ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্নল্ড ওয়ারেন[১] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কডনর, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড | ২ এপ্রিল ১৮৭৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫১ কডনর, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭৬)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | এআর ওয়ারেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৪৩) | ৩ জুলাই ১৯০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৭ - ১৯২০ | ডার্বিশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
আর্নল্ড ওয়ারেন (ইংরেজি: Arnold Warren; জন্ম: ২ এপ্রিল, ১৮৭৫ - মৃত্যু: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১) ডার্বিশায়ারের কডনর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন এআর ওয়ারেন নামে পরিচিত আর্নল্ড ওয়ারেন।
১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত আর্নল্ড ওয়ারেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ডানহাতি ফাস্ট বোলার আর্নল্ড ওয়ারেন দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। দ্রুতিগতিসম্পন্ন বোলার হলেও ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তার সময়কালের অধিকতর দ্রুতগতির বোলার হিসেবে চিত্রিত করেছেন। দূর্বল কাউন্টি দলে খেলায় তার স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাসত্ত্বেও, ১৯০৪ সালে ডার্বিশায়ারের প্রথম বোলার হিসেবে এক মৌসুমে ১০০ উইকেটের সন্ধানে পেয়েছিলেন। সর্বমোট তিনবার এ অর্জনের সাথে স্বীয় নামকে যুক্ত করেছিলেন।
মে, ১৮৯৭ সালে ডার্বিশায়ারের সদস্যরূপে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার।[২] ডার্বিশায়ারে অবস্থানকালে বিলি বেস্টউইকের সাথে বিপজ্জ্বনক ফাস্ট বোলিং জুটি গড়েছিলেন। তবে, খুব কম সময়ই একত্রে বোলিং না করার কারণে তেমন পরিচিতি পাননি।[২] বেস্টউইকের তুলনায় শ্রেয়তর বোলার এবং উন্নততর ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের কারণে দুজনের মধ্যে কেবলমাত্র তিনিই ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্যাপ লাভ করেছিলেন।
ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মারমূখী ভঙ্গীমায় অগ্রসর হতেন। নিজ নামের পার্শ্বে একটি শতরানের ইনিংস রয়েছে তার। ১৯১০ সালে ব্ল্যাকওয়েল ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে তিন ঘণ্টারও কম সময় নিয়ে ১২৩ রানের দূর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। নবম উইকেটে জন চ্যাপম্যানের সাথে ২৮৩ রান তুলেছিলেন তিনি।[২] অদ্যাবধি এ সংগ্রহটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত।[২]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আর্নল্ড ওয়ারেন। ৩ জুলাই, ১৯০৫ তারিখে লিডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
১৯০৫ সালে হেডিংলিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ৩য় টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। দীর্ঘদেহী ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। ড্র হওয়া টেস্ট খেলাটির প্রথম ইনিংসে ৫/৫৭ ও ১/৫৬ পেয়েছিলেন।[৩] অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। ভিক্টর ট্রাম্পারের ন্যায় তারকা ব্যাটসম্যানকে উভয় ইনিংসে বিদেয় করলেও আর তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখা হয়নি।[২]
১৯০০-এর দশকে ডার্বি কাউন্টির পক্ষে ফুটবল লিগে ও ব্রেন্টফোর্ডের পক্ষে সাউদার্ন লিগে আউটসাইড রাইটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১][৪][৫] এছাড়াও, হিনর টাউন ও রিপলি অ্যাথলেটিকের পক্ষে লিগ ফুটবলবিহীন খেলায় অংশ নেন।[১] স্থানীয় পানশালায় দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়িত থাকার অপরাধে ছয় মাসের জন্যে কারাগারে অবস্থান করেন। এরফলে, ব্রেন্টফোর্ডের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।[৪]
৪০ বছর অতিক্রান্ত হবার পরও সেনাবাহিনীতে যোগ্যতা না থাকায় মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে বয়স গোপন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রয়্যাল গ্যারিসন আর্টিলারিতে অন্তর্ভুক্ত হন।[২] ১৯১৭ সালে ফ্রান্সে গোলাবর্ষণে তিনি দেহের ঊর্ধ্বাংশে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর, ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ সালে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।[২] এ পর্যায়ে তিনি ল্যান্স বোম্বার্ডিয়ার পদবী ধারণ করেছিলেন।[২]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। মেরি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। জন ওয়ারেন নামের সন্তান নির্মাণকর্মী ছিলেন। ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ডার্বিশায়ারের কডনর এলাকায় দেহাবসান ঘটে।