৯০–১০০% | |
৭০–৮০% | কাজাখস্তান |
৫০–৭০% | |
৩০–৫০% | উত্তর মেসেডোনিয়া |
১০–২০% | |
৫–১০% | |
৪–৫% | |
২–৪% | |
১–২% | |
< ১% |
দেশ অনুযায়ী ইসলাম |
---|
![]() |
![]() |
ইসলাম আর্মেনিয়ায় একটি সংখ্যালঘু ধর্ম। ২০২১ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের হিসাব মতে আর্মেনিয়ায় মোট ৩,০৩৮ জন মুসলমান বসবাস করেন, যা মোট আর্মেনীয় জনসংখ্যার ০.০১%।[২][৩] আর্মেনিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। ব্লু মসজিদ নামে পরিচিত আর্মেনিয়ার একমাত্র মসজিদটি দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানে অবস্থিত। বলা হয়, পূর্বের মুসলিম যুগের মসজিদগুলি পরবর্তীতে আর্মেনীয় সরকার বন্ধ করে দেয়।[৪]
আর্মেনিয়ার সাথে মুসলিম ইতিহাসের দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। আর্মেনিয়া দীর্ঘদিন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯১৮ সালে উসমামীয় সাম্রাজ্য থেকে আর্মেনিয়া স্বাধীন হলে সেখানে বসবাসরত অধিকাংশ মুসলমান বিভিন্ন মুসলিম দেশে পালিয়ে চলে আসে। নউসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার পর আর্মেনিয়া মাত্র দুই বছর একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থায়ী হয়। এরপর ১৯২০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর্মেনিয়া দখল করে নেয়। সোভিয়েত আমলে ব্যাপক ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে অবশিষ্ট মুসলমানরাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।[৫]
সপ্তম শতাব্দীতে প্রথম ইসলাম আর্মেনীয় মালভূমিতে প্রবেশ করতে শুরু করে। আরবদের হাতে আর্মেনিয়া বিজিত হওয়ার পর প্রথমে আরবরা এবং পরে কুর্দি উপজাতিরা সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করে এবং আর্মেনিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।[৬] একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে সেলজুক ও তুর্কিদের আর্মেনিয়া অভিযান শেষ পর্যন্ত আরব ও কুর্দিদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। মাঝে ইরানী সফবীয় রাজবংশ, আফশারীয় রাজবংশ, জান্দ রাজবংশ ও কাজার রাজবংশ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে আর্মেনিয়া শিয়া বিশ্বের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। তবে তখনো অপেক্ষাকৃত একটি ছোট গোষ্ঠী স্বাধীন খ্রিস্টান পরিচয় বজায় রেখেছিল।[৬]
ফারকাদ সাবাখি (মৃ.৭২৯) নামে বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরীর একজন সহচর ছিলেন প্রথম আর্মেনীয় মুসলিম ও ধর্মপ্রচারক। তিনি তাবিয়ীনদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন। ফারকাদ সাবাখি আগে একজন খ্রিস্টান ছিলেন। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সাবাখি তার তপস্বী জীবন এবং জুডিও-খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থের জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন।
৬৩৯ সালে আব্দুর রহমান ইবনে রবিয়ার নেতৃত্বে ১৮,০০০ মুসলিম আরব তারন জেলা ও ভ্যান হৃদের অঞ্চল দিয়ে আর্মেনিয়ায় আক্রমণ করে।[৭] ] প্রিন্স থিওডোরস আরশতুনি আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন।এরপর ৬৫২ সালে আর্মেনীয়দের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়ে একটি শান্তি চুক্তি করা হয়। প্রিন্স থিওডোরস দামেস্ক ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিনি মুসলিম শাসক কর্তৃক আর্মেনিয়া, জর্জিয়া এবং ককেশীয় আলবেনিয়ার শাসক হিসাবে স্বীকৃত হন। [৮]
সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে বিশেষ কারণে আর্মেনিয়া এবং খ্রিস্টান বিশ্বাসের প্রতি খিলাফতের নীতি কঠোর হয়। তখন একজন গভর্নরের নামে খলিফার বিশেষ প্রতিনিধিদের আর্মেনিয়া শাসন করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। গভর্নররা ডিভিন শহরকে তাদের বাসস্থান বানান। অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে হেজাজ এবং উর্বর চন্দ্রকলা থেকে আরব উপজাতিরা দেশান্তরিত হতে শুরু করে এবং প্রধান আর্মেনীয় নগরকেন্দ্রে বসতি স্থাপন করে। যেমন: ডিভিন, দিয়ারবেকির, মালাজগির্দ ও অ্যাপাহুনিক। যদিও আর্মেনিয়া মুসলিম সাম্রাজের অংশ ছিল, কিন্তু তখনো অধিকাংশ আর্মেনীয় খ্রিস্টান ধর্মে অটল ছিল।[৯]
মধ্যযুগে আর্মেনিয়ায় মুসলিম উপাদান ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১০৭১ সালে মালাগির্দের যুদ্ধেবাইজেন্টাইনদের পরাজয়ের পর মধ্য এশিয়া ও উত্তর ইরান থেকে তুর্কি যাযাবরদের ঢেউ প্রবেশ করতে শুরু করে এবং তারা আর্মেনিয়া এবং আনাতোলিয়া জুড়ে বসতি স্থাপন করে।[১০][১১] সেলজুক আক্রমণের পর যখন পশ্চিম আর্মেনিয়া মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিভক্ত যায়, তখনো বেশিরভাগ জাতিগত আর্মেনীয় খ্রিস্টান ছিলেন। তবে অনেক আর্মেনীয় ইসলাম গ্রহণ করে এবং বেইলিক সমাজের প্রভাবশালী সদস্য হয়ে ওঠে। তখন অনেক আর্মেনীয় নাখারারা এরজিনকান, তাইক, সাসুন ও ভ্যানের মুসলিম আমিরদের অধীনে আর্মেনীয় সমাজের স্বায়ত্তশাসিত নেতা হন। মুসলিম আমিররা আর্মেনীয়দের সাথে আন্তঃবিবাহ করেন। এজদিন নামে ভ্যানের একজন আমির ছিলেন, যিনি আর্মেনীয়দের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল ছিলেন।[১২]
উসমানীয় সাম্রাজ্য ইসলামী আইন অনুযায়ী শাসন করত। তাই আহলে কিতাবকে ( খ্রিস্টান ও ইহুদিদের ) তাদের জিম্মি হিসেবে মর্যাদা পূরণের জন্য নিরাপত্তা কর দিতে হত এবং এর বিনিময়ে ধর্মীয় স্বায়ত্তশাসন ও যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হত।[১৩]
উসমানীয় সাম্রাজের সাথে আর্মেনীয়দের সম্পর্ক ইতিহাসে খুবই ঘোলাটেপূর্ণ দেখা যায়। উসমানীয়রা শরিয়াপন্থি এবং আর্মেনীয়রা কঠোর খ্রিস্টান হওয়ার কারণে উভয়ের মাঝে কখনো স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় থাকেনি। আর্মেনীয়দের বিদ্রোহ তাদের ব্যাপারে উসমানীয়দের নীতিকে আরো কঠোর করে তুলে। উসমানীয় আমলে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের কারণে পশ্চিম আর্মেনিয়ায় অনেক আর্মেনীয় ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।[১৪] স্পর অঞ্চলে আর্মেনীয়দের বিদ্রোহের জেরে ১০০ টি আর্মেনীয় গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশিরভাগ জনসংখ্যা ইসলাম গ্রহণে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ করা হয়। [১৫] আর্মেনীয় ধর্মযাজক ইনচিচিয়ান দাবি করেন যে, অধিকাংশ আর্মেনীয়কে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন যে, এরজিনকানের কেমাহ অঞ্চলটি আর্মেনীয় ছিল এবং এর মুসলিম বাসিন্দারাও ছিল ইসলামি আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত। অনেক মুসলিম ঐতিহাসিক অবশ্য তার বক্তব্যকে একপাক্ষিক বলে অভিযোগ করে বলেন, অনেক আর্মেনীয় লেখক ও ঐতিহাসিক আর্মেনীয়দের খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে এমন মন্তব্য করেছেন।
ইরানি শিয়া সাফাভীয়রা ১৬ শতকের প্রথম দিকে শাহ ইসমাইল প্রথমের সময় থেকে আর্মেনিয়া এবং এর আশেপাশে কয়েকটি অঞ্চলে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। সাফাভীরা প্রায়শ এই অঞ্চল নিয়ে উসমানীয়দের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকত এবং বর্তমান আর্মেনিয়ার অঞ্চলগুলো সর্বদাই পারস্য অঞ্চলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। পরবর্তীতে ১৮২৮ সালে রাশিয়া-পারস্য যুদ্ধের সময় তারা এটিকে রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়। শাহ আব্বাসের সময় থেকে অনেক আর্মেনীয় বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। উসমানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় আব্বাস তার সাম্রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য একাই প্রায় ৩০০,০০০ আর্মেনীয়কে আর্মেনীয় উচ্চভূমি থেকে আধুনিক আর্মেনিয়ার ভূখণ্ডসহ ইরানের প্রাণকেন্দ্রে নির্বাসিত করেন।[১৬] এই অঞ্চলগুলিতে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণের জন্য এবং উসমামীয় তুর্কিদের বিরুদ্ধে সীমানা রক্ষার জন্য সে অঞ্চলে মুসলিম তুর্কোমান এবং কুর্দি জনসাধারণকে বসতি স্থাপনের আদেশ দিয়ে আর্মেনিয়া অঞ্চলটিকে মুসলিম অধ্যুষিত করে তোলেন। তার উত্তরসূরিরাও তুর্কোমান ও কুর্দিদের সাথে নির্বাসন ও প্রতিস্থাপনের কাজ চালিয়ে যান। যখন ইরানিদের আর্মেনিয়ার উপর তাদের শতাব্দীর দীর্ঘ আধিপত্য ছেড়ে দিতে হয়েছিল তখন বর্তমান আর্মেনিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা ছিল মুসলমান।
রুশ জারবাদী যুগের শেষের দিকে আর্মেনিয়া অঞ্চলে যথেষ্ট মুসলিম জনসংখ্যা ছিল। ১৮৯৭ সালে রুশ ইম্পেরিয়াল আদমশুমারিতে এরিভান গভর্নরেটের মোট জনসংখ্যা ৮২৯,৫৫৬ জনের মধ্যে ৩৬২,৫৬৫ জন মুসলিম জনসংখ্যা ছিল।[১৭] ৪১,৪১৭ জন তাতার তুর্কি, ২৭,০৭৫ জন আর্মেনীয় এবং ১৯,০৯৯ জন কুর্দি বাস করত।[১৭]
১৯১৮ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন হয়ে আর্মেনিয়া স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কিন্তু মাত্র দুই বছর পর ১৯২০ সালে সোভিয়েত সেনাবাহিনী আর্মেনিয়া দখল করে নেয়। স্বাধীন আর্মেনিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অঞ্চল আরারাত, কারস ও নাখিচেভানে একটি বৃহৎ আকারের মুসলিম বিদ্রোহের ফলে প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[১৮][১৯]
১৯২০ সালে আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হয়। কিছু ঐতিহাসিক প্রদেশ ১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সীমানার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং আর্মেনিয়ার অবশিষ্ট অঞ্চল আর্মেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ হয়ে ওঠে। আর্মেনিয়া যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল তখন স্বল্প সংখ্যক মুসলমানের বসবাস ছিল এবং তারা প্রধানত আজারি ও কুর্দি ছিল। তাদের অধিকাংশই ১৯৮৮ সালে প্রথম নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের পরে আর্মেনীয়দের চাপে চলে যায় এবং তাদের পরিবর্তে বহিরাগত ৫০০,০০০ জন আর্মেনীয় সেখানে স্থানান্তরিত হয়।[২০] তখন প্রায় ৭২৪,০০০ জন আজারি মুসলিম আজারবাইজানে চলে যেতে বাধ্য হয়।[২০]
১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমান আর্মেনিয়ায় বাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা ইরান এবং অন্যান্য দেশের অস্থায়ী বাসিন্দা। ২০০৯ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার অনুমান করে যে, আর্মেনিয়ায় 0.03% বা প্রায় ১,০০০ জন লোক মুসলিম।[২১] ২০১১ সালে পরিচালিত একটি জনশুমারি আর্মেনিয়ায় ৮১২ জন মুসলমানকে গণনা করেছে।[২২] সর্বশেষ ২০২১ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, আর্মেনিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ এবং সেখানে প্রায় ৩০৩৮ জন মুসলিম বাস করে।[২]
মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে ইসলামি যুগে ঐতিহাসিক আর্মেনিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ইসলামে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানরা তাদের গীর্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করেছেন বলে জানা যায়। তবে বর্তমান আর্মেনিয়ায় মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। একজন পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকের গবেষণা অনুসারে, উনিশ শতকে রাজধানী ইয়েরেভানে কমপক্ষে আটটি মসজিদ ছিল। তাদের মধ্যে কেবল ইয়ারেভানের ব্লু বা নীল মসজিদটিই অক্ষত আছে। সোভিয়েত আমলে ব্লু মসজিদ বহু বছর যাবত বন্ধ ছিল। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া স্বাধীনতা হওয়ার পর মসজিদটি পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়।[৪]
আরবি থেকে আর্মেনীয় ভাষায় অনূদিত কুরআনের প্রথম মুদ্রিত সংস্করণ ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯১২ সালে একটি ফরাসি সংস্করণ থেকেও একটি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। উভয়টি পশ্চিম আর্মেনীয় উপভাষায় ছিল। পরে ইয়েরেভানে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসের সহায়তায় পূর্ব আর্মেনীয় উপভাষায় কুরআনের একটি নতুন অনুবাদ করা হয় । এডওয়ার্ড হ্যাখভারডিয়ান তিন বছরে ফার্সি থেকে অনুবাদটি করেন। [২৩] একদল আরবি বিশেষজ্ঞ তাকে অনুবাদে সাহায্য করেছেন। কুরআনের ৩০টি পারার প্রতিটি তেহরান সেন্টার অফ কোরানিক স্টাডিজ দ্বারা পঠিত এবং অনুমোদিত হয়েছে। [২৪] ২০০৮ সালে অনূদিত কাজের ১,০০০ কপি প্রকাশ করা হয়েছিল।