আল হুদায়দাহ الْحُدَيْدَة | |
---|---|
নগর | |
Location within Yemen | |
স্থানাঙ্ক: ১৪°৪৮′০৮″ উত্তর ৪২°৫৭′০৪″ পূর্ব / ১৪.৮০২২২° উত্তর ৪২.৯৫১১১° পূর্ব | |
Country | ইয়েমেন |
Governorate | Al Hudaydah |
প্রশাসনিক | |
উচ্চতা | ১৭ মিটার (৫৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০৪)[২] | |
• মোট | ৪,০৪,০৬২ |
• আনুমানিক (২০২৩)[৩] | ৭,৩৪,৬৯৯ |
সময় অঞ্চল | Yemen Standard Time (ইউটিসি+3) |
আল-হুদায়দাহ (আরবি: الْحُدَيْدَة, প্রতিবর্ণীকৃত: al-ḥudayda), অন্য নাম হোদেদা, হোদেইদা, হুদাইদা বা হোদেইদাহ হিসেবেও পরিচিত, হলো ইয়েমেনের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং লোহিত সাগরে এর প্রধান বন্দর এবং আল হুদায়দাহ প্রশাসনিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল। ২০২৩ সালের হিসাবে, এর আনুমানিক জনসংখ্যা ৭৩৫,০০০ জন।[৪]
ইসলামি সময়পঞ্জীতে আল হুদায়দাহ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৪৫৪/৫৫ সালে। অটোমানেরা ইয়েমেনের তিহামাহ্ অঞ্চল দখল করার পর ১৫২০-এর দশকে শহরটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।[৫]
১৮৩০-এর দশকে ইব্রাহিম পাশার সৈন্যরা আল হুদায়দাহ নিয়ন্ত্রণ করতো, যারা এর দায়িত্ব শেরিফ হুসাইন ইবন আলী হায়দরের নিকট অর্পণ করে।[৬] ১৮৪৯ সালে এটি ইয়েমেন আয়ালেতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৫৪ সালে মালয়ের লেখক আবদুল্লাহ বিন আবদুল কাদির মক্কায় হজ্জ ব্রত পালনের সময় আল হুদায়দাহ ভ্রমণ করে তার ভ্রমণকাহিনীতে শহরটির বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং তাতে তিনি উল্লেখ করেন যে শহরটিতে কাথ চিবানোর প্রথা তখন বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলো।[৭]
১৯শ শতাব্দীর দিকে আল হুদায়দাহে একটি বৃহৎ ক্রীতদাসদের বিক্রয়কেন্দ্র ছিলো। এসব দাসদের আনা হতো আধুনিক ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চল থেকে।[৮]
আল হুদায়দাহের জলবায়ু উষ্ণ মরু জলবায়ু প্রকৃতির, যা কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে বিডব্লিউএইচ উপশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত আল হুদায়দাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর যেখান থেকে কফি, তুলা, চামড়া, খেজুর প্রভৃতি রপ্তানি করা হয়। অটোমান তুর্কীরা মধ্য ১৯শ শতকে সমুদ্রবন্দর হিসেবে এর উন্নয়ন ঘটায়। ২০১৮ সালের জুনের হিসেবে চার তৃতীয়াংশ মনুষ্য পরিবাহী ও বাণিজ্যিক জাহাজ ইয়েমেনে এই বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে।[৯] এটি ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা প্রবেশের মূল পথ এবং ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক পণ্য আমদানির জন্য ব্যবহৃত বন্দর। রাস ইশা বন্দর আল হুদায়দাহ শহর কেন্দ্রের সামান্য উত্তরে।
দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যসামগ্রী আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আল হুদায়দাহ বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সময়কালে এই ভূমিকা বেশ কয়েকবার ব্যাহত হয়েছে।
২০১৮ সালের জুনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সমর্থনে হাদিপন্থী সরকারী বাহিনী হুথি বাহিনীকে বিতাড়িত করার প্রয়াসে আল হুদায়দাহ বন্দরে প্রবেশ করে।[৯][১০] বন্দর অবরোধ করা হলে মানবিক সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে বলে জাতিসংঘ বন্দরটিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হুথিদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার চেষ্টা করেলেও ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়, যখন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঘোষণা করেন যে যুদ্ধমান দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।[৯][১১]