আরিয়ালুর அரியலூர் হরি-আলয়-পুর | |
---|---|
সদর শহর | |
ডাকনাম: প্রত্নতত্ত্ববিদদের মক্কা | |
তামিলনাড়ুর মানচিত্রে আরিয়ালুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১১°৮′১৪″ উত্তর ৭৯°৪′৪০″ পূর্ব / ১১.১৩৭২২° উত্তর ৭৯.০৭৭৭৮° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | আরিয়ালুর জেলা |
সরকার | |
• ধরন | দ্বিতীয় পর্যায়ের পৌরনিগম |
• শাসক | আরিয়ালুর পৌরনিগম |
উচ্চতা | ৭৬ মিটার (২৪৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৮,৯০২ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬২১৭০৪, ৬২১৭১৩ |
টেলিফোন কোড | ৯১-৪৩২৯ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN 61 (টিএন ৬১) |
রাজধানী চেন্নাই থেকে দূরত্ব | ২৬৭ কিলোমিটার (১৬৬ মা) |
তিরুচিরাপল্লী থেকে দূরত্ব | ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মা) |
তাঞ্জাবুর থেকে দূরত্ব | ৪২ কিলোমিটার (২৬ মা) |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ৮৩০ মিলিমিটার (৩২.৭ ইঞ্চি) |
আরিয়ালুর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত আরিয়ালুর জেলার সদর শহর। শহরটির পরিধিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে চুনাপাথরের খনি এবং সাতটি সিমেন্ট কলসহ দুটি চিনির কল।
দক্ষিণ ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভ অবধি আরিয়ালুর পূর্বতন ত্রিচিনোপলি জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটি তিরুচিরাপল্লী ও ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটি তিরুচিরাপল্লী থেকে গঠিত পেরম্বালুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে পেরম্বালুর থেকে আরিয়ালুর জেলা গঠিত হয় ও আরিয়ালুর শহরকে জেলাসদর নির্বাচন করা হয়৷ শহরটি কাবেরী বদ্বীপ অঞ্চলের উর্বর ভূমির ওপর অবস্থিত, ফলে শহরের উপকণ্ঠে চাষাবাদের প্রাচুর্য দেখা যায়৷
আরিয়ালুর পৌরনিগমটি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়৷ ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে পৌরনিগমটি ৭.৬২ কিমি২ (২.৯৪ মা২) ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত এবং এর জনসংখ্যা ২৮,৯০২ জন৷ শহরটি চিদম্বরম লোকসভা কেন্দ্রের আরিয়ালুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷ রেল সংযোগ থাকলেও সড়ক যোগাযোগই শহরে যাতায়াতের মূল পন্থা৷ শহর থেকে ৯৫ কিমি (৫৯ মা) দূরে রয়েছে নিকটতম সমুদ্রবন্দর কারাইকল বন্দর এবং ৭৬ কিমি (৪৭ মা) দূরে রয়েছে নিকটতম বিমানবন্দর তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷
চোল সাম্রাজ্যের পতনের পর বিজয়নগর সাম্রাজ্য আরিয়ালুরে আধিপত্য বিস্তার করে এবং নিদর্শন স্বরূপ কোদণ্ডরাম মন্দিরের মতো শহরে একাধিক নির্মাণ করেন৷
১৭৪১ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা তিরুচিরাপল্লী দখল করে এবং তৎকালীন রাজা চন্দ সাহেবকে বন্দী করে। চন্দ সাহেব ১৭৪৮ মধ্যে নিজের সাম্রাজ্য সুরক্ষিত করতে সফল হন এবং শীঘ্র নবাবের হয়ে কর্ণাটের আর্কট নবাব আনোয়ারুদ্দিন ও তার পুত্র মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন৷
মোহাম্মদ আলী আরিয়ালুর এবং উদয়রপালয়মের দুটি পালয়ম দখল করতে উদ্যোগী হন। তার সহায়ক ইউসুফ খানের উপস্থিতিতে তিনি বিদ্রোহ দমন করতে অক্ষম হন। ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ কাউন্সিলের কাছে তিনি এই বিষয়টি উপস্থাপন করলে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের তেসরা জানুয়ারি কাউন্সিলে থেকে তিনি সৈন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হন। উদমাত উল ওমর এবং ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের প্রচেষ্টায় তারা আরিয়ালুর দখল করে। শাসক দল তাদের অনুগামীদের নিয়ে উদয়রপালয়মে পলায়ন করেন। ওই বছর উনিশে জানুয়ারি ব্রিটিশ ও মোহাম্মদ আলীর সৈন্যদল উদয়রপালয়ম অবধি অভিযান করেন। পলিগার সৈন্য পরাস্ত হয় এবং পালয়ম দখল হয়। দুই পলিগার পলায়ন করে ও তৎকালীন ওলন্দাজ উপনিবেশ তরঙ্গমপাড়িতে আশ্রয় নেয়৷ এই দখলের ফলে নবার আর্কট থেকে তিরুচিরাপল্লী পর্যন্ত নির্দিধায় নিজরাজ্য বিস্তার করেন৷
এর পরবর্তী ইতিহাসে হায়দার আলি ও টিপু সুলতান ব্রিটিশদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে৷ ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান মারা গেলে ব্রিটিশরা কর্ণাটে আধিপত্য বিস্তার করে৷
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিরুচিরাপল্লী ত্রিখণ্ডিত হয় ও নতুন পেরম্বালুর ও কারূর জেলা তৈরি হয়৷ ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ২৩শে নভেম্বর পেরম্বালুর থেকে সরকারিভাবে আরিয়ালুর জেলায় উন্নীত হয়৷
আরিয়ালুর (১৯৮১–২০০১)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৪২.০ (১০৭.৬) |
৪২.৪ (১০৮.৩) |
৪২.৪ (১০৮.৩) |
৪৫.৪ (১১৩.৭) |
৪৮.৪ (১১৯.১) |
৪২.০ (১০৭.৬) |
৪১.৫ (১০৬.৭) |
৪৯.৬ (১২১.৩) |
৪৪.৪ (১১১.৯) |
৪২.২ (১০৮.০) |
৪২.২ (১০৮.০) |
৪২.৪ (১০৮.৩) |
৪৯.৬ (১২১.৩) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ৩১.২ (৮৮.২) |
৩৩.২ (৯১.৮) |
৩৬.২ (৯৭.২) |
৩৮.২ (১০০.৮) |
৩৯.১ (১০২.৪) |
৩৭.৫ (৯৯.৫) |
৩৬.৬ (৯৭.৯) |
৩৬.২ (৯৭.২) |
৩৫.৬ (৯৬.১) |
৩৪.৫ (৯৪.১) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
৩১.৩ (৮৮.৩) |
৩৫.২ (৯৫.৪) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ২১.১ (৭০.০) |
২১.৭ (৭১.১) |
২৩.৮ (৭৪.৮) |
২৬.৫ (৭৯.৭) |
২৬.৯ (৮০.৪) |
২৬.৬ (৭৯.৯) |
২৬.২ (৭৯.২) |
২৫.৯ (৭৮.৬) |
২৪.৯ (৭৬.৮) |
২৪.০ (৭৫.২) |
২২.৭ (৭২.৯) |
২১.৬ (৭০.৯) |
২৪.৩ (৭৫.৭) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ১৫.২ (৫৯.৪) |
১৩.০ (৫৫.৪) |
১৫.২ (৫৯.৪) |
২০.০ (৬৮.০) |
১৫.৬ (৬০.১) |
২১.৯ (৭১.৪) |
১৯.৪ (৬৬.৯) |
২০.৬ (৬৯.১) |
১৯.৮ (৬৭.৬) |
১৮.২ (৬৪.৮) |
১৩.০ (৫৫.৪) |
১৫.২ (৫৯.৪) |
১৩.০ (৫৫.৪) |
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৫.৪ (০.৬১) |
৮.০ (০.৩১) |
৭.১ (০.২৮) |
৩৫.১ (১.৩৮) |
৩৫.৯ (১.৪১) |
১৮.১ (০.৭১) |
৪১.০ (১.৬১) |
৬৯.২ (২.৭২) |
৯৭.৬ (৩.৮৪) |
৯৯.৬ (৩.৯২) |
১০০.৪ (৩.৯৫) |
৯১.২ (৩.৫৯) |
৬১৮.৬ (২৪.৩৫) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ১.০ | ০.৫ | ০.৫ | ০.৮ | ১.৮ | ১.০ | ২.৭ | ৩.৫ | ৫.৩ | ৫.৯ | ৫.৪ | ৪.৪ | ৩২.৮ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) (১৭:৩০ ভারতীয় প্রমাণ সময়) | ৬৯ | ৬০ | ৫২ | ৫০ | ৫২ | ৫২ | ৫৩ | ৫৭ | ৬৩ | ৭২ | ৭৭ | ৭৫ | ৬১ |
উৎস: ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ[১] |
পৌরনিগম কর্মকর্তা | |
---|---|
সভাপতি | [২] |
অধ্যক্ষ | কে. সুধা[৩] |
সহ সভাপতি | এম. মলরকোডি[৪] |
নির্বাচিত সদস্য | |
বিধানসভার সদস্য | তাম্রাই.এস.রাজেন্দ্রণ[৫] |
লোকসভা সদস্য | এম.চন্দ্রকাশী[৬] |
ব্রিটিশ শাসনকালে শেষ দিকে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে আরিয়ালুর একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েতে পরিণত হয়৷ ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রথম শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েতে উন্নীত হয় ফরে ২০০৪ অক্টোবর মাসে এটি বিশেষ শ্রেণীর নম্বর পঞ্চায়েতের পরিণত হয়। জয়ঙ্কোণ্ডম হল আরিয়ালুর জেলার প্রথম পৌরনিগম। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে এটি তৃতীয় পর্যায়ের পৌরনিগমে পরিণত হয়।[৭]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৭১ | ১৭,৩০৫ | — |
১৯৮১ | ২০,৬৩৫ | +১৯.২% |
১৯৯১ | ২৪,১৪১ | +১৭% |
২০০১ | ২৭,৮২২ | +১৫.২% |
২০১১ | ২৮,৯০২ | +৩.৯% |
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে আরিয়ালুর শহরের জনসংখ্যা ২৮,৯০২ জন। শহরটিতে প্রতি হাজার পুরুষে নারী সংখ্যা ১০১৪ জন, জাতীয় গড় লিঙ্গানুপাত ৯২৯ থেকে বেশি।[১১] মোট জনসংখ্যার ২,৯৭৭ জন 6 বছর অনূর্ধ্ব শিশু যার মধ্যে শিশুপুত্র ১,৫৩৮ জন এবং শিশুকন্যা ১,৪৩৯ জন। তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি জনসংখ্যার শতকরা ভাগ যথাক্রমে ১১.২৬ ও ০.০৩। শহরটির গড় সাক্ষরতার হার ৭৬.০৪ শতাংশ যা জাতীয় গড় ৭২.৯৯ থেকে অধিক।[১১] শহরটির পরিবার সংখ্যা ৭,৩১৯ জন। মোট কর্মী সংখ্যা ১০,২৮৩ জন, যার মধ্যে ৩১৫ জন কৃষক, ৬৭০ জন মূল কৃষিকর্মী, ২৯৮ জন পরিচারন, ৭,১৬৫ জন অন্যান্য কর্মী, ১,৮৩৫ জন প্রান্তীয় কর্মী, ১৫৯ জন প্রান্তীয় প্রান্তীয় কৃষক এবং বাকী অন্যান্য৷[১০] ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের তথ্য অনুসারে শহরে আটটি বস্তি রয়েছে, যেখানে শহরের জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ, ৫,৯০৭ জন বসবাস করেন৷ [১২]
আরিয়ালুর পৌরনিগমের অন্তর্গত রাস্তা ২৯.১৭ কিমি (১৮.১৩ মা), কংক্রিট রাস্তা ৩.২ কিমি (২.০ মা), বিটি রাস্তা ১৬.২ কিমি (১০.১ মা), ডব্লুবিএম রাস্তা ৪ কিমি (২.৫ মা) এবং মাটির রাস্তা ৫.৭৭ কিমি (৩.৫৯ মা)৷ আরিয়ালুর থেকে প্রাত্যহিক আন্তঃনগর বাস পরিষেবা রয়েছে৷ এগুলির মধ্যে তিরুচিরাপল্লী, চিদম্বরম, জয়ঙ্কোণ্ডম, পেরম্বালুর এবং তাঞ্জাবুর উল্লেখ্য৷[১৩] আরিয়ালুর রেলওয়ে স্টেশনটি চেন্নাই-তিরুচিরাপল্লী রেলপথের ওপর অবস্থিত, এছাড়া তুতিকোরিন ও মাদুরাই রেলওয়ে স্টেশনও সহজগম্য৷[১৩]
আরিয়ালুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে অতিক্রম করা উল্লেখযোগ্য এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি হলো; পল্লবন সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, রকফোর্ট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, পার্ল সিটি এক্সপ্রেস, ভাইগাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস প্রভৃতি৷