মাত্র ৮ বছর বয়সে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি গোটা কুরআন মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। তারপর দারুল উলুম দেওবন্দের নিয়ম অনুযায়ী তিনি পাঁচ বছর ফার্সি ভাষার ওপর পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে তিনি আরবী পড়া শুরু করেন এবং ১৯৫৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। ১৯৬৩ সালে তিনি দাওরায়ে হাদিস শেষ করেন।[৫]
তার শিক্ষকগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন ক্বারী আসগার আলী, মাওলানা সৈয়দ ফখরুদ্দীন মুরাদাবাদী, মাওলানা ইজাজ আলী, আল্লামা মোহাম্মাদ ইব্রাহিম বলিয়াভী, মাওলানা জলীল আহমেদ কিরানভি, মাওলানা আখতার হুসাইন দেওবন্দি এবং মাওলানা ওয়াহেদুজ্জামান কিরানভি প্রমুখ। এছাড়া তিনি সৌদি আরবের মদীনায় থাকাকালীন অনেক আরব বিদ্বানদের কাছে জ্ঞানচর্চা করেন।
আরশাদ মাদানি কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৫ সালে বিহার প্রদেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া কাসিমিয়া গয়ায় শিক্ষক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৬৯ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের শাইখুল হাদীস এবং তৎকালীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সায়্যিদ ফখরুদ্দীনের হুকুমে জামিয়া কাসিমিয়া মাদরাসা শাহী মুরাদাবাদে মুদাররিস পদে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মাওলানা ফখরুদ্দীন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পরিচালনার দক্ষতা দেখে শিক্ষা কমিটির কনভেনার এবং ১৯৭২ সালে সহকারী শিক্ষা সচিব হিসাবে নিয়োগ দেন। তখন মাওলানা ফখরুদ্দীন নিজেই শিক্ষা সচিব ছিলেন। ১৯৮২ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শুরার আহবানে তিনি মুহাদ্দিস পদে যোগদান করেন। ১৯৯৬-২০০৮ সাল পর্যন্ত দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষা সচিব ছিলেন। তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে হিফয বিভাগ, ক্বিরায়াত বিভাগও প্রথমিক আরবী বিভাগসমূহ অতুলনীয়ভাবে সফলতা লাভ করে। বর্তমানে তিরমিযি শরিফ অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। ২০১২ সালে রাবেতায়ে আলম আল ইসলামি এর সদস্য পদ লাভ করেন।[৬]
শিক্ষা জীবন শেষ করার পরপরই তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা শুরু করেন। তার বড় ভাই আসআদ মাদানি র নিকট বাইআত হন। যেহেতু তার পিতা হুসাইন আহমদ মাদানির কাছ থেকে শৈশবে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করেছেন, তাই অতি অল্প সময়ে তিনি স্বীয় লক্ষ্য অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ মাস সৌদি আরবের মদীনায় অবস্থান করে ইসলামী জ্ঞান লাভ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তার মুরিদ তথা আধ্যাত্মিক শিষ্য রয়েছে।
তিনি ভারতের বিভেদনীতির একজন কড়া সমালোচক ছিলেন। তার মতামত হলো এই বিভেদনীতির জন্য ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়েছে। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী ভারতের সব মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য না। [৭][৮][৯][১০]