মুসলিম ওলামা আবু নস়র আল-ফ়ারাবী[১] ابو نصر الفارابي | |
---|---|
উপাধি | দ্বিতীয় শিক্ষক[২] |
জন্ম | সি. ৮৭০ খোরাসানে ফারিয়ব শহরের নিকটবর্তী আল ওয়াসিজ নামক গ্রামে |
মৃত্যু | ৯৫৬ খ্রিঃ[৩] দামেস্ক[৪] |
জাতিভুক্ত | পার্সিয়ান/তুর্কি |
যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ |
মূল আগ্রহ | অধিবিদ্যা, রাজনৈতিক দর্শন, যুক্তি, সংগীত, বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র, মরমিবাদ,[২] জ্ঞানতত্ত্ব |
লক্ষণীয় কাজ | কিতাব আল-মুসিকি আল-কাবির ("সঙ্গীতের মহান বই"), আরা আহল আল-মাদিনা আল-ফাদিলা ("পবিত্র শহর"), কিতাব ঈসা আল-উলুম ("জ্ঞানের পরিচিতি"), কিতাব ঈসা আল-ইকাআত ("ছন্দের শ্রেণিবিভাগ") |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | ভাববাদ [৫] |
ব্যবহারশাস্ত্র | [৬] |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | [৭] |
আল ফারাবি (ফার্সি: ابونصر محمد بن محمد فارابی, আবু নসর মুহম্মদ বিন মুহম্মদ আল ফারাবি, একজন প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানী।
এছাড়াও তিনি একজন মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ, যুক্তিবিদ এবং সুরকার ছিলেন। পদার্থ বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই 'শূন্যতা'-র অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন। তিনি ৮৭২, মতান্তরে ৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কিস্তানের অন্তর্গত 'ফারাব' নামক শহরের নিকটবর্তী 'আল ওয়াসিজ' নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
আল ফারাবী দর্শন ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা ও সঙ্গীত-এর ন্যায় জ্ঞানের বিস্তর শাখায় অবদান রাখেন। আল মদিনা আল ফাজিলা বা আদর্শ নগর তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। কিতাব আল মুসিকি আল কবির বা সঙ্গীতের মহান গ্রন্থ তার আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
প্লেটো ও অ্যারিস্টটল-এর দর্শনের উপর তিনি বিস্তর আলোচনা করেছেন। প্লেটোর রিপাবলিক-এর মত তিনিও একটি আদর্শ রাষ্ট্র-এর কল্পনা করেছেন তার আদর্শ নগর গ্রন্থে। তিনি স্রষ্টার সর্বাধিপত্য স্বীকারের পাশাপাশি সৃষ্টিকেও শাশ্বত বলে মনে করতেন। তিনি কোন চরম মত পোষণ করতেন না এবং চিন্তার ক্ষেত্রে পরস্পর-বিরোধী মতকে প্রায়শই একসাথে মিলাবার চেষ্টা করেছেন।
আদর্শ নগর-এ তার রাষ্ট্রনায়ক-এর একনায়ক বৈশিষ্ট প্রকট। তার মতে রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রের সর্বৈব ক্ষমতা পোষণ করবেন এবং অন্য সবাই তার বাধ্য থাকবেন। নাগরিকদের ক্ষমতায়ও থাকবে শ্রেণি বিভাজন, যেখানে কোনো শ্রেণি তার উপরের শ্রেণির আদেশ মান্য করবে ও নিচের শ্রেণির উপর আদেশ জারী করবে। তৎকালীন বহুধাবিভক্ত সামন্ততান্ত্রিক সমাজকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর আওতায় আনতে এই রাষ্ট্র দর্শন প্রভাব বিস্তার করে এবং সময়ের বিচারে এরূপ ভাবধারা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আদর্শ রাষ্ট্রকে তিনি অসম্ভব উল্লেখ করলেও এটি অর্জনের জন্য মানুষের চিরন্তন প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। মুসলিম মিল্লাতে তার অবদান অনস্বীকার্য
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |