আরাকান লিবারেশন পার্টি ရခိုင်ပြည် လွတ်မြောက်ရေး ပါတီ | |
---|---|
প্রতিষ্ঠা | ৯ এপ্রিল ১৯৬৭ |
সদর দপ্তর | রাখাইং - ভারত সীমান্ত |
সদস্যপদ | ২০০০[১] |
ভাবাদর্শ | রাখাইন জাতীয়তাবাদ[২] ফেডারেলিজম[৩] |
স্লোগান | "স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব" |
দলীয় পতাকা | |
![]() |
আরাকান লিবারেশন পার্টি (বর্মী: ရခိုင်ပြည် လွတ်မြောက်ရေး ပါတီ; ALP) মিয়ানমারের (বার্মা) একটি রাখাইন রাজনৈতিক দল। দলটির আরাকান লিবারেশন আর্মি (এএলএ) নামে একটি সশস্ত্র শাখা রয়েছে যার ৭০০-১,০০০ কর্মী রয়েছে। এএলএ মিয়ানমার সরকারের সাথে ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং[৪] ১৫ অক্টোবর ২০১৫-এ ন্যাশনওয়াইড সিজফায়ার এ্যাগ্রিমেন্ট (NCA) স্বাক্ষর করে।
আরাকান লিবারেশন পার্টি কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সহায়তায় এর সশস্ত্র শাখা আরাকান লিবারেশন আর্মির সাথে ১৯৬৭ সালের ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৬ নভেম্বর ১৯৬৮-এ, পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ‘খাই রে খাই’, অন্য নয়জন সহযোগী সহ রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়েতে বর্মী কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হন। ২০ ডিসেম্বর ১৯৬৮-এ পার্টির সাধারণ সম্পাদক খাইং সোয়ে নাইংকে রাখাইন রাজ্যের রাথেডাং টাউনশিপে বর্মী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারের পর, আরও বেশ কয়েকজন এএলপি সদস্যকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দলটি ভেঙে যায়। দলটি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কারাবন্দি সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ করেছে।
১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে, এএলপির প্রাক্তন রাজনৈতিক বন্দীদের সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রাক্তন এএলপি সদস্য খাইং মো লুন মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে, তিনি এএলপি এবং এএলএ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কেএনইউ নেতাদের সাথে দেখা করার জন্য কোমুরায় রওনা হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত, কেএনইউর সাহায্যে এএলপি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এএলএ দ্বারা ৩০০ জন যোদ্ধাকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, খায়িং এএলপির সভাপতি এবং এএলএর কমান্ডার ইন চিফ ছিলেন। ভারতীয় এবং বর্মী উভয় বাহিনীর বিরুদ্ধে খাইংয়ের একটি ব্যর্থ আক্রমণের পর পার্টির সদস্যরা ব্যাপকভাবে গ্রেপ্তার হয়। এরপর, এএলপি আবার তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
১৯৮০ সালে, সমস্ত এএলপি এবং এএলএ বন্দীদের সাধারণ ক্ষমাতে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে, এএলপি এবং এএলএ আবার প্রতিষ্ঠিত হয়, বর্তমানে খাই রে খাইয়ের নেতৃত্বে, এবং আবারও কেএনইউ দ্বারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। এএলপি বর্তমানে কেএনইউর সাথে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ), ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স অফ বার্মা (ডিএবি) এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ দ্য ইউনিয়ন অফ বার্মার (এনসিইউবি) সাথে জোটবদ্ধ।
এএলপি ১৫ অক্টোবর ২০১৫-এ সাতটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষর করে।[৪]