অর্থসংস্থান ও অর্থনীতিতে আর্থিক কর্তৃপক্ষ (ইংরেজি: Monetary authority) হল এমন একটি সত্তা যা একটি দেশের মুদ্রানীতি অর্থাৎ মুদ্রা ও অর্থ সরবরাহ পরিচালনা করে। আর্থিক কর্তৃপক্ষের মুদ্রানীতি পরিচালনার মূল লক্ষ্য থাকে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, প্রকৃত জিডিপি এবং বেকারত্বের হার নিয়ন্ত্রণ করা। কর্তৃপক্ষ সময়ে সময়ে বিভিন্ন আর্থিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে স্বল্পমেয়াদী সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেইসাথে অর্থনীতির অন্যান্য প্রভাবকও নিয়ন্ত্রণ করে যাতে অর্থের ব্যয় এবং প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। [১]
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা মুদ্রা বোর্ড একটি দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে।[২] বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকার এবং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সেট-আপের উপর নির্ভর করে দেশের সরকার তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকেকে প্রভাবিত করতে পারে বা মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা মুদ্রা বোর্ড অন্য মুদ্রার তুলনায় নিজ দেশের মুদ্রা সরবরাহ সীমিত করতে পারে। এটি নির্ভর করে বৈদেশিক মুদ্রানীতির উপর।
সাধারণত, একটি দেশে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা মুদ্রা বোর্ড আর্থিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান আর্থিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারে।[৩] যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসকল দেশের মুদ্রা ইউরো তাদের আর্থিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিছু দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুই নেই যেমন: পানামা।