আর্জেন্টিনা |
ইন্দোনেশিয়া |
---|
আর্জেন্টিনা-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক আর্জেন্টিনা এবং ইন্দোনেশিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৫৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ধীরে ধীরে দৃঢ় হয়েছে।[১]
ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত হাভিয়ের সানজ ডি আরকুইজা এর মতে, ফকল্যান্ডস দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীনতা দ্বন্দ্বের সময়, ইন্দোনেশিয়া সত্যিকারের বন্ধু রাষ্ট্রের মত আর্জেন্টিনার পাশে থেকেছে।[২] ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আর্জেন্টিনার স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উভয় দেশের নীতিই প্রায় সমান এবং তারা নীতিগতভাবে আদর্শিক অবস্থানে থেকে বিভিন্ন ফোরামের সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে এই দুই দেশের নীতিও একই।
উভয় দেশই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন, গ্রুপ অব ৭৭, জি ২০ এবং ফোরাম অব ইস্ট আসিয়া-লাতিন আমেরিকা কো-অপারেশন এর সদস্য। [২]
১৯৫৬ সালের ৩০ জুলাই, আর্জেন্টিনা এবং ইন্দোনেশিয়া এর মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।১৯৮২ সালে ঘটিত ফকল্যান্ডস যুদ্ধে ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য থেকে ফক্ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ (স্পেনীয়: Islas Malvinas) এর স্বাধীনতার জন্য করা আর্জেন্টিনার দাবির প্রতি সমর্থন জানায়। [২]
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী, হেইক্টর মারকোস তিমারম্যান, রাষ্ট্রীয় সফরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যান।[২] ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি, ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনার, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি, সুসিলো বামবাং ইয়ুধনোর আমন্ত্রণে এক রাষ্ট্রীয় সফরে ইন্দোনেশিয়ায় যান।[১]
চীন এর পর এশিয়ায়, ইন্দোনেশিয়াই হল আর্জেন্টিনার রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া আর্জেন্টিনার রপ্তানি পণ্যের বৃহত্তম বাজার। অপরদিকে ব্রাজিল এর পর লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা হল ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার[১]
সামগ্রিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া হল আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০০৭ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ছিল ৬৩২.৪৭ (৬৩.২৪৭ কোটি) মার্কিন ডলারের। ২০১১ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) মার্কিন ডলার। এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এই বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জন্য। প্রতি বছর আর্জেন্টিনা ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলারের সয়াবিন তেল ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করে। [২]