ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্থার উইলিয়াম ওয়েলার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সাউথফ্লিট, কেন্ট, ইংল্যান্ড | ৮ এপ্রিল ১৯০২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮০ ইস্টবোর্ন, সাসেক্স, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯৬) | ২৪ জুলাই ১৯৩৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ জুন ১৯৩৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৭-১৯৫০ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
আর্থার উইলিয়াম ওয়েলার্ড (ইংরেজি: Arthur Wellard; জন্ম: ৮ এপ্রিল, ১৯০২ - মৃত্যু: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮০) কেন্টের সাউথফ্লিট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন আর্থার ওয়েলার্ড।
২৫ বছর বয়সে সমারসেটের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আর্থার ওয়েলার্ডের।[১] সফরকারী নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। পরবর্তী মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে আরও কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১] তবে, তখনো তিনি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণবিহীন অবস্থায় ছিলেন। অবশেষে ১৯২৯ সালে এ যোগ্যতার দাবীদার হন তিনি।[২]
প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশগ্রহণেই বাজিমাত করেন। ১২৫ উইকেট পান ও ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় বোলার জ্যাক হোয়াইটের পরই নিজের স্থান করে নেন।[৩] নিজস্ব চতুর্থ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ খেলায় অতিথি দল কেন্টের বিপক্ষে খেলায় ১০ উইকেট পান। খেলায় তিনি ৬/১০৮ ও ৪/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।[৪]
১৯২৯ সালের জুন মাসের শুরুতে পাঁচ ইনিংসের চারটিতেই পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসটিতেও এ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন।[৫] লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট পান।[৬] এরপর টনটনে স্বাগতিক গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ছয় ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখল করেন তিনি।[৭]
ফাস্ট বোলার হিসেবে মাত্র দুইবার ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৩৭ সালে নিউজিল্যান্ড ও ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলেন। ২৪ জুলাই, ১৯৩৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে আর্থার ওয়েলার্ডের।
কাউন্টি ক্রিকেটে বেশ বয়স নিয়ে খেলতে নামেন। নিজ কাউন্টি কেন্ট থেকে উপেক্ষিত হন। উল্টো কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিয়েছিল যে, পুলিশ হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করলে তিনি বেশ ভালো করবেন। শেষ পর্যন্ত ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলোয়াড়ী জীবন চালিয়ে যান।[২] ১৯২৭ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেটের পক্ষে খেলেছেন আর্থার ওয়েলার্ড।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক ১৯৩৬ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[৮]
আর্থার ওয়েলার্ড ফাস্ট বোলিং অল-রাউন্ডার ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে সমারসেটের পক্ষে খেলেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় মাত্র ১৯.৭২ হলেও সর্বাধিকসংখ্যক ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছে তার। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচ শতাধিক ছক্কা মেরেছেন যা তার সর্বমোট রানের এক-চতুর্থাংশ।[২] তন্মধ্যে, ১৯৩৫ সালে এক মৌসুমে সর্বাধিক ৭২বার ছক্কা মেরেছেন। এছাড়াও, ১,৬১৪টি উইকেট নিয়ে সর্বকালের সেরা বোলারদের তালিকায় ৬৩তম অবস্থানে রয়েছেন।
২৪ আগস্ট, ১৯৩৮ তারিখে ওয়েলসে অনুষ্ঠিত খেলায় কেন্টের অল-রাউন্ডার ফ্রাঙ্ক ওলি’র এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৬৮ সালে ম্যালকম ন্যাশের এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে গ্যারি সোবার্স বিশ্বরেকর্ডটিকে নিজের করে নেন।
১৯৮৫ সালে ইয়ান বোথাম ৮০ ছক্কা হাঁকানোর পূর্বে এক মৌসুমে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকানোর অধিকারী ছিলেন আর্থার ওয়েলার্ড। ৫০ ছক্কা হাঁকানোর একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। পঞ্চাশ ছক্কা হাঁকানোয় তিনি চারবার নজির গড়েন। তন্মধ্যে, ১৯৩৫ সালে সর্বাধিক ৬৬ ছক্কা মেরেছিলেন।
৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় আর্থার ওয়েলার্ডের দেহাবসান ঘটে।