আর্নি ফ্লেচার | |
---|---|
![]() | |
৬০তম গভর্নর, কেন্টাকি | |
কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর ৯, ২০০৩ – ডিসেম্বর ১১, ২০০৭ | |
লেফটেন্যান্ট | স্টিভ পেন্স |
পূর্বসূরী | পল প্যাটন |
উত্তরসূরী | স্টিভ বিশেয়ার |
-নির্বাচিত সদস্য কেন্টাকি জেলা থেকে | |
কাজের মেয়াদ জানুয়ারি ৩,১৯৯৯ – ডিসেম্বর ৮, ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | স্কটি বেইস্লার |
উত্তরসূরী | বেন স্যান্ডলার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আর্নেস্ট লি ফ্লেচার ১২ নভেম্বর ১৯৫২ মাউন্ট স্টার্লিং, কেন্টাকি, আমেরিকা |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্লিনা ফস্টার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কেন্টাকি ইউনিভার্সিটি (বি এস, এম ডি) |
পুরস্কার | বিমান বাহিনীর প্রশংসাসূচক পদক এয়ার ফোর্স ইউনিট এর অসামান্য পুরস্কার |
স্বাক্ষর | ![]() |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত আমেরিকা |
শাখা | ![]() |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৪-১৯৮০ |
পদ | ![]() |
আর্নেস্ট লি ফ্লেচার এর জন্ম ১২ই নভেম্বর, ১৯৫২ সালে। তিনি একাধারে একজন আমেরিকান চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৮ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে পর পর তিন বার নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং কেন্টাকি এর ৬০ তম গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ফ্লেচার এই পদে নিয়োজিত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবন শুরু করার আগে ফ্লেচার একজন পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন এবং সেই সাথে ব্যাপটিস্ট লে মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কেন্টাকির গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত দ্বিতীয় চিকিৎসক ছিলেন। ১৮৭৯ সালে, লুক পি.ব্ল্যাকবার্ন কেন্টাকির গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তিনি ছিলেন গভর্নর পদে নিযুক্ত প্রথম চিকিৎসক। তিনি রিপাবলিকান পার্টির একজন সদস্য।
ফ্লেচার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। ফ্লেচারের স্বপ্ন ছিল মহাকাশচারী হবেন। বিমানবাহিনী বাজেট কমিয়ে দেয়ার কারণে তার স্কোয়াড্রনের ফ্লাই টাইম (আকাশে থাকার সময়) কমে যায়। ব্যাপারটি তার পছন্দ না হওয়ায় তিনি বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মেডিসিন এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তার লক্ষ্য ছিল মহাকাশ মিশনে বেসামরিক নাগরিক হিসেবে নিজের জায়গা করে নেয়া। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় তাকে নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হয়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেই সাথে ব্যাপটিস্ট মন্ত্রী হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি কেন্টাকি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এ নির্বাচিত হন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দুই বছর পর তিনি মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আসনের জন্য লড়েন, কিন্তু তৎকালীন দায়িত্বে থাকা স্কট বেইস্লার এর কাছে হেরে যান। স্কট বেইস্লার মার্কিন সিনেটের জন্য লড়তে অবসরে চলে যান। ফ্লেচার আবারও কংগ্রেস আসনের জন্য লড়েন এবং ডেমোক্রেটিক স্টেট সিনেটর আর্নেস্টো স্করসান কে পরাজিত করেন। ফ্লেচার খুব শীঘ্রই হেল্থ রিপাবলিকান ক্যকাসের স্বাস্থ্যসেবা আইন, বিশেষত রোগীদের বিল অফ রাইটস সম্পর্কিত শীর্ষ উপদেষ্টা পদ লাভ করেন।
২০০৩ সালে, ফ্লেচার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বেন চ্যান্ডলারের কে পরাজিত করে গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার মেয়াদের শুরুর দিকে ফ্লেচার নির্বাহী শাখার পুনর্গঠন করে রাষ্ট্রের বেশ কিছু অর্থ বাঁচিয়ে দেন। ২০০৪ সালে, তিনি রাষ্ট্রীয় কর কোডের একটি পরিবর্তন প্রস্তাব করেন, তবে সাধারণ পরিষদ এটি বাতিল করে দেয়। রাজ্য সিনেটে রিপাবলিকানরা রাষ্ট্রীয় বাজেট সংস্কারে তৎপর হয়। তারা, তার সংস্কারটিতে জোর দিয়েছিলেন, কিন্তু আইনসভা আইনটি পাস না করেই স্থগিত হয় এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র ফ্লেচার এর করা নির্বাহী ব্যয়ের খসড়া পরিকল্পনার অধীনেই পরিচালিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে বাজেট এবং সংশোধন উভয়ই গৃহীত হয়েছিল।
পরে ২০০৫ সালে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদাসীন গণতন্ত্রবাদী, অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেগ স্টাম্বো, ফ্লেচার প্রশাসনের নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রের মেধা যাচাই পদ্ধতি লঙ্ঘন করছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত শুরু করেন। একটি গ্র্যান্ড জুরি ফ্লেচারের দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে এবং শেষ পর্যন্ত ফ্লেচারের বিরুদ্ধে আনা বেশ কয়েকটি অভিযোগ ফিরিয়ে দেয়। ফ্লেচার তদন্তে অভিযুক্ত তার কর্মীদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন, কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করেননি। ২০০৬ সালের শেষের দিকে ফ্লেচার এবং স্টাম্বোর মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে তদন্তটি শেষ হলেও, ২০০৭ সালে ফ্লেচারের পুনর্নির্বাচন এ খারাপ প্রভাব ফেলে। রিপাবলিকানের প্রাথমিক নির্বাচনে, সাবেন কংগ্রেস মহিলা সদস্য অ্যানি নর্থাপ কে হারান ফ্লেচার। কিন্তু পরবর্তীতে স্টিভ বিশেয়ার এর কাছে হেরে যান। তার গভর্নর পদে মেয়াদ শেষ হলে, তিনি আল্টন হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার চিকিৎসা জীবনে ফিরে যান। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
আর্নেস্ট লি ফ্লেচার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ নভেম্বর কেন্টাকির মাউন্ট স্টার্লিং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। [১] স্যার হ্যারল্ড ফ্লেচার, এবং তার স্ত্রী মেরীর চার সন্তানের মধ্যে ফ্লেচার ছিলেন তৃতীয়। [২][৩] তাদের একটি খামার ছিল। এছাড়াও মিন্স সম্প্রদায়ের পাশেই তাদের একটি সাধারণ মুদি দোকান ছিল। [২] তার বাবা হ্যারল্ড ফ্লেচার কলম্বিয়া গ্যাস এর জন্যেও কাজ করতেন। [৪] আর্নির বয়স যখন তিন সপ্তাহ, তখন হ্যারল্ডকে হান্টিংটন,পশ্চিম ভার্জিনিয়া তে স্থানান্তর করা হয়। [৫] ২ বছর পর, ফ্লেচাররা রবার্টসন কাউন্টি, কেন্টাকিতে তারা আগে যেখানে থাকতেন সেখানে ফিরে আসেন, আর্নি ফ্লেচার প্রথম শ্রেনীতে পড়াশোনা শুরু করেন। [৪] এর মধ্যেই তাদের পরিবার আরো একবার স্থানান্তরিত হয়। অবশেষে লেক্সিংটন শহরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করে। [৩]
ফ্লেচার লেক্সিংটন-এ লাফায়েট হাই স্কুলে পড়তেন এবং তিনি সেখানে জাতীয় বিটা ক্লাবের সদস্য ছিলেন। [২] স্কুল জীবনে তিনি সর্বরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের স্যাক্সোফোন বাদক ছিলেন এবং প্রম কিং নির্বাচিত হন। [২][৬] ১৯৭০ সালে স্নাতক করার পর, ফ্লেচার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। [১] তিনি ডেল্টা টাউ ডেল্টা ভ্রাতৃসংঘের সদস্যতা নেন এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।[৭] এক বছর পরে, তিনি তার হাই স্কুলের প্রেমিকা, গ্লিনা ফস্টারকে বিয়ে করেন। [৬] এই দম্পতির দুই সন্তান, র্যাচেল এবং বেন, এবং চার নাতি নাতনী রয়েছে। [৩][৮]
ফ্লেচার এর স্বপ্ন ছিল তিনি মহাকাশচারী হবেন। এই স্বপ্ন নিয়েই তিনি এয়ার ফোর্স রিজার্ভ অফিসার প্রশিক্ষণ কর্পস এ যোগ দেন। [৯] ১৯৭৪ সালে তিনি যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং সর্বোচ্চ সম্মাননা অর্জন করেন। [২] স্নাতকের পর, তিনি মার্কিন বিমান বাহিনী তে যোগদান করেন। [১] ওকলাহোমায় ফ্লাইট প্রশিক্ষণের পর তাকে আলাস্কায় নিযুক্ত করা হয় যেখানে তিনি এফ -4 ই এয়ারক্রাফট বাহিনীর কমান্ডার এবং নোর্যাড অ্যালার্ট ফোর্স কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। [৪][৮] স্নায়ু যুদ্ধের সময়, স্কোয়াড্রনকে সোভিয়েত সামরিক বিমান আটকানোর নির্দেশ দেয়াও তার দায়িত্ব ছিল। [৯] ১৯৮০ সালে, বিমান বাহিনীর বাজেট হ্রাসের কারণে তার স্কোয়াড্রনের ফ্লাই টাইম কমিয়ে দেয়া হয়। এরপর, ফ্লেচার এয়ার ফোর্সের একটি রেগুলার কমিশন প্রত্যাখ্যান করেন এবং তিনি এয়ার ফোর্স এর অধিনায়ক র্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন। [৯] ফ্লেচার এয়ার ফোর্স প্রশংসাসূচক পদক এবং এয়ার ফোর্স কমেন্ডেশন পদক প্রাপ্ত ছিলেন। [১০]
ফ্লেচার কেন্টাকি কলেজ অফ মেডিসিন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। তার আশা ছিল, সামরিক অভিজ্ঞতা এবং মেডিসিন ডিগ্রী তাকে মহাকাশ অভিযানে নিজের স্থান করে নিতে সাহায্য করবে। [২][৯] ১৯৮৪ সালে, তিনি মেডিক্যাল স্কুল থেকে মেডিসিন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, কিন্তু তার দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার ফলে তাকে বাধ্য হয়ে মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হয়। [১][৯]
১৯৮৩ সালে, লেক্সিংটন প্রিমিটিভ ব্যাপটিস্ট গির্জা, যেখানে ফ্লেচার দীক্ষা নেন, তারা তাকে একজন লে মিনিস্টার হিসাবে নিযুক্ত করে। [৯] ১৯৯৪ সালে, তিনি লেক্সিংটনে একটি পারিবারিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। [৯] প্রাক্তন সহপাঠী ডঃ জেমস ডি বি জর্জের সাথে তিনি ১৯৮৭ সালে সাউথ লেক্সিংটন পারিবারিক চিকিৎসক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। [২] দুই বছর ধরে, তিনি সেন্ট জোসেফ মেডিকেল ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । [৮] ১৯৮৯ সালে, ফ্লেচারের গির্জা তাকে অবৈতনিক পাদ্রী হিসাবে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়, কিন্তু ক্রমেই, গির্জার কিছু তত্ত্ব নিয়ে তার প্রশ্ন তৈরি হতে থাকে। তিনি এর আরো বেশি প্রচার এবং প্রসার চাইতেন এবং একজন ধর্ম প্রচারক হতে চেয়েছিলেন। [৯] তাই, ১৯৯৪ সালে তিনি প্রিমিটিভ ব্যাপটিস্ট মূল্যবোধ ত্যাগ করেন এবং সাউদার্ন ব্যাপটিস্ট ধর্মসভার পোর্টার মেমোরিয়াল ব্যাপটিস্ট চার্চে যোগ দেন। [৯]
গির্জা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, ফ্লেচার সমাজের রক্ষণশীল একটি গোষ্ঠীর সাথে পরিচিত হন, যা [৯] ১৯৯০ সালে ফেইট কাউন্টি রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করে। [৯] (ফেইট কাউন্টি এবং লেক্সিংটন শহর মিলিতভাবে লেক্সিংটন-ফেইট সরকারের শহুরে কাউন্টির অধীনে কাজ করে)। ফ্লেচার কাউন্টি রিপাবলিকান কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। [৯] ১৯৯৪ সালে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী গণতন্ত্রবাদী লেসলি ট্র্যাপকে পরাজিত করে কেন্টাকি হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস নির্বাচিত হন। [২] তিনি কেন্টাকির ৭৪ তম জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং দারিদ্র্য বিষয়ক কেন্টাকি কমিশন এবং উচ্চশিক্ষার উপর টাস্ক ফোর্সে দায়িত্ব পালন করেন। [৮] রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংস্কারে সহায়তা করার জন্য তিনি গভর্নর পল ই.প্যাটন এর দ্বারাও নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৮]
১৯৯৬ সালে আইনশৃঙ্খলার জেলা পুনর্বিন্যাস করার ফলে, ফ্লেচার এর প্রতিনিধিত্ব তার জেলা সহযোগী হিসেবে রিপাবলিকান স্ট্যান কেভ এর দেয়া হয়। [৯] তার নিজের দলের একজনকে চ্যালেঞ্জ করার পরিবর্তে,ফ্লেচার সেই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস- এর কেনটাকির ৬ষ্ঠ জেলার প্রতিনিধিত্বে একটি আসনের জন্য লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। [৯] তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি ৪ ভোটে হারান। ৩ ধাপে রিপাবলিকান প্রাথমিক নির্বাচনে জিতে নেওয়ার পর, তিনি ডেমোক্র্যাটিক স্কটি বেইস্লার এর কাছে ২৫০০০ ভোটে পরাজিত হন। [৯] ১৯৯৮ সালে, সিনেটর ওয়েন্ডেল এইচ. ফোর্ড মার্কিন সিনেট আসন থেকে অবসর নেন। এই আসনে লড়ার জন্য স্কটি বেইস্লার পদত্যাগ করেন। [৯] ফ্লেচার বিপুল ভোটে বেইস্লারের আসন জিতেন। [৯] সাধারণ নির্বাচনে, ফ্লেচার গণতন্ত্রবাদী আর্নেস্টো স্করসান এর মুখোমুখি হন। [৯] লেক্সিংটন হেরাল্ড-লিডার এই প্রতিযোগিতা কে " বাম ও ডান দলের মধ্যে "একটি আধুনিক দ্বন্দ্ব যুদ্ধ " হিসাবে আখ্যায়িত করেন। [১১] ফ্লেচার গর্ভপাতের বিপক্ষে দৃঢ় সমর্থন করেন, এবং তিনি একটি সহজ, বৈধ এবং সুন্দর ট্যাক্স সিস্টেম সমর্থন করছিলেন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে বেশিরভাগ ফেডারেল শিক্ষা তহবিল জনগণকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান। [১১] অন্যদিকে, স্করসান গর্ভপাত অধিকার সমর্থন করেন এবং, একটি সহজ ট্যাক্স ব্যবস্থা কে "পশ্চাদগামী" মনে করতেন, এবং জাতীয় শিক্ষাগত পরীক্ষা এবং মানের পক্ষে ছিলেন। [১১] ফ্লেচার স্করসানকে ১০৪,০৪৬ থেকে ৯০০৩৩ ভোটে এবং তৃতীয় পক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বী ডব্লিউ এস ক্রোগদাল কে ১৮৩৯ ভোটে পরাজিত করেন [৯]
ওয়াশিংটনের ডিসি তে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই, ফ্লেচার রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের ১৭ সদস্যের নতুন দলে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচিত হন। [১২] তিনি এডুকেশন এন্ড ওয়ার্কফোর্স কমিটিতে দায়িত্ব পান। এই কমিটির সভাপতি জন বোহনার, ফ্লেচারকে তার সহ-সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেন। [১২] এই কমিটির উদ্দেশ্য হল অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি নিয়োগদাতা যে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনাগুলো দিচ্ছে সেগুলোর নিয়মগুলোর তত্ত্বাবধান করা। যদিও একজন নতুন আইন প্রণেতা হিসেবে তার এরকম একটি কমিটির নেতৃত্ব দেয়ার কথা নয়। তবে জন বোহমার ফ্লেচারের চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞান এবং কাজের অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই তাকে কেন্টাকি হেলথ কেয়ার সিস্টেম এর সংস্কারের কাজ দেন। [১২] ফ্লেচার এছাড়াও বাজেট ও কৃষি বিষয়ক হাউস কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [৮] জুন ১৯৯৯ সালে, তিনি যুবসমাজের সহিংসতা সংশোধন বিল স্পনসর করেন যা স্কুল এর স্থানীয় প্রশাসন ইউনিট গুলোতে ছাত্রদের শিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধের মানোন্নয়নের জন্য ফেডারেল ফান্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। সংশোধনীটি পাস হয় ৪২২—১ হিসেবে। [১২] পরবর্তীতে, ফ্লেচারকে এনার্জি এন্ড কমার্স কমিটি তে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং হেলথ পলিসি সাব-কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। [৮]
রোগীদের বিল অফ রাইটস এর প্রস্তাবিত আইন নিয়ে বিতর্ক চলাকালে তিনি একটি গণতান্ত্রিক প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। এই প্রস্তাবমতে, যে কোন ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার (এইচএমও) বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা দায়ের করতে পারতো। তার পছন্দ ছিল রিপাবলিকান নেতৃত্বের খসড়া করা সংক্ষিপ্ত বিল যা রোগীদের হেলথ মেইন্টেনেন্স অর্গানাইজেশন(এইচএমও) এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেয়।[১৩] রিপাবলিকান আইন সমিতিতে থাকা অনেক ডাক্তার মনে করেছিলেন যে তাদের দলের বিল বেশিদূর এগোতে পারে নি ; ফ্লেচার এবং টেনেসী সিনেটর বিল ফ্রিস্ট ছিলেন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। [১৩] ফ্লেচারের বিরুদ্ধাচরণের কারণে তাকে কেন্টাকি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের(কেএমএ) সমর্থন হারাতে হয়। [১৪]
১৯৯৮ সালে স্করসানকে হারিয়ে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আসন লাভ করেছিলেন ফ্লেচার। কিন্তু ২০০০ সালে কেন্টাকি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (কেএমএ) ফ্লেচার কে তার আসন থেকে সরাতে তার বিপক্ষে চলে যায় এবং সাবেক মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস, স্কটি বেইসলারকে সমর্থন করে। [১৪] তবে, বেইসলার কেবলমাত্র ৩৫% ভোট পেয়েছিলেন। ফ্লেচার পেয়েছিলেন ৫৩% ভোট। [৯] অবশিষ্ট ১২% ভোট পেয়েছিল তৃতীয় পক্ষের একজন প্রার্থী গেটউড গ্যাল্ব্রেইথ [৯]
২০০০ সালের নির্বাচনের পরে, ফ্লেচার একটি আপোস বিল তৈরি করেন যা রোগীদের ফেডারেল কোর্টে তাদের এইচএমও দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অনুমতি দেয়। তিনি ৫০০,০০০ ডলার পেইন এন্ড সাফারিং এওয়ার্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেন। সেই সাথে প্যুনিটিভ ড্যামেজ এওয়ার্ড বাতিল করে দেন। [১৫] কিন্তু মার্কিন হাউজ তার বিলটি পাস করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফ্লেচারের বিলের পক্ষে রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের দৃঢ় সমর্থন থাকার পরেও হাউস জর্জিয়া এর চার্লি নরউডের বিকল্প প্রস্তাব সমর্থন করে। কারণ, চার্লি নরউডের প্রস্তাবিত বিলে রোগীর অভিযোগ করার ক্ষমতা ফ্লেচারের প্রস্তাবিত বিলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল। [১৫]
২০০২ সালে, ২৪ বছর বয়েসী ডেমোক্রেট পার্টির,রয় মিলার করনেট জুনিয়র তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় পুননির্বাচনে ফ্লেচারের বিপক্ষে বড় কোন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। [১৬] ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টি থেকে গেটউড গ্যালব্রিথ এবং লিবার্টেরিয়ান থেকে মার্ক গেইলি লড়েন। [১৭] চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষে, ফ্লেচার ১১৫,৫২২ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপরদিকে গ্যালব্রেইথ ৪১,৮৫৩ এবং গেইলির ৩,৩১৩ টি ভোট পান। [১৭]
২০০২ সালে, কেন্টাকির রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মিচ ম্যাককনেল ফ্লেচারকে গভর্নর পদে লড়তে উৎসাহিত করেন। তিনি সে বছরই একটা গবেষণামূলক কমিটিও গঠন করেন। [১৮] ২০০২ সালের ২ ডিসেম্বর, তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি ম্যাককনেল এর সহযোগী হান্টার বেটসের সাথে লড়বেন। [১৮] ২০০৩ এর প্রথম দিকে, কার্টিস শেইন নামে একটি রিপাবলিকান কলেজ শিক্ষার্থী বেইটসের প্রার্থীতাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। সে দাবি করে, রাজ্য সংবিধানে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের জন্য নির্ধারিত আবাসস্থলের শর্ত দেয়া আছে তা মানা হয় নি। [১৭] সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে গভর্নর এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর উভয় পদ প্রার্থীকেই কমপক্ষে ৬ বছর সেই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে [১৭] আগস্ট, ১৯৯৫ থেকে ফেব্রুয়ারি,২০০২ পর্যন্ত, বেইটস এবং তার স্ত্রী ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে থাকতেন বব হেলেরিংগার ,তখন বেইটস ওয়াশিংটন ডিসি-র একটি আইনি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন এবং পরে তিনি ম্যাক কনেলের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পান। [১৯] লুভল উপশহরের সাবেক স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ, বব হেলেরিংগার এবং রিপাবলিকান পার্টির গভর্নর পদপ্রার্থী স্টিভ নান কার্টিস শেইন এর এই দাবী সমর্থন করেন। [১৯] ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ওল্ডহ্যাম কাউন্টির বিচারক রায় দিলেন যে, বেইটস কেন্টাকিতে বসবাস করেন নি। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ছিলেন, ভার্জিনিয়ায় আয়কর প্রদান করেছিলেন এবং "নিয়মিত" ভার্জিনিয়ায় তার অ্যাপার্টমেন্টেই ঘুমাতেন। [১৯] বিচারক তার পদটি শুন্য ঘোষণা করে। বেইটস এই রায়ে কোন আপত্তি করেননি, ফ্লেচারকে বেইটসের পরিবর্তে অন্য একজন সহযোগী বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। [৫]
ফ্লেচার তার নতুন সহযোগী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি স্টিভ পেন্সকে কেন্টাকির পশ্চিম জেলার জন্য বেছে নেন। [১৮] এদিকে হেলেরিংগার তার আইনি চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রেখেছিলেন। প্রথমত তার দাবি ছিল,বেইটসের সাথে সাথে ফ্লেচারের প্রার্থীতাও বাতিল করে দেয়া উচিত। এবং পরবর্তীতে ফ্লেচারকে বেইটসের পরিবর্তে সহযোগী প্রার্থী পরিবর্তে বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়াও উচিত হয় নি। [২০] কেন্টাকি সুপ্রিম কোর্ট ৭ই মে, ২০০৩ সালে এই বিতর্কের ইতি টানে। বিচারকের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। চূড়ান্ত রায় ছিল, এই কেস নিয়ে তদন্ত অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, হেলেরিংগার এর দাবি যুক্তিসংগত ছিল। [২০] স্টেট ইলেকশন বোর্ড সব কাউন্টি ক্লার্কদের ফ্লেচার এবং বেটসের জন্য কতজন ভোটদানকারী অনুপস্থিত বনাম ফ্লেচার এবং পেন্সের পক্ষে কতজন ভোট দেয় তার হিসেব করতে নির্দেশ দেয়। [২০]
রিপাবলিকান সাধারণ নির্বাচনে, ফ্লেচার ৫৩% ভোট পান নান, জেফারসন কাউন্টি বিচারক / নির্বাহী রেবেকা জ্যাকসন এবং স্টেট সিনেটর ভার্জিল মুর কে হারান। [১৮] ডেমোক্র্যাটিক সাধারণ নির্বাচনে মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বেন চ্যান্ডলার হাউসের স্পিকার জোডি রিচার্ডসকে পরাজিত করেন । [১৮] চ্যান্ডলার ছিলেন প্রাক্তন গভর্নর এ.বি হ্যাপি চ্যান্ডলারের নাতি। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন গুলোতে মানসিক ভাবে ভেংগে পড়েন যখন দেখেন তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী, ব্যবসায়ী ব্রুস লান্সফোর্ড প্রার্থীতা ছেড়ে দিয়ে এসে রিচার্ডসের সমর্থকদের দলে ভিড়ে যান । [১৮] চ্যান্ডলার মাত্র ৩.৭ শতাংশ পয়েন্টের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটিক সাধারণ নির্বাচনে জিতেছিলেন এবং তাকে তার প্রচারণা পুনর্গঠন করতে বাধ্য করা হয়। [১৮] ফলস্বরূপ, এই সময়ে ফ্লেচার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসাবে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন। [১৮]
রিপাবলিকান গভর্নর্স অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলের কল্যাণে, ফ্লেচার চ্যান্ডলারের চেয়ে দু'একটি আর্থিক সুবিধা বেশি পেয়েছিলেন। [১৮] এই সময় তৎকালীন ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর পল প্যাটন যৌন কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েন, পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে ৭১০ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতি, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের কঠোর সমালোচনার মুখে ফেলে দেয়। [২১] ফ্লেচার এই পরিস্থতিকে পুজি করেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। ফ্র্যাঙ্কফোর্টে "এই অনাকাংখিত সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হন (৫৯৬,২৮৪ থেকে ৪৮৭,১৫৯ ভোট) [২১] সব মিলিয়ে ২০০৩ সালে রিপাবলিকানরা সাতটি রাজ্যের মধ্যে চারটি সাংবিধানিক অফিসই দখল করে; ট্রে গ্রেসন পররাষ্ট্র সচিব পদে এবং রিচি ফার্মার কৃষি কমিশনার পদে নির্বাচিত হন। [২১] ফ্লেচার ২০০৮ সালের ৮ ই ডিসেম্বর,২০০৩ সালে তার আসন থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরের দিন গভর্নর পদে দায়িত্ব নেন। [১] ফ্লেচার ছিলেন ১৯৭১ সালের পর কেন্টাকিতে রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রথম গভর্নর। এই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন এবং রিপাবলিকান পার্টির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জয়। [৮]
ফ্লেচার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেন এবং তাঁর শাসনামলে কেন্টাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব গুলো রাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে উন্নীত হয়। [৮] গভর্নর হিসাবে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ ছিল নির্বাহী শাখাকে পুনর্গঠন করা এবং মন্ত্রিপরিষদের পদের সংখ্যা চৌদ্দ থেকে নয়ে কমিয়ে আনা। [৮] তিনি প্রাক্তন কেন্টাকি হর্স রেসিং কমিশন তুলে দেন এবং এর পরিবর্তে রাজ্যের ঘোড়দৌড় শিল্পের প্রচার ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্টাকি ঘোড়া রেসিং অথরিটি(কর্তৃপক্ষ) তৈরি করেন [৮] (স্টেট)রাজ্যে মেডিকএইড এর কর্মসূচী সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্যে কিছু নিয়ম তুলে দেন এবং তিনি এই প্রোগ্রামে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেন এবং যাতে গরিব লোকজন যথাযথ এই সুযোগ সুবিধা ও সেবা পায়। [৮] ফ্লেচার কেন্টাকিবাসীরা যাতে স্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপন করতে পারেন নিশ্চিত করতে "স্বাস্থ্যকর কেন্টাকিত এ থাকুন" উদ্যোগ নেন। [৮]
ফ্লেচার যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, কেন্টাকি সিনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, এবং ডেমোক্র্যাটরা রাজ্য প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ফলস্বরূপ, সাধারণ সমাবেশে ফ্লেচার আইন প্রণয়ন করতে সমস্যার সম্মুখীন হতেন। ২০০৪ এর শুরুর দিকে আইনসভার অধিবেশনে, কর সংস্কারের জন্য "রাজস্ব নিরপেক্ষ" একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। তার দাবি ছিল, এই সংস্কার রাষ্ট্রীয় কর কোড উন্নত করবে। [২২] এই প্রস্তাবটি খসড়া [২৩] করেন ডেমোক্র্যাট দলের সাত জন সদস্য। এই সাত জনের কেউই নেতৃত্ব দেয়ার ভূমিকায় ছিলেন না। সুতরাং,অভিযোগ ওঠে, ফ্লেচার হাউসের সাথে প্ররোচনা করছেন। রিপাবলিকানরা চাচ্ছিল এই আইন পাশ হোক কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা তাদের সমর্থনে ছিলেন না। [২২] হাউস, আইনের এই সংস্কার কিংবা ডেমোক্র্যাটদের দাবি কোনটাই পাশ করে না। [২২] বিতর্কিত অধিবেশনটি মাত্র কয়েকটি আইন পাশ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভ্রূণ হত্যা আইন পাস, দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা এবং ফেডারেল যোগাযোগ কমিশন এর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। [২৪]
২০০৪ সালের দ্বিতীয় অধিবেশনকে একটি ব্যর্থ অধিবেশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কারণ সাধারণ পরিষদ এই অধিবেশনে দ্বিবার্ষিক বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হয়। প্রথমটি ছিল গভর্নর প্যাটনের অধীনে ২০০২ সালে। [২২] যখন অর্থবছর নির্ধারিত কোন বাজেট ছাড়াই শেষ হয়, তখন রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের দায়ভার ফ্লেচারের হাতে পড়ে। [২৫] এর আগে ২০০২ সালে এই ব্যয়ভার পড়ে গভর্নরের করা একজন নির্বাহীর ব্যয় পরিকল্পনার উপর। [২৫] ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেগ স্টম্বো আইনি অনুমোদন ছাড়া ফ্লেচারের ব্যয় করার ক্ষমতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে একটি মামলা দায়ের করেন। [২৫] ২০০২ এর অধিবেশন অচলাবস্থার মাধ্যমে শেষ হয়। আইনসভা এই মামলার নিস্পত্তির জন্য বিশেষ অধিবেশনে একটি বাজেট পাশ করে । [২৫] ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারকদের পর্যালোচনায় ফ্লেচারের ব্যয় পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেও কোন নতুন প্রজেক্ট এবং কর্মসূচিতে ব্যয় করাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। [২৫] ২০০৪ সালে ডিসেম্বরের শেষের দিকে, একজন বিচারক রায় দেন যে, ফ্লেচারের পরিকল্পনাটি ৩০ জুন, ২০০৫- এই অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত ব্যয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, তবে "এরপরে" প্রশাসনিক কাজে ব্যয় সীমাবদ্ধ করা হবে এবং এর জন্য তহবিল সংকট কে কারণ হিসেবে দেখানো হয়। [২৬]
১৯ মে, ২০০৫-এ, কেন্টাকি সুপ্রিম কোর্ট একটি ৪-৩ ধারা জারি করে এবং বলে যে, জেনারেল অ্যাসেম্বলির বাজেট পাস না করা অসাংবিধানিক ছিল এবং ফ্লেচার তার সাংবিধানিক কর্তৃত্বের বাইরে অর্থ ব্যয় করেছেন। অধিকাংশই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তাদের মতে, যদি আইন সভা বাজেট দিতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী অপশনটিই বেছে নিতে হবে । নাগরিকরা যদি এই পরিষেবাগুলিকে অপর্যাপ্ত মনে করেন কেবল মাত্র তখন সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ প্রযোজ্য হবে। [২৭] প্রধান বিচারপতি জোসেফ ল্যামবার্ট কোর্টের এই দাবির বিপক্ষে ছিলেন। তার মতে, নির্বাহী ব্যয়ের এই পরিকল্পনা জরুরি ছিল। অন্য দুজন বিচারপতি, পৃথক মতামত অনুসারে, সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে একমত ছিলেন না। তাদের মতে এরকম পরিকল্পনা এক সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। এই বিতর্ক নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও পরবর্তী বাজেট নির্ধারণ সীমিত করে দেয়ার জন্য এটি একটি নজির হিসেবে কাজ করে। [২৭]
২০০৪ সালের জুন এ, ফ্লেচারের বিমানটি একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করা যার ফলে মার্কিন ক্যাপিটল এবং সুপ্রিম কোর্টের বিল্ডিংয়ের লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য করে। [২৮] ফ্লেচারের বিমানের ট্রান্সপন্ডার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগনের স্মৃতিচারণ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অল্প সময়ের মধ্যেই, রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ আকাশে একটি অননুমোদিত বিমান প্রবেশের কথা জানান। [২৮] দুটি এফ -15 যোদ্ধা তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং দুটি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার দিয়ে ফ্লেচারের বিমানটিকে তার গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। [২৮] বিমানটি, ৩৩ বছরের পুরনো বিচক্র্যাফ্ট কিং এয়ার, মডেলটি ছিল সবচেয়ে পুরানো যা তখনো সক্রিয় ছিল [২৮] ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এর তদন্তে দেখা গেছে যে ফ্লেচারের বিমান ক্রু বিমানের ট্র্যাফিক কর্মকর্তাদের সাথে রেডিও যোগাযোগ রেখেছিল এবং বিধি সম্মতভাবেই আকাশ সীমায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল। [২৯] তদন্তে জানা যায় যে, বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে যোগাযোগের ত্রুটিই এ আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এই ঘটনার পরে, এফএএ এই ধরনের ত্রুটি ভবিষ্যতে এড়াতে নতুন নীতিমালা যুক্ত করে। [২৯]
জুলাই, ২০০৪ সালে, ফ্লেচার কেন্টাকি কে স্বতন্ত্র স্টেট হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।[৩০] এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর লেট নাইট কমেডিয়ান ক্রেগ কিলোর্ন এবং জে লেনো শো যথাক্রমে দ্য লেট লেট শো এবং দ্য টুনাইট শো- তে এ নিয়ে মজা করেছিলেন। [৩০] প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ফ্লেচার তাদের দুজনকেই দুটো চিঠি লিখেন এবং পরবর্তীতে দুই প্রোগ্রামেই উপস্থিত হওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। [৩০] লেনোর দর্শকসংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি এবং শো এর সময়ও দ্য লেট লেট শো এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত আগে হওয়ায় দ্য টুনাইট শোতে উপস্থিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফ্লেচার। তিনি লুইকে একটি লুইসভিল স্লাগার বেসবল ব্যাট উপহার দেন এবং কেন্টাকি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে "দ্য টুনাইট শো" এর জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন। [৩১] অবশেষে, কেন্টাকির জন্য চারটি স্লোগান নিয়ে অনলাইন এবং আন্তঃস্টেট ট্রাভেল সেন্টারগুলোতে ভোট নেয়া নয়। [৩২] ডিসেম্বর ২০০৪ সালে, "Kentucky: Unbridled Spirit" বিজয়ী স্লোগান হিসাবে বেছে নেয়া হয় এবং এটি রাস্তার চিহ্ন, রাষ্ট্রীয় নথি এবং স্মরণিকাতে মুদ্রিত করে দেয়া হয়। [৩২] ২০০৭ সালের একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, ৮৮.৯% কেন্টাকিয়ান এই স্লোগান এবং এর লোগোটি সঠিকভাবে চেনে। [৩৩] আর দশটি স্টেটের মধ্য জরিপকৃতদের মধ্যে ৬৪% [৩৩] % স্লোগান এবং লোগোটিকে চেনে, যা গবেষণায় পরীক্ষিত অন্য যে কোনও ব্র্যান্ডের চেয়ে বেশি পরিচিত। [৩৩]
২০০৪ এর শেষের দিকে, ফ্লেচার রাজ্যের সকল করমী এবং অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবায় পরিবর্তন প্রস্তাব করেন। ফ্লেচারের পরিকল্পনায় যারা স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত ছিলেন তাদের বিশেষ ছাড় দেয়া হয়, যাকে তিনি "অসুস্থতা থেকে সুস্থতার উদ্যোগ" হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। [৩৪] অতিরিক্ত খরচ পোষাতে তিনি ১% বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন। [৩৪] রাজ্য কর্মচারীরা, বিশেষত পাবলিক স্কুলের শিক্ষকরা, ফ্লেচারের পরিকল্পনার ব্যাপক বিরোধিতা করেন। কেন্টাকি এডুকেশনস অ্যাসোসিয়েশন ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৪ এ অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করার আহ্বান জানায়। [৩৪] এই সমস্যার সমাধানের জন্য, অক্টোবর ৫, ২০০৪ এ ফ্লেচার আইনসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকেন। [৩৪] যদিও রাজ্যটি তখনো নির্বাহী ব্যয়ের পরিকল্পনাতেই কাজ করছিল, ফ্লেচার কর সংস্কার প্রস্তাব এই অধিবেশনের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করেননি। ডেমক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় পার্টিই তার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে। ফ্লেচার চাচ্ছিলেন স্বাস্থ্য পরিকল্পনাটিকেই প্রাধান্য দিতে। [৩৪] পনের দিনের এই অধিবেশনে, সাধারণ পরিষদ একটি পরিকল্পনা পাস করে যা স্টেট কর্মীদের স্বাস্থ্য বীমাতে আরও $ ১৯০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয় এবং পূর্ববর্তী বীমা পরিকল্পনার সুবিধাগুলোও এতে যুক্ত করে। [৩৫] অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পরপরই কেন্টাকি এডুকেশনার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবিত ধর্মঘট বাতিল বাতিল করে দেয়। [৩৫]
৮ ই নভেম্বর, ২০০৪ সালে, ফ্লেচার থমাস ক্লাইড বোলিংয়ের নামে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেন, ক্লাইড ১৯৯০ সালে জোড়া খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং প্রাণঘাতী (লিথাল) ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। [৩৬] একদল চিকিৎসক কেন্টাকি মেডিকেল লাইসেন্স বোর্ডকে ফ্লেচারের মেডিকেল লাইসেন্স বাতিল করা উচিত কিনা এ নিয়ে তদন্ত করতে অনুরোধ করে। [৩৬] কেন্টাকি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা মতে, ডাক্তারদের মৃত্যুদণ্ডাদেশে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ছিল । [৩৬] ১৩ ই জানুয়ারী, ২০০৫ এ, মেডিকেল লাইসেন্স বোর্ড জানায়, ফ্লেচার গভর্নর হিসাবে এই ওয়ারেন্টে স্বাক্ষর করেন চিকিৎসক হিসেবে নয় এবং এখানে তার মেডিক্যাল লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার কোন কারণ নেই। [৩৭]
সাধারণ পরিষদের ২০০৫ সালের অধিবেশনে ফ্লেচার তার ট্যাক্স সংস্কার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন এবং অধিবেশন শেষে উভয় দলই এটি পাস করে। [৩৮] এই পরিকল্পনাটি সিগারেট এবং অ্যালকোহলের উপর পাপ কর/শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, পাশাপাশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং মোটেল রুমগুলোর উপর শুল্ক আরোপ করছে। [৩৯] ব্যবসায়ও মোট গ্রহীতা শুল্ক আরোপ করা হয় । [৩৯] বিনিময়ে, কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া হয়, এমনকি ইনকাম ট্যাক্স ও কমিয়ে দেয়া হয়। ব্যক্তি প্রতি বছর $৭৫,০০০ ডলারের কম আয় করে তার জন্যেও আয়কর কমানো হয়।; ৩০০,০০০ জন কমবেতন ভুক্ত কর্মচারী আয়করের আওতামুক্ত হয়। [৩৯] এই অধিবেশনে দ্বি-বামের বাকী অংশের জন্যও একটি বাজেট পাস করে, রাজ্যের পাবলিক ক্যাম্পেইন ফিনান্স আইন বাতিল করে এবং বিদ্যালয়ের পুষ্টি সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা পাস করে। [৩৮]
২০০৫ সালের মে মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল স্টাম্বো দাবি করেন, ফ্লেচার প্রশাসন রাষ্ট্রীয় কর্মীদের নিয়োগ, প্রচার, জনশক্তি ও চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে কে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত এই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদ্ধতি রাষ্ট্রীয় মেধা ব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়েছে। [৪০] এই মামলার তদন্ত শুরু হয় এইটি ২৭৬ পৃষ্ঠার একটি মামলার প্রেক্ষিতে। এই মামলা টি করেন ডগলাস ডব্লিউ ডুয়ের্টিং যিনি ছিলেন কেনটাকি পরিবহন মন্ত্রিসভার সহকারী কর্মচারী পরিচালক। [৪০] ফ্লেচার, এই তদন্ত শুরুর সময় জাপানের ট্রেড মিশনে ছিলেন এবং তিনি টেলিফোন সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন যে চাকরির সুপারিশগুলি পরিচালনা করার জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া না করায় নিয়োগে তার প্রশাসনের "ভুল" থাকতে পারে। [৪১] জাপান থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে, ফ্লেচার এই ভুল কে অস্বীকার করেন এবং বলেন স্টাম্বোর এই তদন্ত আগামী নির্বাচনে গভর্নর হিসেবে তাকে মনোনীত করার একটি চাল মাত্র। [৪১] স্টাম্বো ২০০৭ সালে তার গভর্নর পদে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পরকে অস্বীকার করেননি, যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র্যাটিকের সাধারণ নির্বাচনেই কাছে হেরে যান এবং নির্বাচনে গভর্নর পদ প্রার্থী ব্রুস লুনসফোর্ডের সহযোগী হন। [৪১]
ফ্লেচার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য ২০০৫ সালের জুনে একটি গ্র্যান্ড জুরি গঠন করা হয়েছিল। অবশেষে, আগস্টের মধ্যেই জুরিটি স্টেট রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ড্যারেল ব্রোক জুনিয়র এবং ভারপ্রাপ্ত পরিবহন সচিব বিল নাইবার্ট সহ নয়টি প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। [৪২] প্রশাসনিক কমিশনার ড্যান ডুর্যেন এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ব্যতীত বাকিগুলো সবই ছিল বেআইনি কাজের অভিযোগ। তিনি ২২ টি ষড়যন্ত্র এর দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন। তার গুরুতর অপরাধের এর মধ্যে ছিল ২০ চাক্ষুস প্রমাণ এবং ২ জন সাক্ষী নিয়ে ষড়যন্ত্র করা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো ১৩ টি অভিযোগ ছিল। [৪২] ২৯ আগস্ট, ফ্লেচার অভিযুক্ত প্রত্যেককেই ক্ষমা করে দেন। [৪৩] কিন্তু ফ্লেচার নিজেকে ক্ষমা করেন নি। [৪৩] পরদিন, ফ্লেচারকে গ্র্যান্ড জুরি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকলেও তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন, তার প্রশাসনের এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য তিনি পঞ্চম সংশোধনী এর ডাক দেন। [৪৪]
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি, ফ্লেচার আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর , কুরিয়ার-জার্নাল জরিপে দেখা যায়, যৌন কেলেঙ্কারী চলাকালীন তার প্রশাসনের রেটিং ছিল মাত্র ৩৮%। এটি ছিল ফ্লেচারের পূর্বসূরি পল ই প্যাটনের অনুমোদিত সর্বনিম্ন রেটিং। [৪৫] ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৫ এ, ফ্লেচার যে নয়জন কর্মচারীকে দুই সপ্তাহ আগে ক্ষমা করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে ৪ জন কে বরখাস্ত করেন। [৪৬] কেন্টাকি অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টেট এমপ্লয়িজ ফ্লেচারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং গভর্নর সঠিক কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করে। [৪৬] তবে ডেমোক্র্যাটিক স্টেট সিনেটর ও প্রাক্তন গভর্নর জুলিয়ান ক্যারল আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার সময় ফ্লেচার এর অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত না করার ব্যাপারটি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। [৪৬] প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা আইন ভংগে ব্রুকের ভূমিকা থাকার কারণে ফ্লেচার রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ড্যারেল ব্রোক জুনিয়র কে বরখাস্ত করার আহ্বান জানান। [৪৬] স্টেট রিপাবলিকান এক্সিকিউটিভ কমিটি ১৭ই সেপ্টেম্বর বৈঠক করে, তবে ড্যারেল ব্রোক জুনিয়র কে বরখাস্ত করার ব্যাপারে ফ্লেচারের আহ্বানে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। [৪৭]
ফ্লেচার সাধারণ ক্ষমা ইস্যু করার পরে আরও পাঁচটি অভিযোগ জারি করে গ্র্যান্ড জুরি এই তদন্ত অব্যাহত রাখে। [৪৮] দুটি ফ্লেচারের সদস্যকর্মীদের বিরুদ্ধে এবং অন্য দুটি ফ্লেচারের অবৈতনিক উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছিল। [৪৮] পঞ্চমটি এক হুইসেল ব্লোয়ার (যে ব্যক্তি প্রশাসনিক গোপন তথ্যফাঁস বা এই সংক্রান্ত দুর্নীতিরসাথে জড়িত) এর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল। [৪৮] ফ্লেচার ক্ষমা ইস্যু করার পর কেবল নিগবার্টের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। [৪৮] ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৫-এ, সাধারণ ক্ষমার আগে ফ্র্যাঙ্কলিন সার্কিট কোর্টের বিচারক উইলিয়াম গ্রাহামকে বলেন গ্র্যান্ড জুরিকে এই আদেশ দেওয়ার জন্য যে; জুরির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যেন কেবল অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [৪৮] ১৬ নভেম্বর গ্রাহাম রায় দেন যে গ্র্যান্ড জুরি অভিযোগ চালিয়ে যেতে পারে, তবে একটি পৃথক রায়ে ফ্লেচারের কর্মচারী ও অবৈতনিক উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলি ক্ষমা করে তা বাতিল করে দেয়। [৪৮] গ্রাহাম, নাইবার্টের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগের বিরুদ্ধে কোন রায় দেননি। [৪৮] কেন্টাকি আপিল আদালত ১৬ই ডিসেম্বর, গ্রাহামের রায়কে নিশ্চিত করে। [৪৯] এই রায় দেয়ার পরপরই ফ্লেচার এই রায়ে কেনটাকি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। [৪৯]
ফেব্রুয়ারি ১২,২০০৬ এ, আইনসভার সাধারণ অধিবেশন শুরুর কিছু পরে, ফ্লেচার পেটে ব্যথা জনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হন। [৫০] লেক্সিংটনের সেন্ট জোসেফ ইস্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার সাধারণ পিত্ত নালীতে একটি পিত্তথলির পাথরের সন্ধান পেয়েছিলেন এবং তার স্ফীত অগ্ন্যাশয় এবং পিত্তথলি রোগ আছে বলেও শনাক্ত করেছিলেন। [৫০] পিত্তথলি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পরে, ফ্লেচার এর রক্তে সংক্রমণ ঘটে, এটি তার সুস্থতার গতিকে কিছুটা মন্থর করে দেয়। তাকে মার্চের ১ তারিখ, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। [৫০] কয়েক দিন পরে, তিনি আবার শরীর রক্তজমাট বাধা জনিত সমস্যা নিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন। এইবার, হাসপাতালে তাকে আরও পাঁচ দিন থাকতে হয়। [৫১] ফ্লেচার কর্মীরা জানান, অধিবেশন চলাকালীন আইন পাস করার ব্যাপারে তার অনুপস্থিতি কোন বিরূপ প্রভাব ফেলেনি। [৫২] কর্ম আইন এবং রাষ্ট্রের ঘণ্টা চুক্তিতে মজুরি আইন বাতিল - ফ্লেচার দুটোরই পক্ষে ছিলেন। - অধিবেশনের প্রথম দিকে পাস না হলেও,পরবর্তীতে দুই দলই একমত হয়ে এই আইন দুটি পাস করে। [৫২] অধিবেশনটি পাস হওয়া বিলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাধ্যতামূলক সিট বেল্ট আইন, আরেকটি আইন ছিল ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সকল যানবাহন পরিচালনা করার সময় হেলমেট পড়তে হবে এবং আইন সভা দশ প্রত্যাদেশ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অনুসারে যুক্ত করার অনুমতি দেয়। [৫৩]
অ্যাসেম্বলি দ্বিবার্ষিক বাজেট পাস করেছে, তবে ফ্লেচারের কোন ভেটো কিংবা অন্যান্য আইন সংশোধনে এই অধিবেশনে পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয় নি। [৫৪] "মাত্রাতিরিক্ত ঋণ" এড়ানোর প্রয়াসে, ফ্লেচার তার লাইন-আইটেম ভেটো ব্যবহার করে বিধানসভা কর্তৃক পাসকৃত বাজেট থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত $৩৭০ মিলিয়ন ডলার ছাঁটাই করেন। [৫৪] তার ধারণা ছিল এভাবে তিনি $৯৩৮ কমিয়ে আনতে পারবেন। [৫৪] কিন্তু ফ্লেচার ইউনিভার্সিটি অফ কম্বারল্যান্ডসের একটি ফার্মাসি স্কুল তৈরির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দকৃত প্রকল্পে ভেটো দেননি । [৫৪] এলজিবিটি অধিকার সমর্থনকারীরা চাইছিল ফ্লেচার এই প্রকল্পে ভেটো দিন। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারী ব্যাপটিস্ট স্কুল), এক ছাত্রকে প্রকাশ্য সমকামী হওয়ার জন্য বহিষ্কার করেছিল। [৫৫]
এই অধিবেশনে ফ্লেচারের চাওয়া যে সমস্যার সমাধান হয়নি তা হলো ব্যবসার উপর অনাকাঙ্ক্ষিত কর বৃদ্ধি যা কর সংশোধন আইন ,২০০৫ এর একটা ফলাফল। তিনি একটি বিশেষ আইন সভা অধিবেশনের আহ্বান করেন যাতে পরিকল্পনাটি সংশোধন করা হয়। সেই সাথে, হেন্ডারসন এ ফিউচার জেন বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর ছাড়ের প্রস্তাব দেন। রিপাবলিকান সিনেটের প্রেসিডেন্ট ডেভিড এল. উইলিয়ামস ফ্লেচারকে অন্যান্য ব্যবসায়ের জন্যও ট্যাক্স ছাড় দেয়ার জন্য বলেন, কিন্তু ফ্লেচার এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন আইনি এজেন্ডা হিসেবে রাখার উপর জোর দেন। অধিবেশন পাঁচ দিন স্থায়ী হয় এবং দুই দলের সর্বসম্মতিক্রমে কর সংস্কার পরিকল্পনা সংশোধন করা হয় । ফ্লেচার আইনসভার দক্ষতার প্রশংসা করেন। [৫৬]
কেন্টাকি সুপ্রিম কোর্ট যখন ফ্লেচারের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় যে গ্র্যান্ড জুরি অভিযুক্তদের(যাদের ফ্লেচার সাধারণ ক্ষমা করেছিলেন) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকে। আদালতের সাত বিচারপতির মধ্যে দুজন স্বার্থবিরোধের কারণ উল্লেখ করে মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। [৫৭] কেন্টাকি সংবিধানে বলা হয়েছে যে, আদালতে একাধিক পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে, গভর্নর তাদের পরিবর্তে বিশেষ বিচারপতি নিয়োগ করবেন। [৫৭] তদনুসারে, ফ্লেচার দুজন বিশেষ বিচারপতিকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করেন, কিন্তু তাদের মধ্যে একজন সার্কিট জজ জেফ্রি বার্ডেট এই দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করেন। কারণ, তিনি ২০০৩-এর নির্বাচনী প্রচারণায় ফ্লেচারের পক্ষ সমর্থন করে কাজ করেছিলেন। [৫৭] ফ্লেচার পরবর্তীতে বার্ডেট এর পরিবর্তে সাবেক ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ব্রিরেটন জোনস কে মনোনীত করেন। [৫৭] স্টাম্বো এই তৃতীয় মনোনয়ন এর বিরোধিতা করেন এবং চ্যালেঞ্জ করেন যে জজ জেফ্রি বার্ডেট প্রত্যাখ্যান করায় আদালতে কেবল একটি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে এবং ছয় বিচারপতি দিয়ে এই মামলা চলতেই পারে। [৫৮] কেন্টাকি সুপ্রীম কোর্ট স্টাম্বোর অভিযোগ এর সাথে একমত হয়। [৫৮] ১৮ ই মে, ২০০৬ এ ৪-২ রায় অনুসারে, কেন্টাকি সুপ্রিম কোর্ট ফ্লেচারের সাধারণ ক্ষমাপ্রাপ্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড জুরিটিকে আর কোন আপত্তি জারি করতে নিষেধ করে দেয়, এবং আপিল নাকচ করে দেয়। [৫৯] সুপ্রিম কোর্ট, গ্র্যান্ড জুরি তার তদন্তের সিদ্ধান্তে অনভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম দিতে পারবে কি না এ নিয়ে কিছু বলে না। [৫৯] আপিল আদালতেও পরবর্তী সিদ্ধান্তে দেখা গেছে যে অনভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রাখা যাবে না। [৬০]
সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে গ্র্যান্ড জুরি ফ্লেচারের বিরুদ্ধে তিনটি অপকর্মের - ষড়যন্ত্র, প্রশাসনিক অসদাচরণ এবং রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। [৬১] ফ্লেচার এই সময় ফ্লোরিডায় ছুটিতে ছিলেন। তার অ্যাটর্নি তার পক্ষে ৯ ই জুন, তিনটি অভিযোগের জন্য "দোষী নয়" আবেদন করেছিলেন। [৬১] ১১ ই আগস্ট, ২০০৬ এ, বিশেষ বিচারক ডেভিড ই. মেলচার রায় দেন যে ফ্লেচার গভর্নর হিসাবে তার সরকারি দায়িত্ব পালন করার সময় তার কর্মচারীরা আইন লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই তিনি কার্যনির্বাহী হিসেবে দায়বদ্ধ এবং তিনি পদ ছাড়ার আগ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। [৬২] মেলচার এও বলেন তারা যে উভয় পক্ষই একসাথে বসে কোন সমঝোতায় পৌঁছতে পারে কি না। [৬৩] ২৪ শে আগস্ট, ফ্লেচার এবং স্টাম্বো এই জাতীয় চুক্তির ঘোষণা করেন। [৬৩] বন্দোবস্তের অধীনে, ফ্লেচার স্বীকার করেন যে প্রমাণগুলি "তার প্রশাসন কর্তৃক অন্যায় কাজকে দৃঢ় নির্দেশ করে। তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি। [৬৩] ফ্লেচার এও বলেন যে স্টাম্বোর মামলা তার সাংবিধানিক দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাযথ প্রয়োগ ছিল "এবং নিশ্চিত করবেন যে মেধা ব্যবস্থার অপব্যবহারের অবসান হবে। [৬৩] ফ্লেচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করার পাশাপাশি স্টাম্বো স্বীকার করেছিলেন যে ফ্লেচারের প্রশাসনের প্রতি তাঁর অভিযোগ "বিদ্বেষহীন" ছিল। [৬৩] তিনি দাবি করেন ফ্লেচার কর্তৃক নিযুক্ত রাজ্য কর্মকর্তা বোর্ডের চার সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে এবং [৬৩] স্টাম্বোর দেয়া তালিকা থেকে ফ্লেচারকে নতুন কর্মকর্তা মনোনীত করবেন। [৬৩]
গ্র্যান্ড জুরি ২০০৬ সালের অক্টোবরে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করে এবং একজন বিচারক ১৬ই নভেম্বর এটি প্রকাশের নির্দেশ দেন। রিপোর্টে ফ্লেচারের প্রশাসনের পদক্ষেপকে "যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগের " গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে "এই তদন্ত এই বলে যে, এটি শুধু কয়েক জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ফ্লেচারের ক্ষমা করে দেয়া এবং তাঁর হস্তক্ষেপ এই মামলার রায় এবংতদন্ত কে বিলম্বিত এবং জটিল করেছে। "
ফ্লেচার মন্তব্য করেন যে প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগগুলি স্টাম্বোর সাথে তার মীমাংসার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এবং তাদের চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ফ্লেচারের প্রশাসন "স্বার্থ/বিদ্বেষ ছাড়াই" কাজ করেছে। [৬৪]
২০০৫ এ ফ্লেচার পুনর্নির্বাচনের জন্য দাড়ান। [৬৫] ২০০৬ সালে গ্র্যান্ড জুরি ফ্লেচারকে দোষী সাব্যস্ত করলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর পেন্স ঘোষণা দেন, তিনি এই পুনর্নির্বাচনে ফ্লেচারের সহযোদ্ধা হতে চান না। [৬১] ফ্লেচার পেন্সের তাৎক্ষনিক পদত্যাগ চেয়েছিলেন। কিন্তু পেন্স তা করেন নি, তবে তিনি বিচার বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৬১] ফ্লেচার তার এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি (নির্বাহী সচিব), রবি রুডলফকে তার নতুন সহযোদ্ধা হিসেবে বেছে নেন। [৬১]
যদিও ২০০৬ সালের শেষের দিকে স্টাম্বোর সাথে তদন্ত শেষ করা প্রসঙ্গে চুক্তি হয়, তবুও এই কেলেঙ্কারী তার পুনর্নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তিনি এই নির্বাচনে দুজন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হন।- তৃতীয় জেলা সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যানি নর্থআপ এবং পাডুকা শহরের বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী বিলি হার্পার । [৬৬] কেন্টাকি রিপাবলিকান পার্টির নেতা সিনেটর মিচ ম্যাককনেল প্রাথমিক নির্বাচনে অনুমোদন দিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে নর্থআপ তাদের জন্য শক্তিশালী প্রতিপক্ষ"। [৬৬] । নর্থআপ ফ্লেচার প্রশাসনে মেধা আইন কেলেংকারী নিয়ে জোর প্রচারণা চালান এবং দাবী করেন ফ্লেচার পুনর্নির্বাচনের অযোগ্য [৬৭] জিম বনিং, কেন্টাকি-র অন্যান্য রিপাবলিকান সিনেটর এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর পেন্স নর্থআপ কে সমর্থন করেন। [৬৮][৬৯] প্রাথমিকভাবে, ফ্লেচার ৫০% এর বেশি ভোট পান এবং দলের মনোনয়ন পেয়ে যান। [৭০] তার প্রতিদ্বন্দ্বী নর্থআপ এর তেমন পরিচিতি না থাকার কারণে তিনি কংগ্রেসে যে এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেই লুইসভিল শহরের বাইরে অল্প কিছু এলাকার সমর্থন পান। [৭০] তিনি [৭০] ৩৬.৫% ভোট পান এবং বাকি ১৩.৪% ভোট পান বিলি হার্পার। [৭১] ডেমোক্র্যাটস পার্টি ফ্লেচারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্টিভ বিশেয়ার কে মনোনীত করে। [৭০]
প্রাথমিক প্রচারের মাঝামাঝি সময়ে, ২০০৭ সালের সাধারণ পরিষদ আহ্বান করা হয়। অধিবেশনে অনুমোদিত আইন গুলো ছিল ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় $৭.২৫, রাষ্ট্রীয় প্রধান মহাসড়কগুলোতে গতিসীমা ৭০ মা/ঘ (১১০ কিমি/ঘ) বৃদ্ধি, এবং সামাজিক এবং কয়লাখনিতে যারা কাজ করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। [৭২] চাকরি থেকে অবসরে যাওয়াকে আরো ফলপ্রসূ করার আইনটি আলোচনা সাপেক্ষে স্থগিত করা হয়।[৭২] ফ্লেচার বলেছিলেন যে তিনি সে বছরের শেষ দিকে বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। [৭৩] ২০০৭ এর জুলাই তে, ফ্লেচার অধিবেশন ডাকেন এবং এর এজেন্ডায় ৬৭ টি নতুন অন্তর্ভুক্তি যোগ করেন।[৭৪] স্টেট হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ এ থাকা ডেমোক্র্যাটরা বলেন, এই সংযুক্তি গুলোর একটিও বিশেষ অধিবেশন ডাকার মত জরুরি কিছু ছিল না।[৭৪] তারা দাবি করে, এটি ছিল বিশেয়ারের বিপক্ষে ফ্লেচারের নির্বাচনীয় জনপ্রিয়তা বাড়ানোর একটি কৌশল।[৭৪] হাউস ফ্লেচারের কোন দাবি পাস না করে মাত্র ৯০ মিনিট পরেই মুলতুবী ঘোষণা দেয়। ফ্লেচার ডেমোক্র্যাটদের এই অভিযোগ অস্কবীকার করেন এবং জানান পিবডি এনার্জি দ্বারা নির্মিত প্রস্তাবিত কয়লা গ্যাসীফিকেশন প্ল্যান্ট চালিয়ে যাওয়ার জন্য অবিলম্বে একটি ট্যাক্স ইনসেনটিভ প্রোগ্রাম দরকার ছিল।[৭৪] আইন প্রনয়নকারীদের সাথে আলোচনার পরে, ফ্লেচার আগস্টে আরেকটি অধিবেশন দাকেন; যে অধিবেশন কেবল ট্যাক্স ইনসেনটিভ প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত করে যা বিধানসভা পাস করে। [৭৫]
সাধারণ নির্বাচনীয় প্রচারের সময়, ফ্লেচার মেরিট সিস্টেমের তদন্ত (প্রধান ইস্যু) বাদ দিয়ে ক্যাসিনো জুয়ার বিস্তার রোধকে বেশি গুরুত্ব দেন। [৭৬] বিশেয়ার রাজ্যে ক্যাসিনো জুয়া খেলার বিস্তারের অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক গণভোটের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু ফ্লেচারের বক্তব্য ছিল, জুয়া খেলার বিস্তার সমাজে অপরাধ ও অবক্ষয় বাড়াবে। [৭৬] জুয়ার ইস্যুটি তার জনপ্রিয়তা কমিয়ে দেয় এবং বিশেয়ার ৬১৯,৬৮৬ ভোট পেয়ে ফ্লেচারকে পরাজিত করেন। ফ্লেচার পান ৪৩৫,৮৯৫ টি ভোট। [৭৬]
নির্বাচনের পরে, ফ্লেচার অ্যালটন হেলথ কেয়ার নামে একটি পরামর্শ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের তাদের অনুশীলনে প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগে সহায়তা করে। [৭৭] সিনসিনাটি, ওহাইও,তে অবস্থিত এই কোম্পানীতে সিইও হিসেবে তিনি ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। [৭৭]
United States House of Representatives | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী Scotty Baesler |
Member of the U.S. House of Representatives from Kentucky's 6th congressional district 1999–2003 |
উত্তরসূরী Ben Chandler |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
পূর্বসূরী Peppy Martin |
Republican nominee for Governor of Kentucky 2003, 2007 |
উত্তরসূরী David Williams |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী Paul Patton |
Governor of Kentucky 2003–2007 |
উত্তরসূরী Steve Beshear |