আর্যদেব (সংস্কৃত: आर्यदेव) (তৃতীয় শতাব্দী) (আইএএসটি: Āryadeva; তিব্বতি: འཕགས་པ་ལྷ་, ওয়াইলি: 'phags pa lha, চীনা: 提婆 菩薩 Tipo pusa অর্থ দেব বোধিসত্ত্ব) ছিলেন বৌদ্ধ পণ্ডিত নাগার্জুনের শিষ্য এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ মহাযান মধ্যমক বৌদ্ধ গ্রন্থের রচয়িতা। জেন বৌদ্ধধর্মে তিনি কানদেব এবং শ্রীলঙ্কায় তিনি বোধিসত্ত্বদেব নামে পরিচিত।
আর্যদেব শ্রীলঙ্কার এক রাজপুত্র ছিলেন। অবশ্য তিনি দক্ষিণ ভারতের কোন ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেও অনেকে মনে করেন।[১] তিনি অশ্বঘোষ এবং নাগার্জুনের মতো একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন বলেও মত রয়েছে।
আর্যদেবের অধিকাংশ রচনা মূল সংস্কৃত থেকে বিলুপ্ত হলেও তিব্বতী এবং চীনা ভাষায় এগুলির অনুবাদের অস্তিত্ব এখনো রয়ে গেছে। তিনি ষোলটি অধ্যায় সংবলিত চতুশতকশাস্ত্রনামকারিকা নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থের প্রতিটি অধ্যায়ে পঁচিশটি করে অনুচ্ছেদ বর্তমান। এছাড়াও তিনি চর্যামেলাপাকপ্রদীপ নামক গুরুত্বপূর্ণ বজ্রযান বৌদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেন বলে মনে করা হয়। আর্যদেব এবং নাগার্জুনের মধ্যে কে অক্ষরশতক নামক গ্রন্থটির রচয়িতা তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। ঠিক একই ভাবে, আর্যদেব এবং দিগণাগের মধ্যে কে হস্তবালপ্রকরণ নামক গ্রন্থটির রচয়িতা, সেই নিয়েও দ্বিমত রয়েছে।