جامعة القدس | |
ধরন | পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৭৭ |
অধ্যক্ষ | ইমাদ আবু কেশেক |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১,০০০ |
স্নাতক | ১৩,০০০ |
স্নাতকোত্তর | ২,০০০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ভাষা | আরবি, ইংরেজি |
ওয়েবসাইট | https://www.alquds.edu/ar/ |
![]() |
আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয় (আরবি: جامعة القدس) হল ফিলিস্তিনের কুদস শহরে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।[১] জেরুজালেম ছাড়াও আবুদিস, আল-বিরেহ ও হেবরনে এর ক্যাম্পাস রয়েছে। নিপীড়িত ও বঞ্চিত ফিলিস্তিনিদের জন্যে জেরুজালেমের উপকণ্ঠে উচ্চশিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ধারণা ১৯৫৭ সালের প্রথম দিকে পরিকল্পনা করা হয়। সে সময়ে ফিলিস্তিনিদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়েতে একটি ট্রাস্টিবোর্ড গঠিত হয়েছিল। বোর্ড একটি কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণ করে। কার্যনির্বাহী কমিটি পূর্ব জেরুজালেমের তৎকালীন মেয়র রুহি আল-খতিবকে কমিটির কাজে সহায়তা করা এবং নির্মাণ কাজ শুরু করার দায়িত্ব অর্পণ করে। ১৯৬৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[২]
১৯৬৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এর ক্যাম্পাসের বিল্ডিংগুলির একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন পরে সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং প্রথমদিকে এটি একটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তখন এটি বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি এতিম শিশুদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করত। এর আওতাভুক্ত কলেজগুলির মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্যারামেডিক্যাল সায়েন্সেস, কলা ও ধর্মীয় অধ্যয়নের কলেজ অন্তর্ভুক্ত আছে। শহরের মাকাসেদ হাসপাতালের সাথে যুক্ত এর স্কুল অফ মেডিসিন ১৯৯৩ সালে আল-কুদসের ব্যানারে সরাসরি প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ এবং এটিই প্রথম ফিলিস্তিনি মেডিকেল স্কুল। প্রকৃতপক্ষে আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি আবুদিসে শুরু হয়েছিল। আবু দিস গ্রামের লোকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে জমি দান করেছিল এবং বর্তমান সেখানে এর প্রধান ক্যাম্পাস অবস্থিত।[২]
আল কুদস একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ নুসিবেহ এবং এতে জেরুজালেমের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ ইকরেমা সাবরি, আদনান আল-হুসাইনি, সায়েব এরেকাতও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন হাতেম হুসেইনি; তার পরে সারি নুসিবেহ এবং বর্তমান অধ্যক্ষ হলেন ইমাদ আবু কিশেক। এটি জেরুজালেম, পশ্চিম তীরের পার্শ্ববর্তী শহর, গ্রাম ও শরণার্থী শিবিরগুলিতে উচ্চশিক্ষা ও সম্প্রদায় পরিষেবা প্রদান করে। এর চারটি ক্যাম্পাসে মোট ১০টি একাডেমিক অনুষদ রয়েছে: কলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, জনস্বাস্থ্য, আইন, কোরআন ও ইসলামি শিক্ষা, স্বাস্থ্য পেশা, প্রকৌশল ও আইনশাস্ত্র। এই অনুষদগুলিতে জেরুজালেম, বেথলেহেম, হেব্রন, জেনিন, জেরিকো, নাবলুস, রামাল্লা, তুলকারেম ও কালকিলিয়া জেলার ৬,০০০ এরও বেশি ছাত্র লেখাপড়া করে। এটির জেরুজালেমে দুটি ক্যাম্পাস এবং মার্কিন কলোনি ও বাইত হানিনায় প্রশাসনিক অফিস রয়েছে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর থেকে এর অনেক ক্লাস আবু দিসে স্থানান্তরিত হয়। অন্যান্য ক্যাম্পাস রামাল্লা ও তুবাসের পাশে আল-বিরহে কাজ করে।[২]
১৯৯৮ সালে ব্র্যান্ডেস বিশ্ববিদ্যালয় ও আল কুদস বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরের সাথে শিক্ষা ও গবেষণায় সাহায্যের একটি অংশীদারিত্বে উপনীত হয়। ২০০৩ সালে ব্র্যান্ডেসের জেহুদা রেইনহার্জ ও আল কুদসের সারি নুসিবেহ 'ব্র্যান্ডিস-আল-কুদস পার্টনারশিপের' আনুষ্ঠানিকতা করেন। সহযোগিতা ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এই অংশীদারিত্বের একটি মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ব্র্যান্ডেস ও আলকুদসের ছাত্ররা ইস্তাম্বুলে ব্র্যান্ডেস-আল কুদস সামার ইনস্টিটিউটের অংশ হিসাবে সাহিত্য, রাজনৈতিক নথি ও ভ্রমণবিষয়ক জার্নালগুলির মাধ্যমে একটি 'ভালো সমাজের' তাত্ত্বিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিলিত হয়।
২০০৯ সালের মে মাসে চারজন স্নাতক ও আটজন অনুষদ সদস্যের একটি ব্র্যান্ডেস প্রতিনিধি দল অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ করতে আল কুদস বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। আল কুদসে একটি বিক্ষোভ ও আল কুদস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচিত প্রতিক্রিয়ার পর ২০১৩ সালে সম্পর্কটি শেষ হয়ে যায়।[৩]