الدعسة | |
অবস্থান | পশ্চিম কাতার |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৫°২২′১০″ উত্তর ৫০°৪৮′৩২″ পূর্ব / ২৫.৩৬৯৪৪° উত্তর ৫০.৮০৮৮৯° পূর্ব |
ধরন | জনবসতি |
ইতিহাস | |
সময়কাল | নব্যপ্রস্তরযুগ |
সংস্কৃতি | উবাইদ |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | ১৯৬১ ১৯৭৮ |
প্রত্নতত্ত্ববিদ | হোলগার ক্যাপেল বেট্রিস ডে কার্ডি |
আল দা'আসা (আরবি: دعسة) কাতারের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি কাতারে উবাইদ যুগের সবচেয়ে বড় নিদর্শন। ১৯৬১ সালে একদল ডেনীয় এই প্রত্নস্থলটি আবিষ্কার করেন।[১]
ধারণা করা হয় যে, একদল মৎস্য শিকারীরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় স্থানটিতে বসবাস করত যারা নিয়মিত পরিদর্শন করত।[২] ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত চাঁছনি, ছেদনী, ব্লেড এবং তীরের ফলা প্রভৃতি ধারালো সরঞ্জাম এবং মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত প্রায় ষাটটি চুল্লীই এর প্রমাণ। এছাড়াও, আগুনের গর্তগুলোতে উবাইদ যুগের বেশ কিছু রঙিন মৃৎপাত্রের টুকরো এবং একটি কার্নেলিয়ানের গুটি পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হয় যে, বিদেশের সাথেও তাদের যোগাযোগ ছিল।[৩]
১৯০০ এর দশকের মাঝামাঝিতে জাবালে দুখানের উত্তরে তেল আবিষ্কৃত হলে দুখান তেল ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য অবকাঠামো ও পরিষেবা সরবরাহ করতে শিল্প শহর দুখান তৈরি করা হয়েছিল। দুখানে নিযুক্ত তেল শ্রমিকদের জন্য আল দা'আসায় একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৪]
কাতারের পৌরসভা ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আরবি ভাষায় দা'আসা শব্দটি ফুটপাথ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। স্থানটিতে প্রাচীন পায়ে হাঁটার পথ পাওয়া গিয়েছে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে আল দা'আসা।[৫]
১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত কাতারের বিভিন্ন স্থানে ডেনিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হোলার ক্যাপেলের নেতৃত্বে খনন কার্য পরিচালনা করা হয়। এই স্থানগুলোর মধ্যে আল দা'আসা ছিল সবচেয়ে বড়। এটি ১৯৬১ সালে আবিষ্কৃত হয়। বিস্তারিত গবেষণার জন্য সেখান থেকে বেশ কয়েকটি পোড়া মাটির দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই একটি ব্রিটিশ খননকারী দল স্থানটির সন্ধান পায়। তারা পোড়ামাটির জিনিসগুলোকে উবাইদ যুগে তৈরি বলে চিহ্নিত করেন।[৬]
হোলার ক্যাপেলের নেতৃত্বে ১৯৬১ সালের খননকার্যের পর ১৯৭৮ সালে বেট্রিস ডি কার্ডির নেতৃত্বে একটি দল প্রত্নস্থলটিতে আরেকবার খননকার্য পরিচালনা করে।[৬]
প্রথম খননকালে স্থানটিতে কোয়ার্ন পাথরের টুকরো, চুল্লী এবং উবাইদ মৃৎশিল্পের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও সেখানে একটি কার্নেলিয়ানের গুটি এবং লাল রঙের অ-উবাইদ মাটির পাত্রের তিনটি টুকরা পাওয়া যায়। মৃৎপাত্রটি আরব উপকূলে নির্মিত বলে মনে করা হয়।[৩][৭]
আল দা'আসায় উর অঞ্চলের জেলে ও বণিকগণ বসবাস করতেন বলে মনে করা হয়। সেখান থেকে আবিষ্কৃত পাথরের হাতিয়ারগুলো উবাইদ সময়কালে আরবের অন্যত্র ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোর অনুরূপ। কিন্তু দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ায় ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোর সাথে এর খুব একটা মিল নেই।[৮]
খননকারীরা সেখানে বেশ কিছু পোস্টহোল লক্ষ্য করেছিলেন, যা চুল্লীর কাজে ব্যবহৃত হত।[৯] এই চুল্লীর সংখ্যা দেখে অনুমান করা হয় যে, পেশাগত সময়কালে এখানে গণ ক্রিয়াকলাপ পরিচালনার জন্য বেশ একটি বড় জনসমাগম হত, যাতে প্রতিটি পরিবার আলাদা আলাদা অগ্নিকুণ্ডে রান্না করত। আবার এমনও হতে পারে যে, প্রচুর পরিমাণে মাছ শুকানো ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এই চুল্লীগুলো তৈরি করা হয়েছিল।[৩]
১৯৫৬ সালে দুখান শিল্প নগরীতে নিযুক্ত তেল শ্রমিকদের আবাসনের জন্য সেখানে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে সেখানে প্রায় ৭০টি পরিবার ছিল। তেল শিল্প ছাড়াও গ্রামটির কিছু বাসিন্দা মাছ ধরে সেগুলো দোহায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।[৪]
The stone-tools unearthed so far at al Da'asa and other Ubaid sites are identical with those of the Ubaid period in Arabia and bear no relationship with the tools of southern Mesopotamia; thus causing experts difficulty in explaining why merchants or fishermen from Ur, encamped at al Da'asa, would not have used and discarded some of their own stone-tools or weapons.