সিলেট ওকব্লু Sylhet oakblue | |
---|---|
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | সন্ধিপদী |
শ্রেণী: | পতঙ্গ |
বর্গ: | লেপিডোপ্টেরা |
পরিবার: | Lycaenidae |
গণ: | Arhopala |
প্রজাতি: | A. silhetensis |
দ্বিপদী নাম | |
Arhopala silhetensis (Hewitson, 1862) | |
প্রতিশব্দ | |
Amblypodia silhetensis Hewitson, 1862 |
সিলেট ওকব্লু(বৈজ্ঞানিক নাম: Arhopala silhetensis (Hewitson)) 'লাইসিনিডি' গোত্রের এবং 'থেকেলিনি' উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত মাঝারি আকার বিশিষ্ট প্রজাতি।[১] বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে এই প্রজাতি তফ্সিল ২ এর তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
ভারতে প্রাপ্ত সিলেট ওকব্লু এর উপপ্রজাতি হল- [২]
ভারতের সিকিম থেকে[৩] পূর্ব মায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়।[৪]
প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-
ডানার উপরিতল উজ্জ্বল চকচকে নীল অথবা নীলচে বেগুনী এবং কোস্টাল এবং টার্মিনাল প্রান্তসীমা কালচে বাদামী বর্নের এবং সরু। পিছনের ডানায় ২নং শিরার প্রান্তভাগে একটি ছোট লেজ বর্তমান।
ডানার নিম্নতল ফ্যাকাশে হলদে বাদামী এবং কালচে বাদামী সুস্পষ্ট দাগ-ছোপ ও বন্ধনী যুক্ত। ডানার নিম্নতলে কোনো বেগুনি আভা দেখা যায় না। সামনের ডানায় সেল এর মধ্যে ৩টি ছোপ বর্তমান। সেল এর বহিঃপ্রান্তের ছোপটি সর্ববৃহৎ এবং তার ঠিক উপরে কোস্টার মধ্যভাগে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট একটি ছোপ চোখে পড়ে। ডিসকাল বন্ধনীর উপরের অংশ সোজা এবং উক্ত বন্ধনীস্থ ৭ নং শিরা সংলগ্ন ছোপটি ভিতর দিকে সরে এসেছে। পিছনের ডানার বেসাল (গোড়া) ও সাব-বেসাল অংশে ৩টি করে ছোপের দুটি সারি পরপর সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করে। ডিসকাল ছোপের সারিদ্বারা গঠিত বন্ধনীটি অসংলগ্ন। টার্নাল অংশে সবজে আঁশ অস্পষ্ট অথবা অনুপস্থিত।[৫]
সামনের ডানার উপরিতলে বেসাল, ডিসকাল অংশ এবং ডরসাম এর ভিতরের অর্ধ উজ্জ্বল ইষদ বেগুনি নীল এবং কোস্টাল, এপিকাল এবং টার্মিনাল অংশ খুব চওড়া এবং কালচে বাদামী বর্নের। পিছনের ডানার উপরিতলে নীল অংশ অপেক্ষাকৃত কম বিস্তার সম্পন্ন।
স্ত্রী প্রকারের ডানার নিম্নতলের দাগ-ছোপ পুরুষ প্রকার অপেক্ষা কম, বিশেষত সামনের ডানার ছোপগুলি প্রায়শই অনুপস্থিত এবং সাব-টার্মিনাল বন্ধনীটি অস্পষ্ট অথবা ঝাপসা।[৫]