আর্ডেম পাটাপুটিয়ান | |
---|---|
Արտեմ Փաթափութեան | |
জন্ম | ১৯৬৭ (বয়স ৫৬–৫৭) বৈরুত, লেবানন |
পেশা |
|
পুরস্কার | চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২১) |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
শিক্ষা | |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
প্রতিষ্ঠান | স্ক্রিপস রিসার্চ (ইন্সটিউট) |
আর্ডেম পাটাপুটিয়ান (আর্মেনীয়: Արտեմ Փաթափութեան, জন্ম ১৯৬৭, বৈরুত, লেবানন) একজন আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত লেবাননি-মার্কিন আণবিক জীববিজ্ঞানী। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর লা হইয়া এলাকাতে অবস্থিত স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিউটে স্নায়ুবিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি পিআইইজেডও-ওয়ান, পিআইইজেডও-টু এবং টিআরপিএম-এইট নামক সংবেদী গ্রাহকগুলি নিয়ে কাজের জন্য পরিচিত। এই সংবেদী গ্রাহকগুলি চাপ, মেন্থল এবং তাপমাত্রা শনাক্ত করে। ২০২১ সালে তিনি ডেভিড জুলিয়াসের সাথে যৌথভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১]
আর্ডেম পাটাপুটিয়ান ১৯৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হওয়ার আগে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ বৈরুতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোষীয় এবং বিকাশমূলক জীববিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৯৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ডক্টরেট-পরবর্তী বিশেষ গবেষক হিসেবে সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লুইস রাইকার্টের সাথে কাজ করেছিলেন। ২০০০ সালে তিনি স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হন। ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি নোভার্টিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনে অতিরিক্ত গবেষক পদে কাজ করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি হাওয়ার্ড হিউগস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের (এইচএইচএমআই) গবেষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।[২]
প্রাণীদেহের তাপমাত্রা ও স্পর্শ (nociception) শনাক্তকারী সংবেদী গ্রাহকসমূহের গবেষণার সাথে আর্ডেম পাটাপুটিয়ান জড়িত। এ ধরনের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথাসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।[৩] স্নায়ুকে প্ররোচিত করতে উষ্ণতা, শৈত্য এবং যান্ত্রিক বল কীভাবে ট্রিগার হিসেবে কাজ করে সেটা বোঝা সম্ভবপর করে তুলেছে এই আবিষ্কারগুলি।[৩] সংবেদী অঙ্গাণুগুলো কীভাবে সংবেদনশীল সংকেত পরিবহন (ট্রান্সডাকশন) সেটা নিয়ে নিয়ে আর্ডেম পাটাপুটিয়ান গবেষণা করেন। গুরুত্বপূর্ণ যেসব আয়ন প্রণালী এবং রিসেপ্টর তাপমাত্রা, যান্ত্রিক শক্তির প্রয়োগে অথবা কোষের আয়তন বৃদ্ধির ফলে সক্রিয় হয়ে উঠে সেগুলোর সনাক্তকরণে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি এবং তার সহকর্মীরা দেখাতে সক্ষম হন যে এই আয়ন চ্যানেলগুলো তাপমাত্রার সংবেদন, স্পর্শের সংবেদন, প্রোপ্রিওসেপশনে (শরীরের অবস্থান এবং চলাফেরার উপলব্ধি বা সংবেদন), ব্যথার সংবেদন এবং সংবহনতান্ত্রিক ছন্দ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি অসামান্য ভূমিকা পালন করে। অতি সাম্প্রতিক গবেষণাকাজগুলোতে যান্ত্রিক-সংবেদনশীল আয়ন চ্যানেল (যান্ত্রিক-পরিবহন) সনাক্ত এবং চিহ্নিত করার জন্য কার্যকরী জিনোমিক্স কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।[৪]
গুগল স্কলারের তথ্য অনুযায়ী আর্ডেম পাটাপুটিয়ানের এইচ-সূচক হচ্ছে ৬৮[৫] এবং স্কোপাসের একটি তথ্য অনুযায়ী এই মান ৬৩ (মে ২০২০ পর্যন্ত)।[৬] তিনি ২০১৬ সাল থেকে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্সের বিশিষ্ট সভ্য, ২০১৭ সাল থেকে ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস[৭] এবং ২০২০ সাল থেকে আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস-এর সদস্য[৮]। তিনি ২০১৭ সালে ডাব্লিউ আলডেন স্পেনসার পুরস্কার,[৯] ২০১৯ সালে রোসেনস্টিল পুরস্কার[১০], ২০২০ সালে স্নায়ুবিজ্ঞানের জন্য কাভলি পুরস্কার[১১] এবং জীববিজ্ঞানে/বায়োমেডিসিনে বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ারস অফ নলেজ অ্যাওয়ার্ড পান।[১২]
তাপমাত্রা এবং স্পর্শের সংবেদী গ্রাহক!হহ আবিষ্কারের জন্য ডেভিড জুলিয়াসের সাথে যৌথভাবে শারীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১৩][১৪]