আল দেইরা হোটেল

আল দেইরা হোটেল
فندق الديرة غزة فلسطين
হোটেলের সাগরমুখী ছাদখোলা রেস্তোরাঁ
মানচিত্র
সাধারণ তথ্যাবলী
অবস্থানগাজা
ঠিকানাআল রাশাদ সড়ক
স্থানাঙ্ক৩১°৩১′৫৫″ উত্তর ৩৪°২৬′২৮″ পূর্ব / ৩১.৫৩১৯৪° উত্তর ৩৪.৪৪১১১° পূর্ব / 31.53194; 34.44111
উন্মুক্ত হয়েছে২০০০
নকশা ও নির্মাণ
স্থপতিরাশিদ আবদেল হামিদ
অন্যান্য তথ্য
কক্ষসংখ্যা২২
Website
www.aldeira.ps

আল দেইরা হোটেল ( আরবি: فندق الديرة غزة فلسطين ) ভূমধ্যসাগরের তীরে গাজার আল দেইরা সৈকতে অবস্থিত আবাসিক হোটেল। ২০০০ সালে নির্মিত ও চালু হওয়া হোটেলটিতে ২২টি অতিথিকক্ষ রয়েছে। হোটেলের উচ্চ গম্বুজযুক্ত ছাদ আছে। হোটেলটি নিয়মিত গাজার সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা বিদেশী সাংবাদিকরা ব্যবহার করে।[]

স্থাপত্য ও নির্মাণ

[সম্পাদনা]

একটি অভ্যন্তরীণ উঠানের চারপাশে নির্মিত এই বুটিক হোটেলের স্থাপত্যে একটি "অটোমান কমনীয়তা" রয়েছে।[] স্থাপত্যশৈলিতে আধুনিক নকশার প্রভাবের সাথে মরোক্কো ও আরবের ঐতিহ্যবাহি স্থাপত্যের মিশ্রণ আছে। এটি রোদে শুকনো গাঢ় বাদামী রঙের মাটির ইট দিয়ে নির্মিত। এর সাদা খিলান এবং গম্বুজযুক্ত ছাদ আছে। হোটেলের কক্ষগুলি হাতে তৈরি আসবাবপত্র দিয়ে সজ্জিত। রশিদ আবদেল হামিদ হোটেলটির স্থপতি। এটি আগে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর কর্মচারী খালেদ আবদেল শফি এবং স্থপতি রশিদ আবদেল হামিদের মালিকানাধীন ছিল। ২০১৫ সালে, নতুন ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব গ্রহণ করে।[]

২২টি অতিথিকক্ষ ছাড়াও হোটেলের নকশায় 'আল দেইরা' এপার্টমেন্ট, খোলা আকাশের নিচে সাগরমুখী রেস্তোরাঁ ও কফি পানের স্থান, সম্পূর্ণ সজ্জিত ব্যবসা কেন্দ্র, একটি সম্মেলন কক্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যের উল্লেখযোগ্য এবং কথাসাহিত্যে বিশেষায়িত বইয়ের দোকান অন্তর্গত আছে।[]

অভ্যর্থনা

[সম্পাদনা]

হোটেলটি টাইম ম্যাগাজিনে বেশ কিছু ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে,[] ব্রিটিশ সাংবাদিক অ্যালান জনস্টন [] এবং লোনলি প্ল্যানেট আল দেইরাকে "চিত্তাকর্ষকভাবে চটপটে, কেতাদুরস্থ, আড়ম্বরপূর্ণ এবং শক্তভাবে পরিচালিত" এবং "প্রশ্ন ছাড়াই (নগরীর) সেরা" হিসাবে বর্ণনা করেছে।[] ২০১০ সালে, জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত মিয়া ফারো এবং মিশরীয় অভিনেতা মাহমুদ কাবিল হোটেলটি পরিদর্শন করেছিলেন।[]

উল্লেখযোগ্য ঘটনা

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের ১৬ জুলাই আল দেইরা হোটেলের ঠিক বাইরে সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলার সময় ইসরায়েলি রকেটের আঘাতে চার শিশু নিহত হয়।[] হোটেলের কর্মীরা আহতদের রেস্তোরাঁয় নিয়ে আসেন। বেশ কয়েকজন বিদেশী সাংবাদিক হোটেলে অবস্থান করছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হন।[][][][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. McGirk, Tim (১ জুলাই ২০০৯)। "The Gaza Strip's Diamond in the Rough"Time। ১২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১০ 
  2. Lonely Planet Israel and the Palestinian Territories, Michael Kohn, Lonely Planet, 2007, p. 362.
  3. "Given time, I may feel stronger for what I went through," Alan Johnston, 17 November 2007, The Guardian. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ আগস্ট ২০১০ তারিখে
  4. "UN Goodwill Ambassadors at Al Deira Hotel"। Aldeira। ১৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. Washington Post, Israeli strike kills four children on a Gaza beach
  6. New York Times. Boys Drawn to Gaza Beach, and Into Center of Mideast Strife
  7. "Palestinians Mourn Four Children Killed on Gaza Beach"NBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-১২ 
  8. Washington Post. What happened when Palestinian children were killed in front of a hotel full of journalists
  9. Beaumont, Peter (২০১৪-০৭-১৬)। "Witness to a shelling: first-hand account of deadly strike on Gaza port"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-১২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]