সেরজেভো হত্যাকাণ্ড
১৯১৪ সালের ২৮ জুন, অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো সফরে যান। বসনিয়ার জাতীয়তাবাদী ‘’মাদা বস্না ‘’ গ্রুপের ৬ জন ঘাতক (Cvjetko Popović, Gavrilo Princip, Muhamed Mehmedbašić, Nedeljko Čabrinović, Trifko Grabež, Vaso Čubrilović) তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ী বহরের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। প্রথমে কাব্রিনভিক, গাড়িতে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং আশেপাশের লোকজন আহত হয়। ফার্দিনান্দের গাড়িবহর চলতে থাকে। গাড়ির গতি বেশি থাকায় দ্বিতীয় ঘাতকও ব্যর্থ হয়।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ, সারায়েভো হাস্পাতাল থেকে ফেরত আসার সময় গাড়িবহর ভুল করে ভিন্ন রাস্তায় প্রবেশ করে যেখানে কাকতালীয়ভাবে ঘাতক প্রিন্সিব দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রিন্সিব পিস্তল দিয়ে ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ ও তার স্ত্রী সোফি-কে গুলি করে ও তারা মারা যায়। অস্ট্রিয়াতে এর কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। ইতিহাসবিদ Zbyněk Zeman এর ভাষায় ‘’এই ঘটনার কোন প্রভাব অস্ট্রিয়াতে পরেনি। পরের দুইদিন (২৮ ও ২৯ জুন) ভিয়েনার জনতা গান শুনে আর মদ খেয়েছে যেন কিছু ঘটেনি।" [১][২]